
গত ৩ ডিসেম্বর বৃহসপতিবার শরীয়তপুর পৌরসভা নির্বাচনের তফসিল ঘোষনার পর থেকে পৌরবাসীর দোয়া ও আশির্বাদ নিয়ে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেতে ঢাকা গিয়েছেন শরীয়তপুর পৌরসভার বর্তমান সফল মেয়র মো. রফিকুল ইসলাম কোতোয়াল। শুক্রবার (৪ ডিসেম্বর) সন্ধ্যার পর পৌর বাসস্ট্যান্ডে মানুষের দোয়া ও আশির্বাদ নিয়ে সন্ধ্যা সাড়ে ৭ টার দিকে তিনি ঢাকার উদ্দেশ্যে রওয়ানা দেন। এসময় রফিকুল ইসলাম কোতোয়াল বলেন, আমি শরীয়তপুর পৌরসভার বর্তমান নির্বাচিত মেয়র।
আগামী ১৬ জানুয়ারী এ পৌরসভায় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এ নির্বাচন সামনে রেখে দোয়া চাইতে পৌরসভার বিভিন্ন এলাকায় আমি মানুষের দ্বারে দ্বারে গিয়েছি। মনোনয়ন বোর্ডের সভাপতি জননেত্রী শেখ হাসিনা যদি আমাকে মনোনয়ন দেন তাহলে এবারও আমি নির্বাচন করবো। আমি মানুষের সাথে কথা বলে দেখেছি, মানুষ আমাকে অত্যন্ত ভালোবাসেন। আমি এই পশ্চাতপদ পৌরসভার উন্নয়ে কাজ করে যাচ্ছি। আমি পাঁচ বছরে দায়িত্বকালীন সময়ে ১২০ কোটি টাকার রাস্তাঘাট, ব্রীজ-কালভার্ট ও ড্রেন নির্মান করেছি। আগামীতে জনগন যদি আমাকে মেয়র নির্বাচিত করেন তাহলে আরও ৪৫০ কোটি টাকার উন্নয়ন কাজ করবো। আর এই কাজ করতে পারলে শরীয়তপুর পৌরসভা হবে আধুনিক ও যুগোপযোগী একটি পৌরসভা। প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার সাহসী সিদ্ধান্তের আজ পদ্মা সেতু নির্মাণ শেষ পর্যায়ে।
পদ্মাসেতু চালু হলে শরীয়তপুর পৌরসভার গুরুত্ব অনেক বেড়ে যাবে। সেকারণে আমি মনে করি একটি পরিকল্পিত নগর যদি গড়তে পারি তাহলে এই শরীয়তপুর শহর বাংলাদেশের যে কোন জেলা থেকে গুরুত্বপুর্ন শহর হবে। সে কারণেই এই পৌরসভার জনগন মনে করেন আমি যদি পুনরায় মেয়র নির্বাচিত হই তাহলে উন্নয়নের ধারাবাহিকতা অব্যাহত থাকবে এবং উন্নয়নের মহাসড়কের শেষ প্রান্তে গিয়ে পৌছবে। আমাকে যদি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকের মনোনয়ন দেয়া হয় তাহলে এই পৌরসভার জনগণ আমাকে বিপুল ভোটে নির্বাচিত করবে বলে আমি বিশ্বাস করি। তিনি আরও বলেন, আমি জেনেছি আগামী ৮ থেকে ১৩ ডিসেম্বরের মধ্যে স্থানীয় সরকার নির্বাচে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের মনোনয়ন বোর্ড প্রার্থীদের কাছ থেকে মনোনয়নের আবেদনপত্র জমা নিবেন। আমি আমার জনগন ও এলাকার মুরব্বীদের কাছ থেকে দোয়া ও আশির্বাদ নিয়ে আজকে আমি ঢাকা যাচ্ছি।
শরীয়তপুর-১ আসনের সংসদ সদস্য জননেতা ইকবাল হোসেন অপু, পানিসম্পদ উপমন্ত্রী এনামুক হক শামীম, শরীয়তপুর-৩ আসনের সংসদ সদস্য নাহিম রাজ্জাক, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সহ বিভিন্ন নেতৃবৃন্দের সাথে পরামর্শ করে আগামী ১০ তারিখের মধ্যে আমি মনোনয়নের আবেদনপত্র জমা দেব। এর আগে রেজ্যুলেশনের মাধ্যমে জেলা আওয়ামীগের পক্ষ থেকে প্রার্থীর নাম প্রেরণ করবেন। আমি বিশ্বাস করি সেখানে তারা আমার নাম প্রেরণ করবেন।
জননেত্রী শেখ হাসিনা যদি আমাকে মনোনয়ন দেন তাহলে আমি আগামী ১৬ জানুয়ারীর নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবো। আমি মানুষের দোয়া নিতে এসে বুঝতে পেরেছি জনগন আমাকে চায়। কারণ গত ৫ বছরে যে উন্নয়ন হয়েছে, বিগত ৩০ বছরেও সে উন্নয়ন হয়নি। আর আগামী ৫ বছর যদি আমি আবার মেয়র হিসেবে দায়িত্ব পালন করি তাহলে অসমাপ্ত উন্নয়নমূলক কাজ সমাপ্ত হবে। একারণেই শরীয়তপুর পৌরসভার জনগন আমাকে চায়। তাই আমি জনগনের কাছে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।