
শরীয়তপুরের নড়িয়ায় পুকুরে মাছ ধরাকে কেন্দ্র করে মধ্যযুগীয় কায়দায় বর্বর হামলার শিকার হয়েছেন এক বৃদ্ধা নারী। ঐ বৃদ্ধা নারীর নাম মমতাজ বেগম(৬০)। সে ফতেজঙ্গপুর(শিরঙ্গল) এলাকার আ: রব ঢালীর স্ত্রী এবং পুলিশের এ এস আই শফিক ঢালীর মা। গত রোববার (১৯ মার্চ) দুপুরে নিজ বসতঘরের সামনে ঐ একই এলাকার সন্ত্রাসী ও দাঙ্গাবাজ খালেক বেপারী(৫০), সাইফুল বেপারী(৩০), শাকিল বেপারী(২২), শাকিব বেপারী(২০) ও সীমান্ত(১৮)সহ ৭/৮ জনের হামলার শিকার হয়েছেন মমতাজ বেগম। এ বিষয়ে ভিকটিমের মেয়ের জামাই জাহাঙ্গীর বেপারী বাদী হয়ে নড়িয়া থানায় একটি মামলা দায়ের করেছে। পুলিশ এ পর্যন্ত মামলার কোন আসামীকে গ্রেফতার করতে পারেনি। স্থানীয় ও পারিবারিকসূত্রে জানা যায়, আ: রব ঢালীর বাড়ির পুকুরের মাছ বিক্রির বায়নার টাকা আ: রব ঢালীকে না দিয়ে জোরপূর্বক মেশিন দিয়ে পানি সেচ দিয়ে মাছ ধরতে আসে আ: খালেক বেপারী গংরা। ঐ সময় আ: রব ঢালীর স্ত্রী মমতাজ বেগম পানি সেচের মেশিন বন্ধ করতে বললে সন্ত্রাসী ও দাঙ্গাবাজ খালেক বেপারী, সাইফুল বেপারী, শাকিল বেপারী, শাকিব বেপারী ও সীমান্তসহ ৭/৮ জন বাড়ির উঠানে এসে মমতাজ বেগম মধ্যযুগীয় কায়দায় বর্বর হামলা করে। পরে প্রতিবেশী লোকজন এসে ‘৯৯৯’ এ কল করলে পুলিশ এসে ঘটনা নিয়ন্ত্রণে আনে।
এ বিষয়ে স্থানীয় ও প্রতিবেশী হাতেম আলী বেপারী ও শহরবানু বলেন, আ: খালেক বেপারী গংরা পুকুরে মাছ ধরার জন্য পানি সেচের মেশিন লাগায়। মমতাজ বেগম তা নিষেধ করার কারনে তাকে বড় কাঠের টুকরা ও রড দিয়ে এলোপাথাড়ি মারধর করে। পরে পুলিশ এসে মমতাজ বেগমকে উদ্ধার করে শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য পাঠায়। আ: খালেক বেপারী গংরা খুব খারাপ প্রকৃতির মানুষ। তাদের নামে থানায় একাধিক অভিযোগ আছে এবং জিডি করা আছে। অন্যায় করবেনা বলে বনসই দেওয়া আছে। বৃদ্ধ মানুষটাকে যেভাবে মেরেছে, ওদের কঠিন বিচার হওয়া উচিত। এ বিষয়ে প্রতিপক্ষের কাউকে পাওয়া যায়নি।
ঘটনার বিষয়ে নড়িয়া থানা ওসি হাফিজুর রহমান মোবাইল ফোনে বলেন, ফতেজঙ্গপুর(শিরঙ্গল) এলাকায় আ: রব ঢালীর স্ত্রী ও এ এস আই শফিক ঢালীর মা মমতাজ বেগম হামলার শিকার হয়েছেন। এ বিষয়ে একটি মামলা হয়েছে। মামলার তদন্ত চলছে। তিনজন আসামি জামিনে আছে। কোন আসামী এখনো গ্রেফতার হয়নি।