প্রথম আলোর অনুসন্ধানী রিপোর্টার রোজিনা ইসলামের ওপর ন্যাক্কারজনক হামলা ও মিথ্যা মামলা দিয়ে জেল হাজতে পাঠানোর প্রতিবাদে শরীয়তপুরে মানববন্ধন ও স্বারকলিপি প্রদান করা হয়েছে।
বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক ফোরাম (বিএমএসএফ) শরীয়তপুর জেলা শাখার উদ্যোগে বৃহস্পতিবার (২০ মে) সকাল সাড়ে ১০ টায় জেলা প্রশাসক কার্যালয় চত্ত্বরে মানববন্ধন শেষে জেলা প্রশাসক বরাবরে স্বারকলিপি প্রদান করা হয়।
দেশব্যাপী কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক ফোরাম (বিএমএসএফ) শরীয়তপুর জেলা শাখা এ কর্মসুচির আয়োজন করেন।
কর্মসূচিতে বিএমএসএফ শরীয়তপুর জেলা শাখার সভাপতি ফারুক আহমেদ মোল্যা, সাধারণ সম্পাদক বেলাল হোসাইন সহ জেলার সকল সদস্য ও জেলায় কর্মরত বিভিন্ন মিডিয়ার সংবাদকর্মীরা অংগ্রহন করেন।
এ সময় বিএমএসএফ কেন্দ্রীয় সভাপতি শহিদুল ইসলাম পাইলট এক বিবৃতিতে বলেন, রাষ্ট্রের সাথে গণমাধ্যম বিরোধ তৈরি করে সরকারকে বেকায়দায় ফেলার চেষ্টা চলছে। কিছু অসাধু কর্মকর্তা দেশকে বেকায়দায় ফেলতে চাচ্ছেন! সাংবাদিকদের সাথে সরকারের দূরত্ব সৃষ্টি করতে চাচ্ছে! প্রধানমন্ত্রী সাংবাদিকবান্ধব সকলের জানা। দেশের সাংবাদিক দেশের উন্নয়ন নিয়ে কাজ করে যাচ্ছেন। সাংবাদিক রাষ্ট্রের চতুর্থ স্তম্ভ। ঝড়-বৃষ্টি জলসা করোনা মহামারীর সহ সকল বিষয়ে ঝুঁকি নিয়ে কাজ করে যাচ্ছেন সাংবাদিক বন্ধুগণ।
তিনি বলেন, প্রতিনিয়ত সরকারের সুষ্ঠু পরিকল্পনা উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ড সংবাদপত্র ইলেকট্রনিক মিডিয়া অনলাইন মিডিয়ার তুলে ধরছে সাংবাদিক। রোজিনা ইসলামের সাথে ন্যক্কারজনক যে ধরনের ঘটনা ঘটানো হয়েছে এই ঘটনাটি ঘটানোর পিছনে পূর্বের পরিকল্পনা ছিলো সম্ভবত।
এর পিছনে কারা জড়িত? কারা সাংবাদিকদের সাথে সরকারের দূরত্ব সৃষ্টি করতে চাচ্ছে? করা ফায়দা লুটতে চাইছে? কারা সরকারের সুষ্ঠু পরিকল্পনার নস্যাত করতে চায়?
সরকারের কাছে দাবি রইল এই পরিকল্পনার পিছনে কারা দায়ী এদেরকে খুঁজে বের করে আইনের আওতায় আনা উচিত। গণতন্ত্র রাষ্ট্রে সাংবাদিকদের ভূমিকা থাকবেই। আইন আছে আদালত আছে। এভাবে সাংবাদিককে হেনস্তা করা হলো কোন?
সরকারের সুষ্ঠু পরিকল্পনা ভেস্তে ফেলার জন্য এটা একটা বড় ধরনের পরিকল্পনা ছিলো কিনা এটা খতিয়ে দেখা প্রয়োজন। সচিবালয় হল রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ ও পবিত্র জায়গা। এই ধরনের ঘটনা রাষ্ট্রের জন্য শুভ লক্ষণ নয়। সরকার ও সাংবাদিক সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক গড়ে উঠলেই দেশের গণতন্ত্র অটুট থাকবে।