
শরীয়তপুরে জাতীয় শিক্ষক ফোরামের ঈদ পুনর্মিলনী অনুষ্ঠিত হয়েছে। শুক্রবার বিকেল ৩টায় শরীয়তপুর সদরের দুবাই প্লাজায় চিকন্দী ফুডপার্কে সংগঠনটির জেলা কমিটির আয়োজনে এ অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। এতে সংগঠনটির জেলা নেতাকর্মীরা সহ প্রায় শতাধিক শিক্ষকরা অংশ নেন।
জাতীয় শিক্ষক ফোরাম শরীয়তপুর জেলা সভাপতি মাওলানা আবু জাফর মো. সালেহ এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন জাতীয় শিক্ষক ফোরামের কেন্দ্রীয় সভাপতি বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ অধ্যাপক মাহবুবুর রহমান। বিশেষ অতিথি ছিলেন শিক্ষক ফোরামের কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি অধ্যাপক নাসির উদ্দিন খান। প্রধান বক্তা ছিলেন ইস্ট ওয়েস্ট ইউনিভার্সিটির সহকারি অধ্যাপক মাহমুদুল হাসান রাইহান।
অনুষ্ঠান উপস্থাপনা করেন শিক্ষক ফোরাম শরীয়তপুর জেলা সেক্রেটারী এস এম আহসান হাবিব।
এছাড়া ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ শরীয়তপুর জেলা সভাপতি মাওলানা শওকত আলী, সেক্রেটারী মাওলানা হাফিজুর রহমান, শরীয়তপুর ফাজিল মাদ্রাসার উপধ্যাক্ষ মাও. আনোয়ারুল হক, নটর ডেম কলেজের লেকচারার ঈদি আমিন হোসেন প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
প্রধান অতিথি শিক্ষাবিদ অধ্যাপক মাহবুবুর রহমান বলেন তার বক্তব্যে, নৈতিক শিক্ষা না থাকার কারনে উচ্চ শিক্ষিতারও অন্যায় কাজে লিপ্ত হচ্ছে। সকল প্রকার অন্যায়-অনাচার মুক্ত করতে হলে নৈতিক শিক্ষার আদলে ইসলামী সমাজ ব্যবস্থা অনুযায়ী আদর্শিক সমাজ বিনির্মান করতে হবে।
তিনি আরও বলেন, শিক্ষকরা হচ্ছে জাতির কর্ণধার। শিক্ষকরা নৈতিক জায়গা থেকে সরে গেলে যে কোন জাতির পতন অনিবার্য হয়ে দাড়ায়। নৈতিক বিপর্যয়ের ফলে আজ শিক্ষকরা নানা অন্যায় কাজের সঙ্গে জড়িত হচ্ছে। সাদা কাপড়ে দাগ লাগলে যেমন স্পষ্ট দেখা যায়, তেমনি শিক্ষকরা অন্যায় করলে সেটা সমাজের কাছে অত্যান্ত ঘৃনিত বিষয় হয়ে দাড়ায়। ২-১জন শিক্ষক অন্যায় কাজে জড়িত হওয়ার কারনে যাতে পুরো শিক্ষক বদনাম না হয় সেদিকে আমাদের সজাগ দৃষ্টি রাখতে হবে। তাই জাতীয় শিক্ষক ফোরাম সকল স্তরের শিক্ষকদের নিয়ে ঐক্যবদ্ধ হয়ে আদর্শিক সমাজ বিনির্মানে কাজ করে যাচ্ছে।
এসময় তিনি ২০১৯-২০ অর্থ বছরে শিক্ষকদের জন্য উল্লেখযোগ্য বরাদ্দ না দেয়া এবং বিদেশ থেকে শিক্ষক এনে শিক্ষাদান করার সিদ্ধান্তের সমালোচনা করেন। এছাড়া সম্প্রতি মুসলিম নারীদের হিজাব নিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আপত্তিকর মন্তব্য প্রত্যাহারের দাবীও জানান।