
শরীয়তপুরের নড়িয়া উপজেলার ঘড়িসার ইউনিয়নের সিংহলমুড়ি এলাকার ছাত্তার হাওলাদার নামে এক অসহায় বৃদ্ধকে সংখ্যালঘুর দোহাই দিয়ে মিথ্যা অভিযোগে হয়রানির অভিযোগ উঠেছে।
হয়রানির অভিযোগটি উঠে একই এলাকার প্রভাবশালী সঞ্জয় কুমার পালের বিরুদ্ধে।
জানা যায়, উপজেলার ঘড়িসার ইউনিয়নের ১১০নং সিংহলমুড়ী মৌজায় ৬৮ নং এসএ খতিয়ানের ৮১২ নং দাগে বাড়ি ৪২ শতাংশ, ৮১৩ নং দাগে ভিটা ৩০ শতাংশ ও ৭৯২ নং দাগে ২২ শতাংশ মোট ৯৪ শতাংশ জমি ক্রয়সূত্রে মালিক ছাত্তার হাওলাদার। কিন্তু সেই জমির উপর চোখ পরে এলাকার প্রভাবশালী সঞ্জয় কুমার পালের। দীর্ঘদিন যাবৎ জোরপূর্বক জমি দখল করার পায়তারা করছে সঞ্জয় কুমার। এ জমি নিয়ে এলাকায় একাধিকবার শালিশ-দরবারও হয়। দরবারে সঞ্জয় কুমার জমি না পেয়ে শরীয়তপুর আদালতে বাটওয়ারা মামলা (দেঃ মামলা নং ১৬৩/২০১৭ইং) দায়ের করে। তাছাড়া সঞ্জয় কুমার বিভিন্ন প্রশাসনিক দপ্তরে ছাত্তার হাওলাদোরের বিরুদ্ধে অভিযোগ দিয়ে তাকে হয়রানি করছে।
এ ব্যাপারে ছাত্তার হাওলাদার বলেন, ১১০নং সিংহলমুড়ী মৌজায় ৯৪ শতাংশ জমির ক্রয়সূত্রে মালিক আমি। আমার নামে জমির বিআরএস করা। দীর্ঘদিন যাবৎ জমির মালিক হিসেবে ভোগ করে আসছি। কিন্তু সেই জমি জোর করে ভোগ করতে চায় সঞ্জয় কুমার পাল। জমি না পেয়ে আমার বিরুদ্ধে কোর্টে মিথ্যা অভিযোগ করেছে। শুধু তাই নয় বিভিন্ন প্রশাসনিক দপ্তরে আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ দিয়ে হয়রানি করছে।
সঞ্জয় পালগং জোরপূর্বক জায়গা না বুঝিয়ে দিয়ে ঘর নির্মাণ করতে চান। বহিরাগত লোকজন দিয়ে বিভিন্নভাবে ভয়ভীতি দেখাচ্ছে। আমি পরিবার নিয়ে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি।
এ ব্যাপারে সঞ্জয় কুমার পালের সাথে যোগাযোগ করতে চাইলে তাকে পাওয়া যায়নি।
এ ঘটনায় ঘড়িসার ইউনিয়ন ভূমি অফিসের তহসিলদার ও নড়িয়া থানা পুলিশ সরেজমিন তদন্ত করেছেন।
ঘড়িসার ইউনিয়ন ভূমি অফিসের তহসিলদার মো. মহব্বত আলী বলেন, আমি সরজমিনে পরিদর্শন করেছি। ওই জমি নিয়ে আদালতে মামলা রয়েছে।