
শরীয়তপুর সড়ক ও জনপথ বিভাগের অধীনে মনোহর বাজার মোড় থেকে কোর্ট ব্রীজ পর্যন্ত রাস্তার প্রতিফলন ১০০টি লাইট লাগানোর এক মাসেই অকেজো হয়ে পড়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
সড়ক বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, নওগাঁর ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মোসার্স মোহাম্মদ আমিনুল হক প্রাইভেট লিমিটেড এর মাধ্যমে সড়কের মোড়ে মোড়ে সাইন বোর্ড ও রাস্তার (রিফ্লেটিং রোড স্টাটডস্ ) লাইট বসানোর কাজ দেওয়া হয়। গত মে মাসে ১৬ লাখ ১৯ হাজার টাকার ব্যায়ে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান থেকে এই কাজের দায়িত্ব দেওয়া হয় শরীয়তপুরের প্রথম শ্রেণীর ঠিকাদার মো. পাবেল মুন্সিকে। পরে চলতি বছরের মে মাসে কাজ শুরু কথা থাকলেও জুলাই মাসে শরীয়তপুর-মাদারীপুর সড়কে বসানো হয় (রিফ্লেটিং রোড স্টাটডস্) ১০০ টি লাইট। এর মধ্যে প্রায় এক মাসে অর্ধেক লাইট নষ্ট হয়ে গেছে। যদিও প্রতিটি লাইটের পাঁচ বছর করে গ্যারান্টি কথা বলা হলেও এখন নষ্ট হয়ে যাওয়ায় প্রশ্ন উঠেছে এই রুটে চলাচলকারীদের।
স্থানীয়ারা বলছেন, সড়কে দুর্ঘটনা রোধে যে প্রতিফলন লাইট লাগানো হয়েছে তা এক মাসেই ভেঙ্গে গেছে ও অনেকগুলো নষ্ট হয়ে গেছে। এ লাইটগুলো সচল থাকলে দুর্ঘটনা রোধে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতো। তাই দ্রুত লাইটগুলো পরিবর্তনের দাবি স্থানীয়দের।
এ বিষয়ে জানতে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান মোসার্স মোহাম্মদ আমিনুল হক প্রাইভেট লিমিটেড’র সাথে যোগাযোগ করলে তারা শরীয়তপুরের ঠিকাদার পাবেল মুন্সীর সাথে কথা বলতে বলেন।
পাবেল মুন্সির সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, কিছু কিছু লাইটে সমস্যা হয়েছে তা পরিবর্তন করার জন্য বলা হয়েছে। প্রতিটি লাইটের ৫ বছর করে গ্যারান্টি আছে।
শরীয়তপুর সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. সাজেদুর রহমান বলেন, পরীক্ষামূলক সড়কে (রিফ্লেটিং রোড স্টাটডস্) লাইট বসানো হয়েছে। প্রতিটি ৫ বছর করে গ্যারান্টি আছে, যেগুলো নষ্ট হয়েছে তা পরিবর্তনের জন্য ইতোমধ্যে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।