
পদবি পরিবর্তনসহ বেতন গ্রেড বৃদ্ধির দাবীতে শরীয়তপুরে সারা দেশের মত কর্মবিরতি পালন করেছে জেলা প্রশাসনের ৩য় শ্রেণির কর্মচারীরা।
বাংলাদেশ কালেক্টরেট সহকারী সমিতি (বাকাসস) কেন্দ্রীয় কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী শরীয়তপুর জেলা শাখার উদ্যোগে রবিবার ১৫ নভেম্বর শরীয়তপুর জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে সকাল ৯ টা থেকে দুপুর ১২ টা পর্যন্ত তিন ঘন্টার এ কর্মবিরতি পালন করে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়, উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয়, উপজেলা ভূমি অফিসের ৩য় শ্রেণির কর্মচারীরা। তারা ১৫ নভেম্বর থেকে এ কর্মবিরতি শুরু করে। যা শেষ হবে ১৯ নভেম্বর। কর্ম বিরতি চলাকালে সংশ্লিষ্ট অফিসসমূহের দাপ্তরিক কার্যক্রম স্থবির হয়ে পড়ে। অনেক সেবাগ্রহীতা সেবা না পেয়ে ফিরে যায়।
সকালে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে এ দাবীর সমর্থনে অনুষ্ঠিত এক সমাবেশে বক্তব্য দেন সমিতির জেলা শাখার সভাপতি মোঃ সেলিম মিয়া ও সাধারণ সম্পাদক মহসীন চৌকিদার। তারা বলেন, আমাদের চাকরির শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত কোন পদবী পরিবর্তন হয় না ও কোন শ্রেণি পরিবর্তনও করা হয় না। যার জন্য আমাদের সন্তানদের নিকট আমরা মূল্যহীন। সমাজের উচ্চতর গ্রেডের পরিবারের সাথে এ পার্থক্য ও বৈষম্য থাকায় তারা আমাদের নিচু চোখে দেখে। এ পার্থক্য দূরীকরনে আমাদের সংগঠনের মাধ্যমে এ আন্দোলন।
এ সময় সাংগঠনিক সম্পাদক মোহাম্মদ জিল্লুর রহমানের সঞ্চালনায় উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের (রাজস্ব বিভাগের) সি এ শাহ মুহাম্মদ ইসহাক, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের(সার্বিক) সি এ মোহাম্মদ বোরহান, ক্যাশ নাজির মাহবুব হোসেন, রেকর্ড রুমের অফিস সহকারি সুজাতা রানী দে, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট কার্যালয় সিএ আব্দুর রাজ্জাক, সংস্থাপন শাখার অফিস সহকারি কবির হোসেন, উচ্চমান সহকারি মোখলেসুর রহমান, আব্দুর রশিদ, রাবেয়া, গোবিন্দ চক্রবর্তী, মোঃ ফরহাদ হোসেন, বিমল চন্দ্র মুখার্জী, জিয়াউর রহমান, বকুল আক্তার, পারভিন আক্তার, অশোক কুমার দে, হাবিবুর রহমান পাহাড়, ফাহিমা আক্তার, খাদিজা আক্তার, শামসুন্নাহার, এফ এম নাজমুল, আনোয়ার হোসেন, দেবব্রত পাল, প্রশান্ত কুমার দাস, মুক্তা আক্তার ও আইসিটির শাহজালালসহ জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের প্রমূখ কর্মচারীবৃন্দ।
উল্লেখ্য, আগামী ২২ হতে ২৬ নভেম্বর ২৩ ও ৩০ নভেম্বর তাদের দাবি বাস্তবায়নের জন্য পূর্ণ দিবস কর্ম বিরতি পালন করবে। আগামী ৫ ডিসেম্বর আন্দোলনকারীরা ঢাকা জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধন ও সমাবেশ করে পরবর্তী কর্মসূচি ঘোষনা করবেন।