
শরীয়তপুরে বর্ষবরণ ও পহেলা বৈশাখ ১৪২৬ উদযাপন উপলক্ষে প্রস্তুতিমূলক সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার (৩ এপ্রিল) বিকাল সাড়ে ৩টায় জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে এই সভা সভা অনুষ্ঠিত হয়। জেলা প্রশাসক কাজী আবু তাহেরের সভাপতিত্বে সভায় উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলা জেলা প্রশাসক (সার্বিক) আব্দুল্লাহ আল মামুন তালুকদার, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার তানভীর হায়দার, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাহাবুর রহমান শেখ, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অনল কুমার দে, জেলা যুবলীগের সভাপতি জাহাঙ্গীর মৃধা, সাধারণ সম্পাদক নুহুন মাদবর, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মুক্তিযোদ্ধা মাহবুব রাজ্জাক, শরীয়তপুর পৌরসভার প্যানেল মেয়র হোসেন মোহাম্মদ আলমগীর মৃধা, এসডিএস এর নির্বাহী পরিচালক মজিবুর রহমান, শরীয়তপুর প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক আব্দুস সামাদ তালুকদার, জেলা যুবলীগের সহ সভাপতি গোলাম মোস্তফা, সদর উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান সামিনা ইয়াছমিন। সদর হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. মো. আব্দুল্লাহ, জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক খোন্দকার নূরে আলম সিদ্দিকী, জেলা মৎস্য কর্মকর্তা বিশ^জিৎ বৈরাগী, জেলা সমাজসেবা কার্যালয়ের উপপরিচালক কামাল হোসেন, সদর উপজেলা কৃষি অফিসার আলমগীর হোসেন, জেলা শিশু বিষয়ক কর্মকর্তা সরল বড়–য়া প্রমূখ।
জেলা প্রশাসক কাজী আবু তাহের স্বাগত বক্তব্যে বলেন, পহেলা বৈশাখ বাংলা নববর্ষ পালন বাঙালি সংস্কৃতির একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ। আবহমান কাল ধরে বাঙালি অধ্যুষিত জনপদে সার্বজনীন ও অসাম্প্রদায়িক এ উৎসবটি পালিত হয়ে আসছে। ধর্ম ও বর্ণ নির্বিশেষে বাংলা নববর্ষের এ পহেলা দিনটি বাঙালি জাতির এক মহা মিলনমেলায় রূপান্তরিত হয়। জেলা প্রশাসক আরও বলেন, জাতিসংঘের অঙ্গ সংস্থা ইউনেক্সো মঙ্গল শোভাযাত্রাকে বিশে^র গরুত্বপূর্ন “ইনটেনজিবল কালচারাল হেরিটেজ” এর তালিকায় অন্তর্ভূক্ত করেছে, যা বাঙালি জাতির জন্য অত্যন্ত আনন্দের। অশুভ শক্তি আর বিবেদ সৃষ্টির বিরুদ্ধে আজ শান্তি ও সম্প্রিতিকামী বাংলাদেশের সর্বস্তরের মানুষের ঐক্যের প্রতীক হয়ে উঠেছে মঙ্গল শোভাযাত্রা। ইউনেক্সো মঙ্গল শোভাযাত্রাকে “ইনটেনজিবল কালচারাল হেরিটেজ” এর তালিকায় অন্তর্ভূক্ত করায় নববর্ষের উৎসবটিতে আরও বাড়তি মাত্রা যোগ হচ্ছে।
সভায় বর্ষবরণ উপলক্ষে তরুণ প্রজন্মের কাছে বাঙালি সংস্কৃতির গৌরবময় ঐতিহ্য পৌছে দেওয়ার লক্ষ্যে জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে ও এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিদের সহযোগিতায় মঙ্গল শোভাযাত্রা, বৈশাখী মেলা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান আয়োজনের উপর আলোকপাত করা হয়। সভায় সকলের মতামতের ভিত্তিতে তিন দিনের কর্মসুচি গ্রহন করা হয়। কর্মসুচির মধ্যে রয়েছে পহেলা বৈশাখ সকাল সাড়ে ৭টায় জেলা প্রশাসকের কার্যালয় হতে একটি বর্ণাঢ্য শোভা যাত্রা শুরু হয়ে সদর উপজেলা পরিষদ চত্ত্বরে গিয়ে সমাপ্ত হবে। সকাল ৮টায় সদর উপজেলা পরিষদ চত্ত্বরে আয়োজিত বৈশাখী মেলার উদ্বোধন, বিকাল ৩টা হতে সাড়ে ৪টা পর্যন্ত পৌরসভা অডিটরিয়ামে লোকসংগীত ও লোকনৃত্য প্রতিযোগিতা, সাড়ে ৪টা থেকে ৬টা পর্যন্ত সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও সুবিধাজনক সময়ে হাসপাতাল, কারাগার ও শিশু পরিবারে উন্নত মানের খাবার পরিবেশন। ২ বৈশাখ বিকাল ৩টা হতে ৬টা পর্যন্ত চিত্রাঙ্কন, আবৃত্তি ও শিশুদের ক্রীড়া প্রতিযোগিতা, সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা হতে রাত ৯টা পর্যন্ত সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। ৩ বৈশাখ সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা হতে রাত ৯টা পর্যন্ত সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।