
শরীয়তপুর জেলার জাজিরা উপজেলার সেনেরচর ইউনিয়নে চরধুপুরিয়া বালিয়া কান্দিতে এক ভূমিদস্যু নারী সন্ত্রাসীর কবলে পড়ে স্থানীয়দের মধ্যে আতংক বিরাজ করার অভিযোগ উঠেছে। এমনকি বোমা আতংকে ঘর থেকে বের হতে পারছেনা শিশুরা।
মানিক নগর শেখ হাসিনা উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মকবুল মৃধার জমি গ্রাস করার জন্য, ২১ জুলাই রাতে মঞ্জুরা ও তার সন্ত্রাসী বাহিনী মকবুল মৃধার বাড়িতে ঢুকে গালিগালাজ করে, টিনের বেড়া কোপায় এবং একাধিক ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটায় বলে অভিযোগ করেন তিনি। এসময় প্রতিবেশীরা বেড়িয়ে এলে পালিয়ে যায় সন্ত্রাসীরা।
এঘটনায় মকবুল মৃধার পরিবারের সদস্যরা ভুগছেন মৃত্যু আতংকে, এছাড়া তার বড় মেয়ে মিনহা (৮) রাম কৃঞ্চ সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের তৃতীয় শ্রেনীর শিক্ষার্থী সেও ভয়ে বের হয়না, তার ছোট দুই ভাই মজাহিদ (৪) ও মোয়াচ্ছির মাহাদী(২) কে নিয়ে সারাদিন ঘরেই বন্দী হয়ে পড়ে আছে। এই সংবাদ সংগ্রহকালে প্রতিবেদককে দেখেও ভয় পায় শিশুরা কথা বলার সাহস হারিয়ে ফেলেছে তারা।
স্থানীয় সূত্রে জানাযায়, মঞ্জুরা বেগম নামের মাগুরার এক নারী ওয়ারিশ দাবি করে জাজিরা উপজেলার সেনেরচর ইউনিয়নে, কৌশলে স্থানীয়দের জমির কাগজ জালিয়াতি করে, সাধারন মানুষের সাথে প্রতারনার করে আসছেন বলে দাবি করছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। তারা আরও জানান, সেনের চর ইউনিয়নের ৮ নং ওয়ার্ড সদস্য রেজাউল মাদবরকে এক বছর হয় বিয়ে করেছে ঐ নারী। মঞ্জুরা বেগমের মাগুরার একটি ওয়ারিশ সনদে মায়ের নামে ঠিক থাকলেও তার বাবার নামের জায়গায় রয়েছে কানাই মন্ডল এবং শরীয়তপুরের জাতীয় পরিচয়পত্রে রয়েছে রহিম মন্ডলের নাম।
বোমা বিস্ফোরণের ঘটনায় শিক্ষক মকবুল মৃধা জানান, মঞ্জুরা বেগম তার স্বামী রেজাউল মাদবরসহ ৪/৫জন রাতের আধাঁরে আমার বাড়ি হামলা করে, এর আগেও গত মার্চ মাসে আমাদের উপর হামলা করে, তখন আমি আদালতে মামলা করি, ২১ তারিখে আমার বাড়িতে বোমা হামলার ঘটনায় জাজিরা থানায় অভিযোগ দায়ের করতে গেলে, জাজিরা থানার ওসি উল্টো আমাকে অভিযুক্ত করে বলে বোমা বিস্ফোরণের ঘটনার নাটক তোমরাই সাজিয়েছো, এবং তার অভিযোগ পত্র গ্রহন করেনি বলে অভিযোগ করেন তিনি।
এঘটনায় মকবুল মৃধার স্ত্রী রুমা বেগম বলেন, আমরা সবাই এখন ঘর থেকে, বাড়ি থেকে বের হতে পারিনা এদের ভয়ে, কখন যেনো আমাদের মেরে ফেলে এই ভয়ে, তিনি তার সন্তানদের বাঁচাতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সহযোগিতা চেয়েছেন।
মঞ্জুরা বেগমের ভূমি দস্যুতা ও তার সন্ত্রাসী কর্মকান্ডের বিষয়ে ভূক্তভোগী জেবেল কবিরাজ জানান, তার নিজের জমি থেকে মঞ্জুরা লোকজন নিয়ে সন্ত্রাসী কর্মকান্ড ঘটিয়ে ২ শতাংস জমি দখল করে নিয়েছে।
এঘটনায় টয়েল কবিরাজ জানান, এই মঞ্জুরা বেগমের কোন আত্বীয় স্বজন এই এলাকায় নেই, তাকে স্থানীয় প্রভাবশালীরা আবিস্কার করে মানুষের সম্পদ গ্রাসের পায়তারা করছেন।
বোমা বিস্ফোরণের বিষয়ে জাজিরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, বোমা বিস্ফোরণের পর মকবুল মৃধা আমাদের বিষয়টি জানানোর পর ফোর্স পাঠালে তারা গিয়ে দেখে মঞ্জুরা ঘুমিয়ে আছে, তদন্ত করে আমার অফিসার জানায় মকবুল মৃধা নিজেই বোমা বিস্ফোরণের নাটক সাজিয়েছে।