Thursday 28th March 2024
Thursday 28th March 2024

Notice: Undefined index: top-menu-onoff-sm in /home/hongkarc/rudrabarta.net/wp-content/themes/newsuncode/lib/part/top-part.php on line 67

শরীয়তপুরে পাথরের স্থলে ইটের খোঁয়ায় ভবন নির্মনে ঠিকাদার শ্রীঘরে

শরীয়তপুরে পাথরের স্থলে ইটের খোঁয়ায় ভবন নির্মনে ঠিকাদার শ্রীঘরে

শরীয়তপুরে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল বিভাগে (এলজিইডি) সিডিউল বহির্ভূত ভাবে পাথরের স্থলে ইটের খোঁয়া দিয়ে ঢালাই কাজ করায় ঠিকাদার সহ ৩ জনের বিরুদ্ধে ২৪জুন মামলা দায়ের করেছে সদর উপজেলা প্রকৌশলী এ এফ এম তৈয়াবুর রহমান।

গতকাল মঙ্গলাবার কাজের সাইড থেকেই ঠিকাদার প্রতিনিধি আবু আলেমকে গ্রেফতার করে হাজতে প্রেরণ করেছে পালং মডেল থানা পুলিশ। মামলার অপর আসামীগণ পলাতক রয়েছে।

মামলার এজাহার ও সদর উপজেলা প্রকৌশলীর কার্যালয় থেকে জানাগেছে, শরীয়তপুর সদর উপজেলার আংগারিয়া ইউনিয়ন ভূমি অফিস নির্মাণের জন্য ঝিনাইদহ জেলার মেসার্স লিটন ট্রেডার্সের স্বত্ত্বাধীকারি মো. মিজানুর রহমানকে নিয়োগ দেয়া হয়। ঠিকাদার মিজানুর রহমান তার বরাদ্দকৃত ভবন নির্মানের জন্য শরীয়তপুর পৌরসভার কাশাভোগ এলাকার আবু আলেম ও আব্দুল মান্নান মনাকে নিয়োগ করেন।

ঠিকাদার ও তার প্রতিনিধিগণ কাজে নিয়োজিত উপ-সহকারি প্রকৌশলী শাহাসুদ্দিন খানকে বা উপজেলা প্রকৌশলীকে অবহিত না করে গ্রেড বীম ঢালাই করে। সিডিউল বহির্ভূত পাথরের স্থলে ইটের খোঁয়া ও নিন্মমানের নির্মাণ সামগ্রী ব্যবহার না করতে উপজেলা প্রকৌশলীর পক্ষ থেকে ঠিকাদার ও তার প্রতিনিধিদের মৌখিক ভাবে জানিয়ে দেয়া হয়।

সিডিউল অমান্য করে কাজ করার সংবাদ পেয়ে এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী, উপজেলা প্রকৌশলী ও উপ-সহকারী প্রকৌশলী কাজের সাইডে গিয়ে সিডিউল বহির্ভূত কাজ ভেঙ্গে অপসারণ করান। পরবর্তীতে ২৪ জুন নির্বাহী প্রকৌশলীর নির্দেশে উপজেলা প্রকৌশলী ৩ জন আসামী করে মামলা করে।

ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান মেসার্স লিটন ট্রেডার্সে’র সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করে কাউকেই পাওয়া যায়নি।

উক্তকাজের দায়িত্বপ্রাপ্ত উপ-সহকারি প্রকৌশলী শাহাবুদ্দিন খান বলেন, ঈদের ছুটির মধ্যে আমাদের না জানিয়ে পাথরের পরিবর্তে ইটের খোয় দিয়ে ঢালাইর কাজ করেছে। পরবর্তীতে নির্বাহী প্রকৌশলী, উপজেলা প্রকৌশলী ও আমি গিয়ে ঢালাই ভেঙ্গে দিয়েছি।

এ বিষয়ে উপজেলা প্রকৌশলী এ এফ এম তৈয়াবুর রহমান বলেন, ঠিকাদার ঈদের ছুটির মধ্যে আমাদের না জানিয়ে ঢালাই দেয়। তখন পাথরের পরিবর্তে ইটের খোঁয়া ব্যবহার করে। পরবর্তীতে নির্বাহী প্রকৌশলী ও আমরা গিয়ে ঢালাই ভেঙ্গে দিয়েছি এবং ঠিকাদরদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছি।

নির্বাহী প্রকৌশলী একেএম বাদশা মিয়া বলেন, আমার কাছে মনে হয়েছিল আংগারিয়া ভূমি অফিসের ভবন নির্মাণে কোন অনিয়ম হচ্ছে। তাই সেখানে গিয়ে দেখি গ্রেডবীম ঢালাইতে পাথরের পরিবর্তে ইটের খোঁয়া ব্যবহার ও নিন্মমানের নির্মাণ সামগ্রী ব্যবহার করা হচ্ছে। সাথে সাথে জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারের সাথে আলাপ করি। তাদের নির্দেশেই ঠিকাদার ও তার প্রতিনিধিদের বিরুদ্ধে মামলা করি। ঠিকাদার ও তার প্রতিনিধির বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে এবং তারা হজতে গেছে।