
শরীয়তপুর জেলা শহরের চিকন্দী ফুড পার্কের ২য় বর্ষপূর্তি উপলক্ষে এতিম, পথশিশু ও প্রতিবন্ধীদের মাঝে সৌজন্য খাবার পরিবেশন করা হয়েছে। বুধবার (২৮ আগষ্ট) দুপুরে চিকন্দী ফুড পার্কে খাবার পরিবেশন অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন সুযোগ্য জেলা প্রশাসক কাজী আবু তাহের। বিশেষ অতিথি ছিলেন সুযোগ্য পুলিশ সুপার আব্দুল মোমেন, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মাহাবুর রহমান শেখ ও পালং মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আসলাম উদ্দিন। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন কাগদী দরবার শরীফের পীর সাহেব আলহাজ¦ মাওলানা নেছার আহমেদ।
অনুষ্ঠানের শুরুতে এতিমখানা থেকে আগত মাদ্রাসার ছাত্ররা কোরআন তেলাওয়াত ও হামদ-নাত পরিবেশন করেন। পরে কেক কেটে চিকন্দী ফুড পার্কের ২য় বর্ষপূতি উদযাপন করেন জেলা প্রশাসক কাজী আবু তাহের।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে জেলা প্রশাসক কাজী আবু তাহের বলেন, চিকন্দী ফুড পার্কের ২য় বর্ষপূর্তি উপলক্ষে এতিম, পথশিশু ও প্রতিবন্ধীদের দাওয়াত করে এনে খাওয়াচ্ছে জেনে আমি খুবই আনন্দিত হয়েছি। এটা নিঃসন্দেহে প্রশংসা পাওয়ার যোগ্য। এ জন্য আমি চিকন্দী কর্তৃপক্ষকে ধন্যবাদ ও স্বাগত জানাই। এর পরেও আমি চিকন্দী ফুড পার্ককে অনুরোধ করবো, শুধু ব্যবসা করলেই হবেনা। তাদেরকে আরো বেশি করে সামাজিক দায়িত্ব পালন করতে হবে, যাতে সমাজের পিছিয়ে পড়া লোকজন সামনে আসার সুযোগ পায়।
তিনি আরও বলেন, শরীয়তপুর জেলায় আগে ভালো মানের কোন রেস্টুরেন্ট ছিলোনা, যেখানে জেলার বাইরে থেকে উচ্চ পর্যায়ের কোন লোকজন আসলে তাদের ভালো পরিবেশে মেহমানদারী করানো যায়। আমি মনে করি চিকন্দী ফুড পার্কের সত্ত্বাধিকারী সোহাগ মোল্যা শরীয়তপুরবাসীর সেই অভাব কিছুটা হলেও পূরণ করতে পেরেছে। আমি আশা করি চিকন্দী ফুড পার্ক তাদের খাবারের মান, ঐতিহ্য ও সুনাম বৃদ্ধির মাধ্যমে সামনের দিকে এগিয়ে যাবে।
চিকন্দী ফুড পার্কের মালিক সোহাগ মোল্যা বলেন, চিকন্দী নামের সাথে আমার আবেগ ভালোবাসা জড়িত। শরীয়তপুর জেলা প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে আমার বাবা শরীয়তপুর জেলা শহরে চিকন্দী হোটেল নামে একটি ব্যবসা পতিষ্ঠান গড়ে তুলেন। বাবা মারা যাওয়ার পর দুই বছর আগে আমি জেলা শহরের দুবাই প্লাজার দ্বিতীয় তলায় চিকন্দী ফুড পার্ক গড়ে তুলি। এর মাধ্যমে আমি শরীয়তপুরবাসীর সেবা ও ভালোবাসা অর্জন করতে চাই।