Thursday 18th April 2024
Thursday 18th April 2024

Notice: Undefined index: top-menu-onoff-sm in /home/hongkarc/rudrabarta.net/wp-content/themes/newsuncode/lib/part/top-part.php on line 67

নড়িয়ায় ডাঃ আলগীর মতি’র নিজ উদ্যেগে ফ্রি চিকিৎসা সেবা ও ঔষধ প্রদান

নড়িয়ায় ডাঃ আলগীর মতি’র নিজ উদ্যেগে ফ্রি চিকিৎসা সেবা ও ঔষধ প্রদান

শরীয়তপুর জেলার নড়িয়া উপজেলায় কলুকাঠি গ্রামে অবস্থিত মা জেনারেল হসপিটাল এর আয়োজনে ডাঃ আলমগীর মতি’র উদ্যেগে ফ্রি চিকিৎসা সেবা ও ঔষধ প্রদান করেন। ৪ জানুয়ারি শুক্রবার সকাল ৮ টা থেকে বিকাল ৪ টা পর্যন্ত ২০০ জন রোগীকে ফ্রি চিকিৎসা ও ঔষধ প্রদান করেন দক্ষিণ ও পূর্ব এশিয়ার খ্যাতি সম্পর্ন চিকিৎসক হারবাল গবেষক ও মর্ডান গ্রুপের চেয়ারম্যান লায়ন্স ডাঃ আলমগীর মতি।
পৃথিবীর ইতিহাসে এমন কিছু ক্ষণজন্মা কীর্তিমান পুরুষের জন্ম হয় যাঁরা স্বীয় মেধা, অধ্যবসায় প্রচেষ্টা আত্মত্যাগ ও মহানুভবতার দ্বারা দেশ জাতি ও মানুষের কল্যাণ সাধন করে পৃথিবীতে অমর হয়ে থাকেন। ডাঃ আলমগীর মতি সেই ক্ষণজন্মা সাধকদেরই একজন। তিনি একদিকে একজন সফল হারবাল চিকিৎসক ও গবেষক, অন্যদিকে একজন সফল ব্যবসায়ী, উদ্যেক্তা,সমাজসেবক এবং শিক্ষানুরাগী।
ডাঃ আলমগীর মতি ১৯৫১ সালে ১লা জানুয়ারি শরীয়তপুর জেলার নড়িয়া উপজেলাধীন কলুকাঠি গ্রামের এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। পিতার নাম মরহুম মৌলভী গোলাম মোস্তফা এবং মাতার নাম রহিমা খাতুন। ডাঃ আলমগীর মতি’র শিক্ষা জীবনের হাতেখড়ি হয় তার নিজ গ্রামে অবস্থিত কলুকাঠি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে। শৈশব থেকেই তিনি ছিলেন অভাবনীয় মেধার অধিকারী এবং কঠোর অধ্যাবসায়ী। অত্যন্ত কৃতিত্বের সাথে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়ার পর তিনি ১৯৭৯ সালে বাংলাদেশ হোমিওপ্যাথিক মেডিকেল কলেজ থেকে ডিপ্লোমা ইন হোমিওপ্যাথিক মেডিসিন ও সার্জারী ডিগ্রি এবং ১৯৯৩ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ব্যাচেলর অব হোমিওপ্যাথিক মেডিসিন ও সার্জারী ডিগ্রী লাভ করেন। ১৯৯৪ সালে ইন্ডিয়ান বোর্ড অব অলটারনেটিভ মেডিসিন থেকে এম.ডি ডিগ্রী অর্জন করেন। ১৯৯৫ সালে চায়না থেকে নিউরো ডিগ্রী অর্জন করেন। ২০০৬ সালে ১লা এপ্রিল তিনি সোসাইটি অব কমিপ্লমেন্টারী মেডিসিন এন্ড ফ্যামিলি ওয়েল ফেয়ার, পশ্চিমবঙ্গ, ভারত কর্তৃক সম্মানসূচক ডক্টর অব ফিলোসোফী (ডি.