
করোনা মহামারীতে পৃথিবী যখন স্তব্ধ। তখন বাংলাদেশ ও লকডাউনের মধ্যে আবদ্ধ। ঠিক এ সময় সংকটের মধ্যে দিন কাটাচ্ছে অনেক অস্বচ্ছল পরিবার, দিনমজুর শ্রমজীবী মানুষেরা। তাদের কথা ভেবে অসহায়দের পাশে এসে দাঁড়িয়েছে “যুব ছায়া সংসদ” সদস্য কে.এম. ধ্রুব। ইয়ুথ এগেইন্সট হাঙ্গার কর্তৃক আয়োজিত ৮ম যুব ছায়া সংসদের সদস্য। তিনি বর্তমানে দ্বাদশ শ্রেণির একজন শিক্ষার্থী। এসএসসি বোর্ড বৃত্তিতে প্রাপ্ত টাকা দিয়ে সহযোগিতা হাত বাড়িয়ে দিলেন ২০ টি অস্বচ্ছল পরিবারের দিকে। প্রতিটি পরিবারকে ৩০০ টাকা করে নগদ অর্থ প্রদান করে। এছাড়াও করোনা ভাইরাসের দূর্যোগে বিগত দিনে ধ্রুব সাপ্তাহিক জীবাণুনাশক স্পে কার্যক্রমে অংশ নেন এবং চারদিন যাবৎ কৃষকের ধান কেটে দিয়ে সহযোগিতা করেছিলেন।
অ্যাড.আবুল কালাম আজাদ বলেন, ধ্রুব-কে বিগত দিনেও আমরা দেখেছি মানুষের পাশে দাঁড়াতে, সাধারণ মানুষের পক্ষে নানামুখী কাজ করতে। একজন শিক্ষার্থী হিসেবে আজকে এসএসসির প্রাপ্ত বৃত্তির টাকা সাধারণ মানুষের মাঝে বিতরণ করেছে। কাজটি অত্যন্ত মহৎ ও প্রশংসনীয়। কাজের এ ধারা অব্যাহত থাকবে এমনটাই আশা করছি। তিনি বিত্তবানের প্রতি আহ্বান করেন, যেন তারা অসহায় মানুষের বিপদে এগিয়ে আসে।
কে.এম. ধ্রুব’র বাবা কে.এম. ওবায়দুল হক জানান, ‘পি.এস.ই ও জে.এস.সি বৃত্তির টাকা জমিয়ে সে ক্যামেরা ক্রয় করেছিলো এবারে এসএসসির বৃত্তির টাকা জমিয়ে ছিলো এইচ.এস.সি’র পরে নতুন ফোন কিনবে বলে। কিন্তু সে তার সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করে পুরো অর্থটাই অসহায়, দরিদ্রদের মাঝে বিতরণ করেছে। যা সময় উপযোগী সঠিক সিদ্ধান্ত বলে আমি মনে করি।
অর্থ প্রদানকালীন সময়ে উপস্থিত ছিলেন, শরীয়তপুর জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি অ্যাড. আবুল কালাম আজাদ, নড়িয়া পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক কে. এম. ওবায়দুল হক ও উদীচী শিল্পী গোষ্ঠী, নড়িয়া উপজেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক মাস্টার সাইদুল হক মুন্নাহ্।