শনিবার, ১০ই জুন, ২০২৩ ইং, ২৭শে জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ, ২১শে জিলক্বদ, ১৪৪৪ হিজরী
শনিবার, ১০ই জুন, ২০২৩ ইং

শরীয়তপুরে হাতেম ঢালী ও ওয়ারিশদের জমি সংক্রান্ত চক্রান্তের শিকার সাবেক কাউন্সিলর!

শরীয়তপুরে হাতেম ঢালী ও ওয়ারিশদের জমি সংক্রান্ত চক্রান্তের শিকার সাবেক কাউন্সিলর!

শরীয়তপুর পৌরসভার ৫নং ওয়ার্ডের মরহুম হাতেম ঢালী ও ওয়ারিশদের নিকট জমি সংক্রান্ত চক্রান্তের শিকার পৌরসভার ৬নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর আ: সামাদ বেপারী।

জানা যায়, ২০ বছর পূর্বে আ: সামাদ বেপারী এবং মরহুম মো: হাতেম ঢালী দক্ষিণ আটং মৌজার এস. এ-৭৯ ও বি.আর.এস-১৪৪ নং দাগে ৪৭ শতাংশ জমি খরিদ করে। উক্ত দুইজনই নিকটতম আত্মীয়। সম্পর্কে মামাতো-ফুফাতো ভাই। আ: সামাদ বেপারী কুয়েতে থাকাকালীন সময়ে দক্ষিণ আটং মৌজার এস. এ-৭৯ ও বি.আর.এস-১৪৪ নং দাগে ৪৭ শতাংশ জমি খরিদ করার জন্য মো: হাতেম ঢালীকে জমির মূল্যের অর্ধেক খরচ বাবদ ৮৪ হাজার টাকা প্রদান করে। উক্ত জমি উভয়ের পরামর্শক্রমে দেশে থাকা মো: হাতেম ঢালীর নামেই রেজিস্ট্রি হয়।

আ: সামাদ বেপারী কুয়েত থেকে দেশে আসলে ওই জমি থেকে অর্ধেক জমি ২৩.৫ শতাংশ জমি রেজিস্ট্রি করে দেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু মো: হাতেম ঢালী আ: সামাদ বেপারীকে ২৩.৫ শতাংশ জমি ভোগ করতে দিলেও নানা তালবাহানায় রেজিস্ট্রি করে দিতে ব্যার্থ হয়। অথচ আ: সামাদ বেপারী হাতেম ঢালীর বিশ্বাসের উপর ভর করে প্রায় ২০ বছর যাবৎ ভোগকৃত সম্পত্তিতে ১০ লক্ষ টাকা খরচ করে শিল্প প্রতিষ্ঠান ও সামাজিক বৈঠক খানা তিলে তিলে গড়ে তুলেছেন। হাতেম ঢালীর অসুস্থ অবস্থায় আ: সামাদ বেপারী জানতে পারে হাতেম ঢালীর মেয়ে হাসনা হেনা দীপা হাতেম ঢালীর থেকে ২৪ শতাংশ জমি জোড় করে রেজিস্ট্রি করে নিয়ে নেয়। এরপর আ: সামাদ বেপারী এ বিষয়ে সালিশের ডাক দেয়। সালিশে হাতেম ঢালীর ছেলে ইতালী প্রবাসী মামুন ঢালী আ: সামাদ বেপারীর নির্মাণকৃত প্রতিষ্ঠান ও সামাজিক বৈঠক খানার সেই জায়গায় ৬ শতাংশ জমি দেওয়ার জন্য উপস্থিত সালিশগণের সামনে একটি চুক্তিনামায় স্বাক্ষর করে প্রতিশ্রুতি দেয় যে, আমি যেভাবেই হোক আ: সামাদ বেপারীকে তার নির্মানকৃত প্রতিষ্ঠানের জায়গা ৬ শতাংশ অবশ্যই দলিল রেজিস্ট্রি করে দিব। কিন্তু মামুন ইতালী চলে যাওয়ার পর উক্ত প্রতিষ্ঠানভুক্ত ভোগকৃত জমি দখলের পায়তারায় হাতেম ঢালীর মেয়ে হাসনা হেনা দীপা বিভিন্ন ষড়যন্ত্র করে আসছে। আ: সামাদ বেপারীর হোল্ডিং ও বিদ্যুৎ বিলের ঠিকানা পরিবর্তনের পায়তারায় লিপ্ত হয়েছে। এমনকি প্রতিষ্ঠানভুক্ত ভোগকৃত জমি থেকে উৎখাতের পরিকল্পনায় হুমকি প্রদর্শন করছে। এ বিষয়ে পালং মডেল থানায় অভিযোগ করে রাখা হয়েছে।

এ বিষয়ে আ: সামাদ বেপারী বলেন, আমি বিদেশ থাকাকালীন সময়ে আমি ও হাতেম ঢালী দক্ষিণ আটং মৌজার এস. এ-৭৯ ও বি.আর.এস-১৪৪নং দাগের ৪৭ শতাংশ জমি ক্রয় করি। উক্ত জমির অর্ধেক আমার। আমি ২০ বছর যাবৎ ভোগদখলেও আছি। এখানে প্রতিষ্ঠান করেছি। এখনো পর্যন্ত আমাকে রেজিস্ট্রি করে দেয়নি। আমি আমার জমি ফেরত চাই। ইহা দিতে যদি অপারগ হয়, জমি রেজিস্ট্রি করে দিতে না পারে অন্তত আমাকে সালিশে চুক্তিপত্রের ৬ শতাংশ জমি যেন তাড়াতাড়ি ফেরত দেয়। আমি এলাকাবাসী ও প্রশাসনের নিকট এর উপযুক্ত বিচার চাই। যাতে আমার ন্যায্য পাওয়ানা ফেরত পেতে পারি।

এলাকাবাসীর আলাউদ্দিন হাওলাদার, আ: রহমান খান ও আব্দুল কাশেম বেপারী বলেন, আমরা জানি হাতেম ঢালী ও আ: সামাদ বেপারী দক্ষিণ আটং মৌজার এস. এ-৭৯ ও বি.আর.এস-১৪৪নং দাগের ৪৭ শতাংশ জমি যৌথভাবে ক্রয় করেছে। আ: সামাদ বেপারী ২০ বছর যাবৎ এ জমি ভোগ করে আসতেছে। সালিশে বসার পর জানতে পারি, আ: সামাদ বেপারীর নামে জমির রেজিস্ট্রি হয় নাই। হাতেম ঢালী রেজিস্ট্রি করে দেয় নাই। পরে সালিশের মাধ্যমে হাতেম ঢালীর ছেলে মামুনের সাথে ভোগকৃত প্রতিষ্ঠানের ৬ শতাংশ রেজিস্ট্রি করে দেওয়ার একটি চুক্তিপত্র হয়েছে। তারা আরও বলেন, আমাদের এলাকার সবাই জানে উক্ত জমির প্রতিষ্ঠান সামাজিক বৈঠক খানার জমির মালিক আ: সামাদ বেপারী।

এই প্রতিবেদন লেখার পূর্বে হাতেম ঢালির পরিবার বা ওয়ারিশগণের সাথে বার বার যোগাযোগের চেষ্টা করেও যোগ্রাযোগ করা সম্ভব হয়নি।


error: Content is protected !!