
শরীয়তপুর সদর উপজেলায় শশুর নিয়ে দ্বন্দ্বে মাহফুজা খানম (৩২) নামে এক গৃহিনীকে কুপিয়ে জখম করার অভিযোগ উঠেছে। রবিবার (১৭ নভেম্বর) বিকেল ৪ টার দিকে উপজেলা রুদ্রকর ইউনিয়নের সোনামূখী গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় পালং মডেল থানায় একটি অভিযোগ করা হয়েছে।
এলাকাবাসী ও ভুক্তভোগি পরিবার সূত্র জানায়, মাহফুজা খানম’রা চার জ্যা। সবাই যার যার পরিবার নিয়ে ভিন্নভাবে বসবাস করে। তাদের শশুর আলী আজগর মোল্যা (৯০) বয়স্ক লোক বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত। তাই প্রতিটি পরিবার এক মাস করে খাওয়ায় আলী আজগর মোল্যাকে। কিন্তু মাহফুজা খানমের জ্যা শাহাবুদ্দিন মোল্যার স্ত্রী রোজিনা বেগম (৩৫) শশুর আলী আজগরকে তার বাসায় রাখতে ও খাওয়াতে রাজি নয়। এ বিষয় নিয়ে রবিবার বিকেলে মাহফুজা ও রোজিনার মধ্যে বাকবিতন্ডা হয়। বাকবিতন্ডার এক পর্যায়ে রোজিনা বেগম (৩৫), ছেলে শাওন (১৪) ও পারুল বেগম (৩৭) মাহফুজার ঘরে ঢুকে তাকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপায় ও লাঠি দিয়ে পিটায়। মাহফুজা মাটিতে লুটিয়ে পড়ে। তখন প্রতিবেশিরা উদ্ধার করে তাকে শরীয়তপুর সদর হাসপাতলে ভর্তি করে। মাহফুজার মাথায় ২০টির মত সেলাই দেয়া হয়েছে।
মাহফুজা খানমের শশুর আলী আজগর মোল্লা বলেন, আমার এখন বয়স হয়েছে কাজ করতে পারি না। ছেলেদের কামাই খাই। সব ছেলে ও ছেলের বউরা ভালো জানলেও বউ রোজিনা বেগম আমার সাথে খারাপ ব্যবহার করে। আমাকে ঘর থেকে বের করে দিছে খাবার দেয় না।
আহত মাহফুজা খানম বলেন, আমার স্বামী মালয়েশিয়া থাকে। তাই আমার সেজো জ্যা রোজিনা বেগম আমার সাথে সামান্য বিষয় নিয়ে ঝগড়া করে এবং আমাকে মারতে আসে। এ বিষয়ে আমার ভাসুরকে জানালে, আমার বিরুদ্ধে রোজিনা বেগম ক্ষিপ্ত হয়ে আমার শশুরের সাথে খারাপ ব্যবহার করে, তাকে খাবার খাওয়াতে চায় না। এর প্রতিবাদ করলে আমাকে মারধর করে, যখম করে।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত রোজিনা বেগম কে মোবাইলে ফোন করে যোগাযোগ করে পাওয়া যায়নি এবং পরে বাড়িতে গেলেও তাকে পাওয়া যায়নি।
পালং মডেল থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি মোহাম্মদ আসলাম উদ্দিন জানান, এ ব্যাপারে একটা অভিযোগ করেছে ভুক্তভোগী পরিবার। তদন্ত চলছে, তদন্ত শেষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।