
শরীয়তপুর সদরে একই পরিবারের ৩জন ও জাজিরায় ১জনের করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে। আক্রান্ত ব্যাক্তিরা নারায়নগঞ্জ ও ঢাকা থেকে শরীয়তপুরে আসার পর সন্দেভাজন এদের নমুনা সংগ্রহ করে পরিক্ষার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়। গত ২৪ ঘন্টায় ১৫ জনের নমুনা সংগ্রহ করে ঢাকায় পাঠানোর পর আজ মঙ্গণবার বিকাল ৫টার সময় পাওয়া প্রাপ্ত ৪জনের ফলাফল পজেটিভ এসেছে।
এ খবর নিশ্চিত করেছেন শরীয়তপুর সিভিল সার্জন ডা. এস.এম. আব্দুল্লাহ আল মুরাদ। এদিকে জাজিরা পৌরসভার মূলনা এলাকার তালুকদার কান্দির ৮০টি পরিবার ও শরীয়তপুর সদরের চিতলিয়া এলাকার আক্রান্তদের করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত বাড়ীর ২টি পরিবারকে লকডাউন করেছে প্রশাসন।
জাজিরা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো: জাহিদুল ইসলাম জানান, আক্রান্ত বাড়ীটিসহ পুরো গ্রাম লকডাউন করে দেয়া হয়েছে। ওই গ্রামে পুলিশমোতায়েনসহ সেনাবাহিনীর টহল জোরদার করা হয়েছে।
শরীয়তপুর সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো: মাহাবুর রহমান শেখ বলেন, করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত পরিবারটির বাড়ী ফাঁকা এলাকায় হওয়ায় ওই বাড়ীর দুইটি পরিবারকে লকডাউনের আওতায় নেয়া হয়েছে এবং আক্রান্ত পরিবারটিকে সম্পন্ন আলাদা থাকার ব্যবস্থা করা হয়েছে।
শরীয়তপুর সিভিল সার্জন কার্যালয়ের মেডিকেল অফিসার (রোগ নিয়ন্ত্রণ) ডা. আব্দুর রশিদ জানান, শরীয়তপুর সদরের চিতলিয়া এলাকার একটি পরিবার গত ১০ এপ্রিল শরীয়তপুর সদরের চিতলিয়া এলাকায় ও ৯ এপ্রিল ঢাকা থেকে এক ব্যাক্তি জাজিরা পৌরসভার মুলনা এলাকায় আসার পর তাদেরসহ গত ২৪ ঘন্টায় ১৫ জনের নমুনা সংগ্রহ করে ঢাকায় পাঠোনো হয়। আজ মঙ্গলবার বিকাল ৫টায় আমরা নারায়নগঞ্জ থেকে আসা একই পরিবারের স্বামী-স্ত্রী ও মেয়ে এবং ঢাকা থেকে জাজিরায় আসা এক যুবকের পরিক্ষার ফলাফল হাতে পাই। প্রাপ্ত ৪ জনের ফলাফলই পজেটিভ। বাকী ১১ জনের ফলাফল নেগেটিভ এসেছে। শরীয়তপুর থেকে আজ ১৪ এপ্রিল পর্যন্ত সর্বমোট সন্দেহভাজন ৭২ জনের নমুনা ঢাকায় পাঠানো হয়েছিল। তার মধ্যে ৪৬ জনের ফলাফল নেগেটিভ ও ৪জনের ফলাফল পজেটিভ এসেছে। বাকি ২২ জনের ফলাফল এখনো পাওয়া যায়নি।