
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে শরীয়তপুর-২ (নড়িয়া-সখিপুর) আসনে আওয়ামীলীগের মনোনয়ন প্রত্যাশি ছিলেন বর্তমান সাংসদ কর্ণেল (অবঃ) শওকত আলীর ছেলে ডা. খালেদ খালেদ শওকত আলী। এ আসন থেকে মনোনয়ন পেয়েছেন আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এনামুল হক শামিম। ডা. খালেদ শওকত দীর্ঘদিন ধরে এ আসনে নির্বাচনি প্রচার-প্রচারণা চালাচ্ছিলেন। রোববার আওয়ামীলীগের প্রার্থী তালিকা প্রকাশ হলে খালেদ শওকত’র নেতাকর্মী-সমর্থকরা ছিলেন অনেকটাই বাকরুদ্ধ। সোমবার রাতে নিজ নির্বাচনী এলাকায় খালি হাতেই ফিরেছেন ডা. খালেদ শওকত। মঙ্গলবার সকাল থেকেই নেতাকর্মী ও সমর্থকরা ঢল নামে তার নিজ বাস ভবনে।
এসময় নেতাকর্মীরা কান্নায় ভেঙে পড়েন। নেতা কর্মীদের আহাজারিতে বাকরুদ্ধ হয়ে পরে সবাই। পরে বর্তমান সাংসদ কর্ণেল (অবঃ) শওকত আলীর উপস্থিতিতে নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে তিনি বলেন, আমার বাবা আজীবন আপনাদের ভালোবাসায় সিক্ত হয়েছেন। আমি আপনাদের চোখের জলে সিক্ত হলাম আজ। আপনাদের এই চোখের জলের মুল্য আমরা কোন দিন দিতে পারবোনা। আমার বাবা এবং আমি আজীবন আপনাদের পাশে থাকবো।
আবেগ আপ্লুত কণ্ঠে খালেদ বলেন, ১৯৬৮ সালে আমার বাবা আগারতলা মামলার আসামী হয়ে বঙ্গবন্ধু সঙ্গে হাসতে হাসতে ফাঁসির মঞ্চে গিয়েছিলেন। আজীবন বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে বাস্তবায়ন করার জন্য কাজ করে গেছেন। আমিও বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে উজ্জিবিত রাখতে প্রয়োজনে আমার জীবন বিসর্জন দিয়ে দেব। আমি বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের স্বার্থে যে কোন ত্যাগ স্বীকার করতে রাজী আছি। তিনি নৌকার বিজয় নিশ্চিত করে জননেত্রী শেখ হাসিনা পুনরায় ক্ষমতায় আনতে নৌকার পক্ষে কাজ করতে উপস্থিত নেতা কর্মীদের আহবান জানান। একইসঙ্গে মৃত্যুর আগ পর্যন্ত নড়িয়া-সখিপুরের মানুষের পাশে থাকবেন বলে ঘোষণা দেন।
এসময় নড়িয়া উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি হাজী হাচান আলী রাড়ি, সাধারণ সম্পাদক হাসানুজ্জামান খোকন, যুগ্ম সম্পাদক আলাউদ্দিন বেপারী, সাংগঠনিক সম্পাদক হাফিজ মল্লিক, উপজেলা যুবলীগের আহবায়ক নাসির মোল্লা, স্বেচ্ছাসেবক লীগের আহবায়ক দেলোয়ার আকনসহ আওয়ামীলীগ ও অঙ্গ সংগঠনের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতা কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।