
“মহামারী কোভিড-১৯কে প্রতিরোধ করি, নারী ও কিশোরীর সুস্বাস্থের অধিকার নিশ্চিত করি”, “মুজিববর্ষে স্বাস্থ্য খাত, এগিয়ে যাবে অনেক ধাপ” ও “ছেলে হোক, মেয়ে হোক, দু’টি সন্তানই যথেষ্ট”-এ প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে শরীয়তপুরে ‘বিশ্ব জনসংখ্যা দিবস’-২০২০ উপলক্ষ্যে ভার্চুয়াল আলোচনা সভা ও পুরষ্কার বিতরণী অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।
শনিবার ১১ জুলাই বেলা ১১টার দিকে জেলা পরিবার পরিকল্পনা বিভাগের আয়োজনে অনলাইন ভার্চুয়াল সংযোগের মাধ্যমে জেলা ও উপজেলার বিভিন্ন দপ্তরের বিভিন্ন কর্মকর্তা-কর্মচারীর অংশগ্রহণের মধ্য দিয়ে এ ভার্চুয়াল আলোচনা সভা ও পুরষ্কার বিতরণী অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।
এ সময় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, জেলা প্রশাসক কাজী আবু তাহের। তিনি বলেন, জনসংখ্যা একটি দেশের মূল্যবান সম্পদ। আর এই জনসংখ্যাকে দক্ষ করে গড়ে তুলতে হবে। জনসংখ্যাকে দক্ষ করে গড়ে তুললেই এটি সম্পদে পরিনত হয়। দক্ষ জনগোষ্ঠীরই থাকে দক্ষ পরিকল্পনা। এ দক্ষ পরিকল্পনার মাধ্যমেই দেশ ও সমাজ সুন্দর হয়। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান যেরকম দক্ষ জনশক্তি দেখতে চেয়েছিলেন, বঙ্গবন্ধুর কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এসডিজি বাস্তবায়নের মাধ্যমে সে পরিকল্পনা সবসময় বাস্তবায়ন করবেন।
জেলা পরিবার পরিকল্পনা বিভাগের উপ-পরিচালক মো: সোহেল পারভেজ-এর সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক অনল কুমার দে, জেলা পরিবার পরিকল্পনা বিভাগের এডিসিসি ডা. জাকির হোসেন। এছাড়া উপস্থিত ছিলেন, সখিপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান কামরুজ্জামান মানিক সরদারসহ জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারী ও বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারী প্রমূখ।
উল্লেখ্য, জাতিসংঘ জনসংখ্যা তহবিলের (ইউএনএফপিএ) এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কোভিড-১৯ পরিস্থিতি চলমান থাকলে এবং লকডাউন পরিস্থিতি যদি আরও ছয় মাস দীর্ঘ হয়, তাহলে নিম্ন-মধ্যম ও নিম্ন আয়ের ১১৪ দেশে ৪৭ মিলিয়ন (৪ কোটি ৭০ লাখ) নারী আধুনিক জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি থেকে বঞ্চিত হবেন। আর অতিরিক্ত ৭ মিলিয়ন (৭০ লাখ) নারী অনাকাঙ্ক্ষিত গর্ভধারণের শিকার হবেন।
প্রতিবেদন অনুসারে, কোভিড-১৯ পরিস্থিতি বাল্যবিবাহের ওপর ব্যাপক প্রভাব ফেলবে। বিশ্বে ১৩ মিলিয়ন (১ কোটি ৩০ লাখ) বাল্যবিবাহ হবে। এর মধ্যে ৮ মিলিয়ন (৮০ লাখ) বাল্যবিবাহ হবে শুধু বাংলাদেশে। যেখানে বাল্যবিবাহের হার ৫০ শতাংশেরও বেশি।
১৯৮৯ সালে জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচির গভর্নিং কাউন্সিল জনসংখ্যা ইস্যুতে গুরুত্ব প্রদান ও জরুরি মনোযোগ আকর্ষণের লক্ষ্যে বিশ্বব্যাপী ১১ জুলাই বিশ্ব জনসংখ্যা দিবস পালনের সিদ্ধান্ত নেয়। ১৯৯০ সালের ১১ জুলাই প্রথমবারের মতো ৯০টি দেশে বিশ্ব জনসংখ্যা দিবস উদযাপিত হয়। এরপর থেকে প্রতিবছর দিবসটি পালিত হচ্ছে। সবশেষে পরিবার পরিকল্পনায় বিশেষ অবদানের জন্য ৯ জনকে শ্রেষ্ঠ পুরষ্কার প্রদান করা হয়।