শনিবার, ৩০শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩ ইং, ১৫ই আশ্বিন, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ, ১৫ই রবিউল-আউয়াল, ১৪৪৫ হিজরী
শনিবার, ৩০শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩ ইং

শরীয়তপুরে সফল ভাবে সম্পন্ন হল এলজিইডির পিসি’গার্ডার সেতু

শরীয়তপুরে সফল ভাবে সম্পন্ন হল এলজিইডির পিসি’গার্ডার সেতু

শরীয়তপুর স্থানীয় সরকার প্রকৌশল বিভাগ পিসি’গার্ডার প্রযুক্তির মাধ্যমে একটি সেতু সফল ভাবে সমাপ্ত হওয়ার পথে। আগামী ৩০ ডিসেম্বর ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান এই ব্রিজটি শরীয়তপুর সদর উপজেলা প্রকৌশলকে হস্তান্তর করবেন বলে জানা গেছে। ২০২০ সালের জানুয়ারীর প্রথম সপ্তাহের শরীয়তপুর-১ আসনের সংসদ সদস্য ইকবাল হোসেন অপু আনুষ্ঠানিকভাবে নতুন প্রযুক্তিতে তৈরী সেতুটির উদ্বোধন করবেন। এই সেতুটি হবে দক্ষিন ও পশ্চিম ভাষানচর সহ পার্শ্ববর্তী মাদারীপুর জেলাবাসীর শরীয়তপুর জেলা শহরের সহজ যোগাগোগের সেতুবন্ধন।
শরীয়তপুর সদর উপজেলা প্রকৌশল অফিস সূত্র জানায়, ৯৯ মিটার দৈর্ঘ্য ও ৭ মিটার প্রস্থ সেতুর দুই পাশে সংযোগ সড়ক রয়েছে ২০০ মিটার। ৪ কোটি ৬২ লাখ ৬২ হাজার ৬২ টাকা ব্যয় ধরে হামিম ইন্টারন্যাশনাল নামে একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে নিয়োগ করা হয়। পিসি’গার্ডার পদ্ধতিতে ২ বছর পূর্বে জেলায় এই প্রথম সেতুর নির্মাণ কাজ শুরু হয়। কোন প্রকার বড় ধরনের সমস্যা ছাড়াই সেতুর নির্মাণ কাজ শেষ হয়েছে। এখন রং এর কাজ চলছে। ৩০ ডিসেম্বরের মধ্যে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান সেতুটি স্থানীয় সরকার প্রকৌশল বিভাগকে হস্তান্তর করবে। ২০২০ সালের প্রথম সপ্তাহে স্থানীয় সংসদ সদস্য আনুষ্ঠানিকভাবে সেতুটি উদ্বোধন করবেন।
ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের পরিচালক আ. ওয়াব মাদবর বলেন, জেলায় এই প্রথম আমরা পিসি’গার্ডার পদ্ধতিকে আংগারিয়ার ভাষানচর কীর্তিনাশা নদীর উপরে একটা সেতু নির্মাণ করেছি। নির্মানের শেষের দিকে সমাপনি ঢালাই দেয়ার একদিন পর একটা ভ্যাকু মেশিন সেতুর উপর দিয়ে অপর পাশে যায়। তখন সেতুর উপরীভাগের কিছু অংশে ১ ইঞ্চি পরিমান গভীরাতায় ফাটল দেখা যেয়। তাৎক্ষণিক জেলা ও উপজেলা প্রকৌশলীর সাথে যোগাযোগ করে তাদের পরামর্শমত সমাধান করি। এখন আর কোন সমস্যা নাই। এখন রং এর কাজ চলছে। ৩০ ডিসেম্বরের মধ্যে সেতুটি হস্তান্তর করব। সেতুটি শতভাগ নিয়ম মেনে নির্মিত হয়েছে। বর্তমানে জেলায় যে নির্বাহী প্রকৌশলী দায়িত্বরত রয়েছেন তার চোখকে ফাঁকি দিয়ে কোন অনিয়ম করা সম্ভব না। তাছাড়া তিনি নিয়মিত কাজের সাইডে তদারকি করেন। এ সময় জেলায় টেকসই উন্নয়ন হচ্ছে।
শরীয়তপুর সদর উপজেলা প্রকৌশলী শাহ আলম মিয়া বলেন, জেলায় প্রথমবারের মতো পিসি’গার্ডার সেতু নির্মান হয়েছে। এই সেতু নির্মাণের ক্ষেত্রে শতভাগ নিয়ম না মানা হলে বড় ধরনের দূর্ঘটনা ঘটতে পারে। প্রকৌশল বিভাগ সেতুটি নির্মাণকালে সজাগ ছিল। শেষ পর্যায়ে একটু ওয়ারিং ক্রস ঢালাই পরবর্তী একটি ভ্যাকু গাড়ি সেতুর এক পাড় থেকে অপর পাড়ে যায়। তখন উপরিভাগে ১ ইঞ্চি গভীর ভাবে কিছু অংশ ফেটে যায়। তাৎক্ষণিক তা সমাধান করা হয়েছে।
শরীয়তপুর জেলা নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ শাহজাহান ফরাজি বলেন, জেলায় প্রথমবারের মত পিসি’গার্ডার সেতু নির্মান হয়েছে। এই সেতু নির্মাণের ক্ষেত্রে শতভাগ নিয়ম না মানা হলে বড় ধরনের দূর্ঘটনা ঘটতে পারে, আমরা শতভাগ নিয়ম মেনে এই সেতুটি নির্মাণ করি এবং সর্বাধিক তদারকি করি। এই সেতুটি নির্মানের ফলে ঐ এলাকার দুই অঞ্চলের মানুষের যোগাযোগ ব্যবস্থাটা সহজ হয়েছে।


error: Content is protected !!