সোমবার, ২রা অক্টোবর, ২০২৩ ইং, ১৭ই আশ্বিন, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ, ১৬ই রবিউল-আউয়াল, ১৪৪৫ হিজরী
সোমবার, ২রা অক্টোবর, ২০২৩ ইং

পৌরসভা কর্মচারীদের বেতন ভাতা পরিশোধের দাবি, বাংলাদেশ পৌরসভা সার্ভিস এসোসিয়েশনের

পৌরসভা কর্মচারীদের বেতন ভাতা পরিশোধের দাবি, বাংলাদেশ পৌরসভা সার্ভিস এসোসিয়েশনের

বাংলাদেশের ৩২৯ টি পৌরসভার পৌর কর্মচারীদের বেতন ভাতা পরিশোধের দাবিতে স্থানীয় সরকার বিভাগ বরাবর স্বারকলিপি প্রদান করেছেন বাংলাদেশ পৌরসভা সার্ভিস এসোসিয়েশন।

বাংলাদেশ পৌরসভা সার্ভিস এসোসিয়েশন (বিএপিএস) কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সভাপতি আঃ আলিম মোল্লা ও সাধারণ সম্পাদক আব্দুস ছাত্তার স্বাক্ষরিত সাংবাদিকদের পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখিত স্মারকলিপিতে বলা হয়েছে- বাংলাদেশের ৩২৯ টি পৌরসভায় দীর্ঘদিন যাবৎ বেতন ভাতা হয় না। বছরের পর বছর বেতন ভাতা বকেয়া থাকায় পৌর কর্মচারীগণ মানবেতর জীবনযাপন করছেন। কোন কোন পৌরসভায় ৬০ মাসের অধিক বেতন বকেয়া রয়েছে। সেকারনে বাংলাদেশ পৌরসভা সার্ভিস এসোসিয়েশন দীর্ঘদিন যাবৎ রাষ্ট্রীয় পোষাগার হতে বেতন প্রাপ্তীর জন্য সরকার বিভাগ ও মাননীয় প্রধান মন্ত্রী বরাবরে দাবী জানিয়ে আসছে এবং দাবী বাস্তাবায়নের জন্য বিভিন্ন প্রকার অহিংস কর্মসূচি পালন করে আসছে। সর্বশেষ গত ১৪/০৭/২০১৯ খ্রি: তারিখ হতে হাজার হাজার পৌর কর্মচারী দাবী বাস্তবায়নের জন্য ঢাকায় জাতীয় প্রেসক্লাবে অবস্থান করতে থাকেন। দীর্ঘ ১ মাসের অধিক সময় কর্মচারীরা রাত দিন প্রেসক্লাবে অবস্থানের পর ২৩/০৮/২০১৯ খ্রি: তারিখ মাননীয় স্থানীয় সরকার মন্ত্রী প্রেসক্লাবে উপস্থিত হয়ে ৩ মাসের মধ্যে বেতন ভাতার সমাধান করবেন মর্মে প্রতিশ্রুতি দিলে কর্মচারীরা স্ব স্ব পৌরসভায় গিয়ে কাজে যোগদান করেন। মাননীয় মন্ত্রী মহোদয়ের নির্দেশনায় স্থানীয় সরকার বিভাগে সিনিয়র সচীব মহোদয়ের গৃহীত বিভিন্ন পদক্ষেপে অবস্থার কিছুটা উন্নতি হলেও কর্মচারীদের বেতন ভাতা সমাধান হয়নি।

নির্বাচন পরবর্তী সময়ে নতুন পরিষদ এসে কর্মচারীদের বকেয়া বেতন ভাতা দিতে অসম্মতি প্রকাশ করায় পৌর কর্মচারীদের বেতন ভাতার সমস্যা আরো প্রকট আকার ধারণ করেছে। নতুন মেয়রগণ দায়িত্ব নিয়েই মাস্টার রোল কর্মচারীদের ছাটাই করছেন। আবার নতুন করে নিজের লোকদের নিয়োগ দিচ্ছেন। স্থানীয় সরকার বিভাগের নির্দেশনা অমান্য করে বেতন ভাতা পরিশোধ না করে আইন বহি:ভূত ভাবে রাজস্ব খাত হতে অন্যান্য বিল পরিশোধ করছেন।

এ বিষয় কর্মচারীরা প্রতিবাদ করলে তাদের নির্যাতন করা হচ্ছে। আমরা বিষয়টি ইতিমধ্যেই স্থানীয় সরকার বিভাগকে লিখিতভাবে অবগত করেছি। এদিকে লকডাউনের মধ্যে পৌর কর্মচারীগণ নাগরিক সেবা দিয়ে যাচ্ছেন। অন্যদিকে বেতন না পেয়ে পরিবার পরিজন নিয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছে। পবিত্র ঈদুল ফিতরের পূর্বে ৭৫% পৌরসভার বেতন বোনাস হবে না মর্মে আমরা আশঙ্কা করছি। এহেন পরিস্থিতিতে জরুরী ভিত্তিতে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য স্থানীয় সরকার বিভাগের মাননীয় মন্ত্রী, সিনিয়র সচিব মহোদয় ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করছি। করোনার ঝুকি মাথায় নিয়ে আমরা রাত দিন পরিশ্রম করে নাগরিক সেবা দিবো অথচ বেতন বোনাস পাবো না এটা হতে পারে না। পৌর কর্মচারীদের বেতন ভাতা রাষ্ট্রীয় কোষাগার হতে প্রদানের বিষয়ে ইতোমধ্যেই মহামান্য আদালত আদেশ দিয়েছেন। তা দীর্ঘদিন যাবৎ স্থানীয় সরকার বিভাগে পড়ে রয়েছে। অনতি বিলম্বে মহামান্য আদালতের আদেশ বাস্তবায়ন পৌর কর্মচারীদের বেতন ভাতার সমাধান না হলে বাংলাদেশ পৌরসভা সার্ভিস এসোসিয়েশনের পক্ষ হতে কঠোর কর্মসূচী ঘোষনা করা হবে।


error: Content is protected !!