Thursday 18th April 2024
Thursday 18th April 2024

Notice: Undefined index: top-menu-onoff-sm in /home/hongkarc/rudrabarta.net/wp-content/themes/newsuncode/lib/part/top-part.php on line 67

প্রধানমন্ত্রীকে বেফাক বোর্ড শরীয়তপুর জেলার অভিনন্দন ও মোবারকবাদ

প্রধানমন্ত্রীকে বেফাক বোর্ড শরীয়তপুর জেলার অভিনন্দন ও মোবারকবাদ

শরীয়তপুরে ২৩ সেপ্টেম্বর রবিবার সকাল সাড়ে দশটায় দাওরায়ে হাদীসকে মাষ্টার্সের স্বীকৃতি দেয়ার আইন জাতীয় সংসদে পাশ হওয়ায় বে’ফাক বোর্ড শরীয়তপুর জেলা কওমী মাদ্রাসা মিছিল, শ্লোগান ও সমাবেশের মাধ্যমে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে অভিনন্দন, শুভেচ্ছা ও মোবারকবাদ জানিয়েছেন। মিছিলটি শরীয়তপুরের ডাকবাংলা চৌরঙ্গী থেকে প্রধান প্রধান সড়ক অতিক্রম করে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সামনের মাঠে সমাবেশের মাধ্যমে শেষ হয়।
এ সময় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, শরীয়তপুর জেলা বে’ফাক বোর্ডের সভাপতি ও আঙ্গারিয়া উসমানিয়া কওমিয়া মাদ্রাসার মুহতামিম মাওলানা আবু বকর।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, মাওলানা শফিউল্লাহ খান, সভাপতি শরীয়তপুর উলামা পরিষদ; মাওলানা আব্দুল বাতেন ফরিদী, মুহতামিম, নশাসন কাওমিযা ইসলামিযা মাদ্রাসা; মাওলানা ইদ্রিস কাসেমী, মুহতামিম, মারকাযুল উলুম মহিলা মাদ্রাসা, শরীয়তপুর; মাওলানা মুঈনুদ্দীন কাসেমী সধারণ সম্পাদক, বাংলাদেশ কওমী মাদরাসা শিক্ষা বোর্ড শরীয়তপুর জেলা শাখা; মুফতী মনীর হোসাইন, সিরাজুদ্দীন কওমী মাদ্রাসা, গোসাইর হাট; মাওলানা শাব্বীর আহমদ উসমানী, মুহতিমিম, মাহমুদিযা মাদ্রাসা, শরীয়তপুর; হাফেজ জসিম উদ্দীন, মুহতামিম, ভূমখারা হাফেজিযা কওমিয়া মাদ্রাসা, নড়িয়া।
এছাড়া জেলার বিভিন্ন কওমী মাদ্রাসার শিক্ষক, অভিভাবক ও ছাত্র-ছাত্রী উপস্থিত ছিলেন।
দশম জাতীয় সংসদের শেষ অধিবেশনে বুধবার (১৯ সেপ্টেম্বর) ‘কওমি মাদরাসা সমূহের দাওরায়ে হাদিস (তাকমীল)-এর সনদকে আল হাইআতুল উলয়া লিল জামিয়াতিল কওমিয়া বাংলাদেশ’ এর অধীনে মাস্টার্স ডিগ্রি (ইসলামিক স্টাডিজ ও আরবি) সমমান প্রদান বিল ২০১৮’ জাতীয় সংসদে পাস হয়।
এর আগে গত ১৩ আগস্ট প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভা বৈঠকে কওমি সনদের স্বীকৃতি আইনের খসড়ার নীতিগত অনুমোদন দেওয়া হয়।
এ অনুমোদনে শরীয়তপুর জেলা কওমী মাদ্রাসা বোর্ডের পক্ষ থেকে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে এ অভিনন্দন জানানো হয়।
এ অনুমোদনের মাধ্যমে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কওমী মাদ্রাসায় পড়ুয়া লক্ষ লক্ষ ওলামায়ে কেরামগণকে সঠিক মর্যাদার আসনে বসাতে সক্ষম হয়েছেন। এবং এরদ্বারা ওলামায়ে কেরাম দেশ ও জাতির সর্বস্তরে অবদান রাখতে সক্ষম হবেন।
এর আগে সচিবালয়ে এক ব্রিফিংয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম সাংবাদিকদের বলেন, আগে থেকেই হয়ে (কওমি সনদের স্বীকৃতি দেয়া হয়েছে) আসছে, সেটিকে আইনি কাঠামোতে নিয়ে আসা হচ্ছে।
সারা দেশে ছয়টি বোর্ড কওমি মাদ্রাসাগুলোকে নিয়ন্ত্রণ করছে জানিয়ে শফিউল বলেন, এদের নিয়ে কওমি মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ড গঠন করা হবে।
মোহাম্মদ শফিউল আলম জানান, প্রজ্ঞাপন জারির পর থেকে যারা দাওরায়ে হাদিস পাস করেছেন, তারাই মাস্টার্স ডিগ্রি সমমানের সনদ পাবেন।
সচিব জানান, সারা দেশে কওমি মাদ্রাসার ছয়টি বোর্ড রয়েছে। এই ছয়টি বোর্ডের সমন্বয়ে ঢাকায় একটি কমিটি হবে। কমিটি হবে ১৫ সদস্যের। ছয় বোর্ড থেকে দুজন করে কমিটিতে থাকবেন।
এ ছাড়া একজন চেয়ারম্যান, একজন ভাইস চেয়ারম্যান ও একজন মহাপরিচালক থাকবেন। এই কমিটিই সনদ প্রদান প্রক্রিয়ার যাবতীয় কার্যক্রম পরিচালনা করবেন।
২০১৭ সালের ১১ এপ্রিল কওমি মাদ্রাসার সর্বোচ্চ সনদকে সাধারণ শিক্ষার স্নাতকোত্তর ডিগ্রির স্বীকৃতি দেয়ার ঘোষণা দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
ব্যাপক সমালোচনার মধ্যে এর দুদিন পর কওমি মাদ্রাসার সর্বোচ্চ সনদকে সাধারণ শিক্ষার স্নাতকোত্তর ডিগ্রির স্বীকৃতি দিয়ে আদেশ জারি করে সরকার।
এ বিষয়ে নতুন আইন পাস হওয়ার আগেই গত মার্চে ১০১০ কওমি আলেমকে মসজিদভিত্তিক শিশু ও গণশিক্ষা কার্যক্রম (ষষ্ঠ পর্যায়) প্রকল্পের আওতায় সরকারি চাকরিতে নিয়োগও দেয়া হয়।