ফিল) ডিগ্রী লাভ করেন। আমেরিকান বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটিতে হারবাল বিষয়ের উপর এম ফিল কলেন। ১৯৭৭-৭৮ সালে বাংলাদেশের ১৮টি হোমিও কলেজ ছাত্র সংসদের সমন্বয়ে গঠিত জাতীয় পর্যায়ে হোমিওপ্যাথিক মেডিকেল কলেজ ছাত্র সংসদের সভাপতি নির্বাচিত হন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে হোমিওপ্যাথিক ডিগ্রী কলেজ প্রতিষ্ঠার সংগ্রামে তিনি একজন অন্যতম পুরোধা।
ডা: আলমগীর মতি বাংলাদেশে ডিহাইড্রেট (শুকনা) খাদ্যের একজন সফল উদ্ভাবক। তিনি অক্লান্ত শ্রম আর মেধা দিয়ে গড়ে তোলেন স্বনামধন্য হারবাল পণ্য উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান মর্ডান হারবাল গ্রুপ। যা ইতোমধ্যে গুণগত মানসম্পন্ন পণ্য উৎপাদন ও রপ্তানির জন্য আন্তর্জাতিক ওঝঙ এবং ঐঅঈঈচ সার্টিফিকেট লাভ করেন। বাংলাদেশের আমদানি ও রপ্তানির ক্ষেত্রে তার উল্লেখ যোগ্য ভূমিকার জন্য বাংলাদেশ সরকার ১৯৯২ সালে তাকে সি,আই,পি, উপাধিতে ভূষিত করেন। তিনি বাংলাদেশে প্রথম দেশীয় প্রযুক্তিতে বুলেট প্রুফ জ্যাকেট ও হেলমেট আবিষ্কার করেন।
ডা.আলমগীর মতি বাংলাদেশে ধূমপান বিরোধী আন্দোলনের রূপকারদের অন্যতম। তিনি ১৯৮২ সালে প্রতিষ্ঠা করেন “এনভায়রনমেন্টাল কাউন্সিল এন্ড ন্যাশনাল সোসাইটি ফর প্রিভেনশন অব স্মোকিং।” বর্তমানে তিনি এই সংগঠনের সভাপতি পদে অভিষিক্ত আছেন। তিনি একজন উচুমানের শিক্ষানুরাগী। তার প্রচেষ্টায় রাজধানীর বুকে গড়ে ওঠে শান্তিনগর ট্রিনিটি কলেজ এবং মর্ডান ইউনানী-আয়ুর্বেদিক মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল। এ ছাড়া মিরপুর ও জয়পুরহাটে দুইটি এতিমখানা তার হাতের তত্ত্বাবধানে পরিচালিত হয়।
ডা.আলমগীর মতি শুধু একজন চিকিৎসক ও গবেষকই নন তিনি একজন সফল লেখক ও বটে। পেশাগত জীবনে এসে তার চিন্তা ও গবেষণার মাধ্যমে রচনা করেন চিকিৎসাশাস্ত্রের উপর বেশ কয়েকটি অমূল্য গ্রন্থ। তার রচিত অন্যান্য গ্রন্থসমূহের মধ্যে বিশ্বনবী’র (সাঃ) চিকিৎসা বিধান, নিরোগ থাকার উপায়, সুস্থ থাকার সোনালী উপায়, হারবাল পদ্ধতিতে শতায়ু লাভের উপায় অন্যতম। তিনি তার কর্মদক্ষতা ও কাজের স্বীকৃত স্বরূপ ওয়ার্ল্ড কোয়ালিটি কমিটমেন্ট এ্যাওয়ার্ড-২০০৬, দি ইন্টারন্যাশনাল এ্যাওয়ার্ড ফর এক্সিলেন্স ইন প্রোডক্টস এন্ড সার্ভিস-২০০৭, দি ডায়মন্ড আই এ্যাওয়ার্ড ফর কোয়ালিটি কমিটমেন্ট এন্ড এক্সিলেন্স-২০০৭ সহ ১৫ টি আন্তর্জাতিক সম্মাননা পুরষ্কার এবং অসংখ্য জাতীয় পুরষ্কারে ভূষিত হন। তার একটি বাক্য হলো “পথের ধারে অবহেলায় বেড়ে ওঠা গাছটি আপনার জীবন বাঁচাতে পারে’।