সোমবার, ৫ই জুন, ২০২৩ ইং, ২২শে জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ, ১৬ই জিলক্বদ, ১৪৪৪ হিজরী
সোমবার, ৫ই জুন, ২০২৩ ইং

গোসাইরহাটে সরকারী জমি উদ্ধারে নির্মাণাধীন স্থাপনা ভেঙ্গে দিয়েছে

গোসাইরহাটে সরকারী জমি উদ্ধারে নির্মাণাধীন স্থাপনা ভেঙ্গে দিয়েছে

শরীয়তপুরের গোসাইরহাটে খোলা বাজারের জন্য বরাদ্দকৃত সরকারী জমিতে নির্মাণাধীন অবৈধ স্থাপনা ভেঙ্গে দিয়ে দখলমুক্ত করেছে বলে স্থানীয়রা দাবী করেছে। অপর দিকে ক্ষতিগ্রস্তরা জানিয়েছে তাদের দখলীয় মালিকানা জমিতে তারা মার্কেট নির্মাণ কাজ শুরু করে। অসৎ উদ্দেশ্যে স্থানীয়রা তা ভেঙ্গে দিয়ে প্রায় ১০ লক্ষাধিক টাকা পরিমান ক্ষতিসাধন করেছে। এই বিষয়ে স্থানীয় সংসদ সদস্য নাহিম রাজ্জাকের সাথে পরামর্শ করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করবেন তারা। সোমবার ৩০ নভেম্বর দুপুরে উপজেলার কয়েক’শ লোক জড়ো হয়ে ওই সম্পত্তির উপর গড়ে ওঠা স্থাপনা গুলো হাতুড়ি, শাবাল দিয়ে গুড়িয়ে দিয়েছে।

প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয়রা জানায়, উপজেলা সদরের প্রাণ কেন্দ্রে অবস্থিত দাসের জঙ্গল গরুরহাট সংলগ্ন মিত্রসেনপট্টি মৌজার ক-তফসিলভুক্ত প্রায় ৫ কোটি টাকা মূল্যের অর্পিত সরকারি সম্পত্তি টিন দিয়ে বেড়া দিয়ে দখলে রেখেছিল একটি প্রভাবশালী মহল। বর্তমানে ওই সম্পত্তিতে পাকা ভবন নির্মাণ কাজ চলছিল। সেখানে প্রয়াত জননেতা আব্দুর রাজ্জাক খোলা বাজার নির্মাণের জন্য প্রাথমিক ভাবে কাজ শুরু করে। পরবর্তীতে সেই জায়গাটি অরক্ষিত ছিল। কয়েক মাস থেকে সেই জমি স্থানীয় একটি প্রভাবশালী মহল বেড়া দিয়ে দখলে নেয়। এখন আবার স্থাপনা নির্মাণ কাজ শুরু করে। স্থানীয় জনতা আজ সেই জমি দখলমুক্ত করতে নির্মাণাধীন স্থাপনা ভেঙ্গে দিয়েছে।

স্থাপনা ভাঙ্গায় অংশগ্রহনকারী কয়েক জন জানায়, এটি গোসাইরহাটের ব্যবসায়ীদের জন্য খোলা বাজার হিসেবে চিহ্নিত করেন প্রয়াত জননেতা আব্দুর রাজ্জাক। সেই লক্ষ্যে সেখানে ইটের সলিং দিয়ে প্রাথমিক কাজ শুরু করা হয়। অনেকদিন সেই খোলা বাজারের নির্ধারিত স্থান পরিত্যক্ত ছিল। একটি মহল সেখানে বেড়া দিয়ে দখলে নেয়। এখন দেখি সেখানে পাকা স্থাপনা নির্মাণ কাজ শুরু করেছে। তাই খোলা বাজার দখলমুক্ত করতে স্থানীয়দের উদ্যোগে এই পদক্ষেপ গ্রহন করা হয়েছে।

এই বিষয়ে গোসাইরহাট উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান দেওয়ান মো. শাহজাহান বলেন, আমাদের রেকর্ডীয় মালিকানা জমিতে মার্কেট নির্মাণ কাজ শুরু করি। প্রায় ১০ লক্ষ টাকা সেখানে ব্যয় করা হয়েছে। স্থানীয় কতিপয় চাঁদাবাজ আমাদের কাছে টাকা দাবী করে। টাকা না দেওয়ায় সোমবার দুপুরে সেই স্থাপনা ভেঙ্গে ফেলেছে। বিষয়টি পুলিশ প্রশাসন ও স্থানীয় সংসদ সদস্য নাহিম রাজ্জাক মহোদয়কে জানিয়েছি। এমপি মহোদয়ের পরামর্শে আমরা পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহণ করব।
গোসাইরহাট থানা অফিসার ইনচার্জ মো. মোল্যা সোয়েব আলী বলেন, সংবাদ পেয়ে সেখানে পুলিশ পাঠাই। এখন সেখানকার পরিস্থিতি শান্ত আছে। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করব।


error: Content is protected !!