
হারানো দুই শিশুকে তার অভিভাবকের কাছে তুলে দিয়েছে শরীয়তপুর নারী ও শিশু আদালতের বিচারক আ: ছালাম খান। রোববার (৭ মার্চ) আব্দুর রহমান নিরব (৯) ও খুশি (৮) নামের দুই শিশুটিকে তুলে দেয়া হয়। তারা সম্পর্কে ভাই-বোন।
শিশু দুজনকে তার বাবা রফিকুল ইসলাম সুমন ব্যাপারী (৩০) ও দাদি রোকেয়া বেগমের (৬০) কাছে ফিরিয়ে দেয়া হয়।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, তাদের বাড়ি শরীয়তপুর সদর উপজেলার বিনোদপুর ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের বড় বিনোদপুর সুবিদার কান্দি গ্রামে।
আরও জানা যায়, গত ৩ মার্চ (বুধবার) রাত সাড়ে ১০ টার দিকে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি ফাহাদ হোসেন তপু শরীয়তপুর সদর উপজেলার ডোমসার বাজারে দেখতে পান বেশ কিছু মানুষ এক জায়গায় জড়ো হয়ে আছে। স্থানীয়রা বলেন, দুজন শিশু পাওয়া গেছে। শিশুদের পরিচয় জিজ্ঞেস করলে তারা বলতে পারছিল না। তাৎক্ষণিক পালং মডেল থানার ওসিকে বিষয়টি জানান তপু। তখন পুলিশ গিয়ে তাদের দুজনকে উদ্ধার করে পালং মডেল থানায় নিয়ে যায়। পরের দিন বৃহস্পতিবার শিশুদেরকে আদালতের মাধ্যমে নিরাপদ হেফাজতে ফরিদপুর সেইফ হোমে পাঠায়।
দাদি রোকেয়া বেগম বলেন, নিরব ও খুশির মা মরিয়ম বেগম দুই বছর আগে ওদের রেখে ঢাকা চলে যায়। আর খবর নেয় না। বাবা রফিকুল ইসলাম সুমন ব্যাপারী ঢাকাতে রিকশা চালায়। সেই সুবাদে নিরব ও খুশি গ্রামের বাড়িতে আমার সঙ্গে থাকে।
তিনি বলেন, অন্য শিশুদের সঙ্গে ঝগড়া করে নিরব ও খুশি। তাই ওদের গালাগালি করেছিলাম। তার জন্য ওরা বাড়ি থেকে পালিয়ে যায়। পালিয়ে গিয়ে পথ ও ঠিকানা ভুলে যায়। পরে নিরব ও খুশির ছবি নেটে দেখতে পাই। থানার মাধ্যমে জানতে পারি ওদের আদালতে দেয়া হয়েছে।
পালং মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসলাম উদ্দিন বলেন, উদ্ধার করার পর আসল অভিভাবক ও সঠিক ঠিকানা জানতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তাদের ছবি দেয়া হয়েছিল। শিশুদেরকে আদালতের মাধ্যমে নিরাপদ হেফাজতে পাঠানো হয়। তাদের অভিভাবকের অনুসন্ধান করে এবং পরিচয় নিশ্চিতের পর আজ আদালত শিশুদের বাবা ও দাদির কাছে হস্তান্তর করেছে।