
শরীয়তপুরের নড়িয়া উপজেলার সিংহলমুড়ী গ্রামে ছাত্রী রূপা আক্তারের উপর হামলাকারী শিক্ষক মাস্টার আব্দুল আলী সোহেল আগাম জামিনে এসে ছাত্রী রূপা আক্তারের পরিবারকে মামলা তোলার জন্য হুমকী দিচ্ছেন এমনটাই অভিযোগ উঠেছে। রূপার পরিবার এখন নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত ১৮ জুন শরীয়তপুরের নড়িয়া উপজেলার ঘড়িসার ইউনিয়নের সিংহলমুড়ী গ্রামে ফুটবল খেলাকে কেন্দ্র করে চর লাউলানী দিল মোহাম্মদ খানের মেয়ে হালইসার নন্দনসার উচ্চ বিদ্যায়ের দশম শ্রেণির ছাত্রী রূপা আক্তার (১৬) ও তার ছেলে চুন্নু মিয়া খানের (২৬) উপর হামলা চালান ৬৫নং চর মোহন সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মাস্টার আব্দুল আলিম সোহেল (৩৫)। এসময় তার সাথে ছিল ডালিম, বাসার, আনোয়ার, বিউটি অজ্ঞাত কয়েকজন।
হামলায় রূপা আক্তার গুরুতর আহত হলে তাকে নড়িয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়।
এ ঘটনায় রূপার বাবা মোহাম্মদ খান বাদী হয়ে মাস্টার আব্দুল আলিম সোহেলসহ কয়েকজনকে আসামী করে নড়িয়া থানায় গত ১৮ জুন একটি মামলা দায়ের করেন।
এ ঘটনায় মাস্টার সোহেলের বিচারের দাবীতে হালইসার নন্দনসার উচ্চ বিদ্যায়ের শিক্ষার্থীরা, শিক্ষক ও স্থানীয় লোকজন বিক্ষোভ মিছিল, মানববন্ধনও করেছেন।
জেলা শিক্ষা অফিস ও উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসে সোহেলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার জন্য লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন ৬৫নং চর মোহন সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বিদ্যালয়ের শিক্ষকগণ।
মামলার আসামী মাস্টার সোহেল আদালত থেকে অগ্রিম জামিনে এসে রূপা আক্তারের পরিবারকে মামলা তোলার জন্য বিভিন্ন ধরনের ভয়ভীতি দেখাচ্ছে ও হুমকি দিচ্ছে। রূপার পরিবার এখন নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন।
রূপার বাবা মোহাম্মদ খান বলেন, মাস্টার সোহেল আমার মেয়ে রূপাকে তলপেটে লাথি মারে ও শ্লীলতাহানীর চেষ্টা করেন। এ ঘটনায় সোহেলসহ কয়েকজনকে আসামী করে মামলা করেছি। মামলা আদালতে চলমান আছে। কিন্তু আসামীরা সবাই জামিনে এসে মামলা তোলার জন্য বিভিন্নভাবে ভয়ভীতি দেখাচ্ছে। শুধু তাই নয় আমার ছেলে চাঁন মিয়াকে তুলে নিয়ে হালইসার উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে নিয়ে মোয়াজ্জেম মাস্টারের বিরুদ্ধে মিথ্যা কথা বলিয়ে মোবাইলে ভিডিও করে। ছেলে না বলতে চাইলে তাকে প্রাণ নাশের হুমকী দেয়। আমি এখন পরিবার নিয়ে আতঙ্কে বসবাস করছি। অভিযুক্ত মাস্টার আব্দুল আলিম সোহেলের সাথে যোগাযোগ করতে চাইলে তাকে পাওয়া যায়নি।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক স্কুল শিক্ষক বলেন, আব্দুল আলিম সোহেল মাস্টার তিনি রাজনীতির সাথে জড়িত এবং নিয়মিত স্কুল করেন না। তাছাড়া স্কুল ছাত্রী রূপাকে মারধর করেছে এ ঘটনায় আমরা তীব্র নিন্দা জানাই এবং সোহেলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার জন্য উপজেলা শিক্ষা অফিস ও জেলা শিক্ষা অফিসকে লিখিতভাবে অবগত করি।
নড়িয়া থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আসলাম উদ্দিন বলেন, সোহেলের বিরুদ্ধে মামলাটি আদালতে চলমান আছে। তবে রূপার পরিবারকে হুমকির ব্যাপারে কেউ অভিযোগ নিয়ে থানায় আসেনি।