
কুমিল্লা থেকে মাদারীপুরের উদ্দেশ্যে মোটরসাইকেল যোগে ২০ কেজি গাঁজা নিয়ে যাওয়ার সময় শরীয়তপুরের সখিপুর এলাকায় ট্রাফিক পুলিশ ইন্সপেক্টরের হাতে আটক হয়েছে লিটন মোল্লা (৩৮) এক যুবক।
শুক্রবার ৫ মে দুপুর সোয়া বারোটার দিকে শরীয়তপুরের সখিপুর থানাধীন নরসিংহপুর ফেরিঘাটের ২ নং ঘাট থেকে ২০ কেজি গাঁজাসহ লিটন মোল্লাকে আটক করেন ট্রাফিক পুলিশ ইন্সপেক্টর (টিআই) মো. খুরশীদ আলম শিকদার।
এসময় খুরশিদ আলম শিকদার গণমাধ্যমকে জানান , গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারি চাঁদপুরের হরিনা ফেরি ঘাট থেকে শরীয়তপুরের নরসিংহপুর ফেরি ঘাটের উদ্দেশ্যে ছেড়ে আসা কাকলি ফেরিতে এক ব্যক্তি গাঁজা পরিবহন করছেন।
পরবর্তীতে নরসিংহপুর ফেরিঘাটের ২ নম্বর ঘাট থেকে লিটন মোল্লাকে ২০ কেজি গাঁজাসহ আটক করেছি। একটি মোটরসাইকেলের পেছনে দড়ি দিয়ে শক্ত করে বেঁধে একটি ব্যাগের ভেতর পাঁচটি পোটলায় ২০ কেজি গাজা নিয়ে সে কুমিল্লার সাশন গাছা এলাকা থেকে মাদারীপুর যাচ্ছিল বলে স্বীকার করেছেন। একটি মোটরসাইকেল ও ২০ কেজি গাঁজাসহ লিটন মোল্লাকে আমি সখিপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে বুঝিয়ে দিয়েছি। লিটন মোল্লা মাদারীপুর জেলার সদর থানার চর নোসনা গ্রামের মৃত মো. জাহিদ মোল্লার ছেলে।
এলাকার সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান আওয়ামী লীগ নেতা জিতু মিয়া জানান, মাদক বিরোধী অভিযানে আমাদের ফেরি ঘাট এলাকায় পুলিশ সব সময় তত্বপর।
সখিপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসাদুজ্জামান হাওলাদার বলেন, লিটন মোল্লার বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা দায়ের করা হবে। ২০ কেজি গাঁজা ও মোটরসাইকেলসহ তাকে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হবে।
শরীয়তপুর জেলা পুলিশ সুপার সাইফুল হক জানান, শরীয়তপুর একটি গুরুত্বপূর্ণ জেলা। পদ্মা সেতু উপর দিয়ে ঢাকার সাথে দক্ষিণাঞ্চলের ২১ জেলার যোগাযোগ। আরেকটি যোগাযোগ চট্টগ্রাম খুলনা সড়কে চাঁদপুর-শরীয়তপুর মেঘনা ফেরিঘাট। এছাড়া বিভিন্ন জেলার সাথে শরীয়তপুর পাশ দিয়ে বিভিন্ন জেলার নৌপথ রয়েছে। সেই ক্ষেত্রে আমাদের জেলার পুলিশ বিভিন্ন স্থানে মাদকবিরোধী অভিযান অব্যাহত। আগামীতে এই তৎপরতা অব্যাহত থাকবে। তারই ধারাবাহিকতায় চাঁদপুর থেকে ২০ কেজি গাঁজা নিয়ে আসা শরীয়তপুর ফেরিঘাট এলাকা থেকে একজনকে আটক করতে সক্ষম হয়েছে শরীয়তপুরে পুলিশ।