Thursday 18th April 2024
Thursday 18th April 2024

Notice: Undefined index: top-menu-onoff-sm in /home/hongkarc/rudrabarta.net/wp-content/themes/newsuncode/lib/part/top-part.php on line 67

নড়িয়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে জবি ছাত্রলীগ নেতার মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ

নড়িয়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে জবি ছাত্রলীগ নেতার মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ

শরীয়তপুর জেলার নড়িয়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি) ছাত্রলীগের সদ্য বিদায়ী সফল সাধারণ সম্পাদক, ১/১১’র পরীক্ষিত পরিশ্রমী ও মৃত্যুঞ্জয়ী ছাত্রনেতা এসএম সিরাজুল ইসলাম।
সোমবার দুপুরে শরীয়তপুরের নড়িয়া উপজেলা আওয়ামীলীগ কার্যালয় থেকে এ মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেন তিনি। উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রার্থীতা ঘোষণা করে তৃণমূলে ব্যাপক সাড়া ফেলেছেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সদ্য বিদায়ী ছাত্রলীগ নেতা ও তরুণ আওয়ামী লীগ নেতা এসএম সিরাজুল ইসলাম। তিনি বর্তমানে শরীয়তপুর জেলা আওয়ামী লীগের উপ-প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক। আসন্ন উপজেলা নির্বাচনে তিনি চেয়ারম্যান পদে নৌকার মনোনয়ন প্রত্যাশী।
উপজেলা চেয়ারম্যান মনোনয়নের বিষয়ে সিরাজুল ইসলাম বলেন, ‘আওয়ামী লীগ সভাপতি ও বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উন্নত সমৃদ্ধ দেশ গড়ার ডাক দিয়েছেন। একজন তরুণ হিসেবে নেত্রীর অঙ্গীকার বাস্তবায়নে কাজ করবো। ২০০১ থেকে ২০০৫ বিএনপি-জামায়াত জোটেরর দুঃশাসনের সময় ছাত্রলীগের রাজনীতিতে সক্রিয় ভূমিকা পালন করেছি। ১/১১ এর সময় নেত্রীর মুক্তির আন্দোলনও কাজ করেছি। তাই আগামী দিনে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর অঙ্গীকার বাস্তবায়নে তৃণমূলে জনগণের পাশে থাকার লক্ষ্যে কাজ করতে চাই।’
আওয়ামী লীগের তরুণ নেতা এস এম সিরাজুল ইসলাম বলেন, বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ধারণ করে আমি স্কুল জীবন থেকেই ছাত্র রাজনীতি শুরু করি। আমার ছাত্র রাজনীতির হাতে খড়ি স্কুল জীবন থেকেই। কলেজ জীবনেও ছাত্রলীগের রাজনীতিতে সক্রিয় ছিলাম। পরবর্তীতে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষায় মেধার স্বাক্ষর রেখে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগে ভর্তি হই। বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগের রাজনীতি করতে গিয়ে সাধারণ ছাত্রদের অধিকার নিয়ে আন্দোলন করার সময় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের বাধার সম্মুখিন হয়েছি, কিন্তু পিছপা হইনি। ছাত্রদের অধিকার আদায়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন সংশোধন, ছাত্রদের আবাসন সমস্যায় ‘হল আন্দোলন’সহ বিভিন্ন দাবি আদায়ে সোচ্চার ছিলাম সবসময়।
তিনি বলেন, আমি বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগের রাজনীতি করার সময়ও আমার নিজ এলাকা শরীয়তপুরের নড়িয়ায় সব সময় যোগাযোগ রেখেছি। এলাকায় আওয়ামী লীগের বিভিন্ন কর্মসূচিতে যোগদান করেছি, এলাকার মানুষের সাথে তৃণমূলে যোগাযোগ রেখেছি সব সময়। তাদের বিপদে-আপদে পাশে থেকেছি । দৌড়ে ছুটে গেছি কারও প্রয়োজনে।
এস এম সিরাজুল ইসলাম বলেন, ‘মানবতার জননী মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা একটানা একদশকেরও বেশি সময়ে সারাদেশেই উন্নয়ন করে যাচ্ছেন। আমাদের নেত্রীর দিনরাত পরিশ্রমে দেশ এখন খাদ্যে সয়ংসম্পূর্ণ। এছাড়া শিক্ষা, স্বাস্থ্য,তথ্য-প্রযুক্তিতে অনেক এগিয়েছে দেশ। এখন বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে চলছে তরুণ সমাজ।
দেশে কর্মসংস্থান বেড়েছে, বেকারত্ব কমেছে, দৃশ্যমান। যোগাযোগ ব্যবস্থায় সাফল্য এসেছে আকাশচুম্বি। সমুদ্রজয়, বৈদেশিক মুদ্রার প্রবাহ বৃদ্ধি পেয়েছে, দেশে রির্জাভ বাড়ছে শক্তিশালী হচ্ছে আমাদের অর্থনীতির চাকা। সারাদেশেই শতভাগ বিদ্যুৎ সরবরাহে কাজ চলছে, দেশে এখন বিদ্যুৎ উৎপাদন হচ্ছে রেকর্ড পরিমাণ। মহাকাশে বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১ উৎক্ষেপন করা হয়েছে। মেঘা প্রজেক্ট- পদ্মাসেতু , মেট্রোরেল, পায়রা বন্দর, রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র , কর্ণফুলিতে টানেল নির্মাণ চলছে দ্রুত গতিতে। ২০৪১ সালে উন্নত দেশ হবে আমাদের এই সোনার বাংলা।
বর্তমান সরকারের সময়েই দেশের প্রত্যেকটি গ্রামে শহরের সব সুযোগ-সুবিধা পৌঁছে দেয়া হবে এবং ‘গ্রাম হবে শহর’। এটি এবারের একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের নির্বাচনী ইশতেহারে অঙ্গিকার ছিল।
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ এবার আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে তৃণমূলকে সর্বোচ্চ তিনজনের নামের তালিকা পাঠানোর নির্দেশনা দিয়ে চিঠি পাঠিয়েছে।
আগামী মার্চেও প্রথম সপ্তাহ থেকে ধাপে ধাপে উপজেলা পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশন।
উল্লেখ্য, উপজেলা পরিষদ আইন, ১৯৯৮ এর ১৭(১)(গ) ধারা অনুযায়ী, পরিষদের মেয়াদ শেষ হওয়ার তারিখের আগের ১৮০ দিনের মধ্যে ভোটগ্রহণের বাধ্যবাধকতা রয়েছে। স্থানীয় সরকারের প্রতিষ্ঠানের মতো পরিষদের প্রথম বৈঠক (সভা) থেকে ৫ বছরের মেয়াদ শুরু হয়। সর্বশেষ ২০১৪ সালের ১৯ ফেব্রুয়ারি ৯৭টি উপজেলায় ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়।
পরে ২৭ ফেব্রুয়ারি হয় আরও ১১৫টি উপজেলায় ভোট। এরই ধারাবাহিকতায় ওই বছরের জুন-জুলাইয়ে সব মিলিয়ে ৭ ধাপে দেশের ৪৮৭টি উপজেলা পরিষদে নির্বাচন হয়েছিল। ওই বছরের ভিন্ন ভিন্ন সময়ে উপজেলা পরিষদগুলোতে প্রথম সভা অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচন কমিশন সূত্রে জানা গেছে, ২০১৪ সালে প্রথমদিনে যেসব উপজেলায় ভোট হয়েছিল, সেগুলো ইতোমধ্যে ভোটগ্রহণের উপযোগী হয়েছে।