
শরীয়তপুর সদর উপজেলায় জমি সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে আপন ভাই ও চাচা ভাতিজাদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে উভয় পক্ষের ৬ জন আহত হয়েছে। আহতদের শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। রোববার (৯ জুন) বিকাল ৫টার সময় সদর উপজেলার গয়গর গ্রামে এই সংর্ঘষের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় একজনকে আটক করেছে পুলিশ।
পুলিশ ও স্থানীয় সুত্রে জানা গেছে, গয়গর গ্রামের মৃত কাবিল মোল্যার ছেলে মজিবর মোল্যার সাথে তার আপন ভাই দুলাল মোল্যা ও চাচা এসকান্দার মোল্যার জমি সংক্রান্ত বিরোধ রয়েছে। এই বিরোধের জের ধরে বিকাল ৫টার দিকে উভয় পক্ষ দেশীয় অস্ত্রসস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এতে মজিবর মোল্যার ছেলে সাইফুল মোল্যা (৩০), সাইফুল মোল্যার স্ত্রী রুমা আক্তার (২৫) ও হৃদয় মোল্যা (২৪) এবং অপর পক্ষের দুলাল মোল্যা (৬০), এসকান্দার মোল্যার ছেলে লিটন মোল্যা (৩৫) ও মতি মোল্যার ছেলে অনিক মোল্যা (২৫) গুরুতর আহত হয়। এদেরকে উদ্ধার করে শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ ঘটনায় মজিবর মোল্যাকে আটক করেছে পুলিশ। উভয় পক্ষ থানায় মামলা করার প্রস্তুতি নিচ্ছে।
মজিবর মোল্যার ছেলে আল আমিন মোল্যা বলেন, আমার দাদা কাবিল মোল্যার সম্পত্তি আমার চাচা দুলাল মোল্যা, মতি মোল্যা ও ইকবাল মোল্যা জোর জুলুম করে খাইতেছে। তারা আমার বাপের অংশের সম্পতি আমাদের ভোগ দখলতে করতে দেয়না। এ নিয়ে অনেকবার সালিশ দরবার হয়েছে। কিন্তু কিছুতেই তারা সালিশ দরবার মানতেছেনা। এ নিয়ে কথা বললেই তারা আমাদের মারধর করতে আসে। আজকে বিকেলে আমার ছোট ভাই হৃদয় মোল্যা একটি অনুষ্ঠান থেকে দাওয়াত খেয়ে তাদের বাড়ির সামনে দিয়ে বাড়ি আসতেছিলো। এ সময় আমার চাচা দুলাল মোল্যা সহ আরও কয়েকজন আমার ভাই হৃদয়কে উদ্দেশ্যে করে বলে এই শালায় বেশি বাড়াবাড়ি করে, ওকে ধর, আজকে ওকে শেষ করে দিবো। এই কথা বলে তারা আমার ভাই হৃদয়কে দৌড়ে ধরে পিটিয়ে গুরুতর জখম করে শুইয়ে রাখে। এই খবর পেয়ে আমার ভাই সাইফুল মোল্যা ও তার স্ত্রী রুমা আক্তার হৃদয়কে উদ্ধার করতে এগিয়ে গেলে তাদেরও মারধর করে গুরুতর জখম করে। এ সময় সাইফুলের স্ত্রী রুমা আক্তারকে শ্লীলতা হানি করে হামলাকারীরা। আমরা এ হামলার ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছি।
দুলাল মোল্যা বলেন, মজিবর মোল্যা ও তার ছেলেরা আমাদের পৈত্রিক সম্পতি জোর জবরদস্তি করে একাই ভোগ দখল করতে চায়। তারা আমাদের আমগাছ বাঁশ কেটে নিয়ে গেছে। এর প্রতিবাদ করায় মজিবর মোল্যা ও তার ছেলেরা আমাদের ওপর হামলা করেছে। আমি এ ঘটনার সুষ্ঠু বিচার চাই।
পালং থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আসলাম উদ্দিন বলেন, জমি সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে গয়গর গ্রামের আপন ভাই ও চাচা ভাতিজাদের মধ্যে সংঘর্সের ঘটনা ঘটেছে। এতে উভয় পক্ষের ৬ জন আহত হয়ে শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। এ ঘটনায় একজনকে আটক করা হয়েছে। উভয় পক্ষ মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছে। এ ব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।