
শরীয়তপুরের গোসাইরহাট উপজেলার নাগেরপাড়ায় স্থানীয় শত্রুতা উদ্ধার করতে প্রতিপক্ষের বাড়ি-ঘর পুড়িয়ে দেয়ার অভিযোগ উঠেছে প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে। ৯ ডিসেম্বর বুধবার দিবাগত রাত ১২ টার দিকে নাগেরপাড়া ইউনিয়নের উত্তর ভদ্রচাপ গ্রামের আলগীর সারেং এর বাড়িতে এই ঘটনা ঘটে। ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের সদস্যরা ২ ঘন্টা চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। ঘটনা পরবর্তী গোসাইরহাট থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শণ করেছেন। ঘটনার সাথে জড়িতদের বিরুদ্ধে মামলা করবেন বলে জানিয়েছে ক্ষতিগ্রস্থ পরিবার।
ঘটনাস্থলে গিয়ে ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারের সাথে কথা বলে জানা গেছে, তিন বছর পূর্বে স্থানীয় দ্বন্দ্বের জেরে ইউপি সদস্য নজরুল ইসলাম মুন্সীকে হত্যা করা হয়। হত্যা মামলার আসামী পক্ষের আলমগীর মুন্সী, জামাল মুন্সী, আবুবকর ফরাজী ও রিজিয়া বেগমের বসত ঘর সহ ৬টি ঘর পুড়িয়ে দিয়েছে হত্যা মামলার বাদী পক্ষ ও সাক্ষিরা। গভীর রাতে প্রতিটি ঘরের দরজা বাহির থেকে বন্ধ করে দিয়ে এই অগ্নিকান্ড ঘটানো হয় বলে জানান তারা।
প্রত্যক্ষদর্শী মোশারফ সারেং জানায়, লোকজনের ডাক চিৎকারে তার ঘুম ভেঙ্গে যায়। বের হয়ে দেখে তার চাচাতো ভাই আলমগীরের ঘরে আগুন জ্বলতেছে। তখন তিনি নজরুল মুন্সী হত্যা মামলার বাদী পক্ষের আজিম, তাজিম, মিলন, লিটন, নয়ন, শয়ন, সুমনদের ছেন-দা হাতে পালিয়ে যেতে দেখে। তিনি ধারণা করছেন পালিয় যাওয়া লোকেরা ঘরে আগুন লাগিয়েছে। আগুনে পুড়ে ৪ টি বসত ঘর ও ২টি গোয়াল ঘর সহ ১টি গরু, ৪টি ছাগল ও ৩০ টি হাঁস মুরগির পুড়ে যায়। এতে প্রায় ১০ লক্ষ টাকা পরিমান ক্ষতি সাধণ হয়েছে। এই বিষয়ে তারা মামলা করবেন।
মজিবর রহমান জানায়, এদের কাজই মানুষের ঘরে আগুন দিয়ে ক্ষতি করা। এরা প্রথমে শাহালম তালুকদার, হানিফ মাল ও মোতাহার চৌকিদারের ঘরে আগুন দেয়। পরে আমাদের বাড়িতে আগুন দিয়ে এই ক্ষতি করেছে।
নজরুল মুন্সী হত্যা মামলার বাদী পক্ষে লাভলী বেগম জানায়, আমাদের ৩ একর জমি হত্যা মামলার আসামীরা জোর করে খায়। প্রতিবাদ করায় আমার ভাই নজরুল মুন্সীকে আসামীরা নির্মমভাবে কুপিয়ে হত্যা করে। জমির বিষয়ে আগামী শনিবার সালিশী বসার কথা। যাতে সালিশীতে বসতে না হয় তাই নিজেরাই এই অগ্নি কান্ডের ঘটনা ঘটিয়েছে। আমদের কেউ এই অগ্নি কান্ডের ঘটনা ঘটায় নাই।