
শরীয়তপুর-১ আসনের বিএনপির মনোনীত প্রার্থী সরদার একেএম নাসির উদ্দিনের (কালু) মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়েছে। ১৯৮৮ সাল হতে ১৯৯১ সাল পর্যন্ত টেলিফোন বিল বকেয়া থাকায় মনোনয়ন বাছাই কালে মনোনয়পত্রটি বাতিল ঘোষণা করেন, শরীয়তপুরের রিটার্নিং কর্মকর্তা কাজী আবু তাহের। ওই সময় কালে নাসির উদ্দিনের কাছে ৩ হাজার ৮১৫ টাকা বিল বকেয়া রয়েছে।
এ ছাড়া টেলিফোন বিল বকেয়া থাকায় শরীয়তপু-২ আসনের জাকের পার্টির প্রার্থী বাদল কাজীর ও শরীয়তপুর-৩ আসনের কমিউনিষ্ট পার্টির প্রার্থী সুশান্ত ভাওয়ালের মনোনয়পত্র বাতিল করা হয়েছে। বাদল কাজীর কাছে ১১ হাজার ৮১ টাকা ও সুশান্ত ভাওয়ালের কাছে ২ হাজার ১২৩ টাকা বিল বকেয়া রয়েছে।
শরীয়তপুর-১ আসনের জাকের পার্টি প্রার্থী আলমগীর হোসেন ঋণ খেলাপি হওয়ায় ও শরীয়তপুর-২ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী সফি উদ্দিন মানিক হাওলাদারের এক শতাংশ ভোটারের সমর্থন সম্বলিত স্বাক্ষর জমা না দেয়ায় মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়েছে। আলমগীর হোসেন স্থানীয় গোসাইরহাট উপজেলার কোদালপুর শাখা কৃষি ব্যাংকের ১ লাখ ৬০ হাজার টাকার ঋণ খেলাপি।
রোববার রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ে মনোনয়নপত্র বাছাইয়ের কাজ শুরু হয়। টেলিফোন বিল বকেয়া থাকায় তখন ওই তিন প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বাছাই বিকাল পর্যন্ত স্থগিত রাখা হয়। এ সময়ের মধ্যে ওই তিন পার্থী বিটিসিএল এর রাজস্ব শাখা ফরিদপুরে বকেয়া বিল নগদ টাকায় পরিশোধ করেন। কিন্তু নির্বাচনী আইনে মনোনয়নপত্র দাখিলের সাত দিন পূর্বে সকল বকেয়া বিল ও ঋণ পরিশোধ করতে হবে।
এখন শরীয়তপুর এক আসনে আওয়ামীলীগ প্রার্থী ইকবাল হোসেন অপুসহ ৭ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দিতা করতে পারবেন।
বিএনপির প্রার্থী সরদার নাছির উদ্দিন কালু বলেন, আমার কোন টেলিফোন বিল বকেয়া নেই। আমি ৯১ সালে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করি। ২০০৪ সালে শরীয়তপুর পৌরসভার মেয়র নির্বাচিত হই। এতদিন পরে আমার টেলিফোন বিল কি ভাবে বকেয়া হলো তা আমার জানা নেই। আমি প্রার্থীতা ফিরে পেতে নির্বাচন কমিশনে আপিল করবো।
শনি | রবি | সোম | মঙ্গল | বুধ | বৃহ | শুক্র |
---|---|---|---|---|---|---|
১ | ২ | ৩ | ৪ | ৫ | ৬ | |
৭ | ৮ | ৯ | ১০ | ১১ | ১২ | ১৩ |
১৪ | ১৫ | ১৬ | ১৭ | ১৮ | ১৯ | ২০ |
২১ | ২২ | ২৩ | ২৪ | ২৫ | ২৬ | ২৭ |
২৮ | ২৯ | ৩০ | ৩১ |