সোমবার, ২রা অক্টোবর, ২০২৩ ইং, ১৭ই আশ্বিন, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ, ১৬ই রবিউল-আউয়াল, ১৪৪৫ হিজরী
সোমবার, ২রা অক্টোবর, ২০২৩ ইং

দক্ষিণ তারাবুনিয়া আওয়ামীলীগের সম্মেলনে বিএনপি নেতার অংশগ্রহণ

দক্ষিণ তারাবুনিয়া আওয়ামীলীগের সম্মেলনে বিএনপি নেতার অংশগ্রহণ

দক্ষিণ তারাবুনিয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সম্মেলনে বিএনপি নেতাসহ দলছুট ও হাইব্রিট নেতাদের প্রবেশ হয়েছে বলে জনমনে ক্ষোভের বর্হিপ্রকাশ ঘটেছে। এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে আলোচনা সমালোচনার ঝড় উঠেছে। আগামী ২৭ জুলাইর সম্মেলনে যেন দলছুট, হাইব্রিট ও বিএনপি নেতাদের কোন স্থান না হয় সেদিকে নেতৃবৃন্দের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন আওয়ামী লীগের শুভাকাঙ্খীরা।
দক্ষিণ তারাবুনিয়া আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগও ছাত্রলীগ নেতা-কর্মীরা জানায়, দক্ষিণ তারাবুনিয়া ইউনিয়নে ২০১২ সালে আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলন হয়েছিল। দীর্ঘ ৭ বছর পর আগামী ২৭ জুলাই আওয়ামী লীগ, স্বেচ্ছাসেক লীগ ও ছাত্রলীগের সম্মেলন আহবান করা হয়েছে। বিগত দিনে যে সকল লোকজন আওয়ামী লীগ ও আওয়ামী লীগের অঙ্গ সংগঠনের বিরোধী আদর্শে রাজনীতি করেছে তার এবার সম্মেলনে পদ পাওয়ার জন্য নেতৃবৃন্দের কাছে দৌড়-ঝাপ দিচ্ছে। আসলে এরা সুবিধাবাদী রাজনীতিতে বিশ্বাসী। এদের দলে প্রবেশ হলে রাজনীতে ছন্দপতন ঘটবে। এদের থেকে সাবধান থাকতে পারলে দলীয় আদর্শ ও গঠনতন্ত্র ঠিক থাকবে বলে প্রতাশা করছেন তারা। নেতা-কর্মীরা আরও জানায়, আনোয়ার হোসেন চৌধুরী ও তার পরিবার সারা জীবন জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)’র আদর্শে রাজনীতি করে দুঃসময়ে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের নির্যাতন করছে। সেই বিএনপি নেতা যদি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের গুরুত্বপূর্ণ সাংগঠনিক সম্পাদক পদ পায় তাহলে এই লজ্জা ও দায়ভার আওয়ামী লীগেকে বহন করতে হবে। যারা দুঃসময়ে নৌকা রক্ষা করেছে, যারা ত্যাগী ও আওয়ামী লীগের শুভাকঙ্খী তাদের যেন মূল্যায়ন করা হয়। নের্তৃবৃন্দের কাছে একটাই চাওয়া তাদের। কোন দলছুট যেন আওয়ামীলীগের গুরুত্বপূর্ণ পদে আদিষ্ট না হয়।
খান রাসেল নামে ফেসবুক আইডিতে একজন লিখেছেন, আমি আশাবাদী দক্ষিন তারাবুনিয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের যারা নেতৃত্বে আসবে তারা অত্যন্ত পরিশ্রমী, ত্যাগী, যারা দুঃসময়ে নৌকা পাহাড়া দিয়ে রেখেছে তারাই গুরুত্বপূর্ণ পদে আসবে। শাহালম বেপারী তার আইডিতে লিখেছেন সুবিধাবাদী আনোয়ারকে যেন আওয়ামী লীগের কমিটিতে কোন পদ না দেয়া হয়। এমনটি ভাবে আলোচনা ও সমালোচনার ঝড় উঠেছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে।
দক্ষিন তারাবুনিয়া ইউনিয়ন যুবদল সভাপতি কামাল বেপারী বলেন, আনোয়ার হোসেন চৌধুরী বিএনপির রাজনীতি করত। সে ঢাকাস্থ জাতীয়তাবাদী কল্যাণ ফোরামের সহ-সভাপতি পদে দায়িত্ব পালন করছে।
আনোয়ার হোসেন চৌধুরী বলেন, ২৭ জুলাই আওয়ামী লীগের সম্মেলন হবে। আমি সাংগঠনিক সম্পাদক পদ প্রার্থী। বংশিয় প্রভাব, লোকবল ও দলের জন্য যারা পরিশ্রমী তাদের দেখেই নেতারা সিলেকশন করবেন। আমি আশাবাদী আমাকে সিলেকশন করবেন। তিনি আরও বলেন, আমি বিএনপি’র রাজনীতি করতাম। কিরণ ভাই আমাকে ঢাকাস্থ জাতীয়তাবাদী কল্যাণ ফোরামের সহ-সভাপতি করছিলেন। আমি ঢাকায় শাহাজালাল মালের সাথে চলাফেরা করতাম। তখন শাহাজালাল মালের সাথে এনামুল হক শামীম ভাইর কাছে যাই। শামীম ভাইর কথা শুনে বুঝলাম চরাঞ্চলের জন্য এমন নেতার বিকল্প নাই। তাই আওয়ামী লীগ করার সিদ্ধান্ত নেই। থানা আওয়ামী লীগ সভাপতি হুমায়ুন কবির মোল্যার সাথে আলাপ করলে সেও স্বাগতম জানায়। শামীম ভাই সহ ইউনিয়ন ও থানার সকল নেতারা জানে আমি বিএনপি করতাম।


error: Content is protected !!