Friday 29th March 2024
Friday 29th March 2024

Notice: Undefined index: top-menu-onoff-sm in /home/hongkarc/rudrabarta.net/wp-content/themes/newsuncode/lib/part/top-part.php on line 67

শরীয়তপুরে ইন্দোনেশিয়ান তরুণীর সাথে মাদারীপুরের প্রেমিকের বিয়ে !

শরীয়তপুরে ইন্দোনেশিয়ান তরুণীর সাথে মাদারীপুরের প্রেমিকের বিয়ে !

এবার প্রেমের টানে বাংলাদেশে ছুটে এসেছেন মারদিয়ানা নামে এক ইন্দোনেশিয়ান তরুণী শরীয়তপুর এসে মাদারীপুরের প্রেমিকের সাথে আনুষ্ঠানিকতার মধ্য দিয়ে বিয়েতে আবদ্ধ হলেন।

শরীয়তপুরে পাতানো ভাইরে দেয়া বিয়ের আয়োজনে ইন্দোনেশিয়ান তরুণী বোনকে আনুষ্ঠানিক ভাবে প্রেমিকের সাথে বিয়ে দিলেন পাশের জেলা মাদারীপুর।

মারদিয়ানা ইন্দোনেশিয়ার পালু বোরাদ এলাকার কাহারুদ্দিন ও মোলি দম্পতির মেয়ে। তিনি একটি প্রাইভেট কোম্পানিতে চাকরি করেন।

জানা যায়, মারদিয়ানার সঙ্গে ২০১৩ সালে ফেসবুকে পরিচয় হয় শরীয়তপুরের নড়িয়া পৌরসভার লোনসিং গ্রামের মো. সেলিম খালাসীর সঙ্গে ভাই-বোনের সম্পর্ক গড়ে ওঠে।

এরই মধ্যে ২০১৬ সালে মাদারীপুর সদর উপজেলার দুধখালী ইউনিয়নের চন্ডিবদ্দি গ্রামের কাজী এটিএম দাউদের ছেলে কাজী আহমাদুল হোসেন রাজনের সঙ্গে প্রথমে ফেসবুকে পরিচয় থেকে বন্ধুত্ব হয় মারদিয়ানার। পরে বন্ধুত্ব থেকে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। আর সেই টানেই বাঙালি তরুণের কাছে ছুটে আসেন ইন্দোনেশিয়ান তরুণী মারদিয়ানা।

মারদিয়ানার পাতানো ভাই নড়িয়ার সেলিম খালাসী বলেন, মারদিয়ানা আমাকে ধর্মের ভাই ডেকেছে। আমারা ভাই-বোন। সম্পর্কটা আমার পরিবারও মেনে নিয়েছে। ফেসবুকের মাধ্যমে ইন্দোনেশিয়ান মুসলিম পরিবারের সন্তান মারদিয়ানার সঙ্গে মাদারীপুরের রাজনের পরিচয় হয়। তিনি আমাদের দেশ ও কৃষ্টি কালচার সম্পর্কে আমার কাছ থেকে জানেন। তাছাড়া রাজনের পরিবার সম্পর্কে সব কিছু জেনে গত ২৯ এপ্রিল বাংলাদেশে আসেন মারদিয়ানা। ৩০ এপ্রিল ঢাকা কোতয়ালী কোর্ট হাউজ স্ট্রিট বার ভবনে মারদিয়ানা-রাজনের বিয়ে হয়। বিয়ের পর এক সপ্তাহ থেকে ইন্দোনেশিয়া চলে যান মারদিয়ানা। আবার ২১ আগস্ট রাজধানীর হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এসে নামেন মারদিয়ানা। পরে বিকেলে তাকে গ্রামের বাড়ি শরীয়তপুর নড়িয়া পৌরসভার লোনসিং নিয়ে আসি। ২৩ আগস্ট (শুক্রবার) জাকজমকপূর্ণ সামাজিক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে আমার বাড়ি নড়িয়া লোনসিং থেকে মারদিয়ানাকে রাজনের হাতে তুলে দেই।

অনুষ্ঠানে নড়িয়া পৌরসভার মেয়র শহিদুল ইসলাম বাবু রাড়ী, নড়িয়া থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) একেএম মঞ্জুরুল হক আকন্দ, ওসি (তদন্ত) আবু বকর মিয়া, নড়িয়া পৌরসভার প্যানেল মেয়র শহিদুল ইসলাম সরদারসহ এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।

অনুষ্ঠানে নড়িয়া পৌরসভার মেয়র শহিদুল ইসলাম বাবু রাড়ী, নড়িয়া থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) একেএম মঞ্জুরুল হক আকন্দ, ওসি (তদন্ত) আবু বকর মিয়া, নড়িয়া পৌরসভার প্যানেল মেয়র শহিদুল ইসলাম সরদারসহ এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।

নড়িয়া পৌরসভার মেয়র শহিদুল ইসলাম বাবু রাড়ি বলেন, প্রেমের টানে ইন্দোনেশিয়ান তরুণী বাংলাদেশে চলে এসেছেন। নড়িয়াতে তাদের অনুষ্ঠানে এসে বেশ ভালো লাগলো। নড়িয়াতে এই প্রথম এমন অনুষ্ঠানে যোগ দিলাম। দোয়া করি তাদের বিবাহিত জীবন সুখের হোক।

মারদিয়ানা জানান, রাজনের প্রতি গভীর ভালোবাসার টানে বাংলাদেশে এসেছেন তিনি। রাজনের সঙ্গে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়েছেন তিনি। বিষয়টি তার মা-বাবাকে জানিয়ে এসেছেন। এ দেশের মানুষের আতিথেয়তায় ও ভালোবাসায় মুগ্ধ বলেও জানান মারদিয়ানা।