
শরীয়তপুর জেলার নড়িয়া উপজেলায় পূর্ব শত্রুতার জের ও আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে ইয়াকুব আলী ছৈয়াল (৪৮) নামে এক ব্যবসায়ীকে প্রকাশ্যে কুপিয়ে হত্যা করেছে প্রতিপক্ষের লোকজন।
সোমবার (১০ জুন) সকাল ৯টার সময় উপজেলার ভোজেশ্বর ইউনিয়নের চন্দনী গ্রামে এই ঘটনা ঘটে। ইয়াকুব আলী ছৈয়াল চান্দনী গ্রামের মৃত আরশেদ আলী ছৈয়ালের ছেলে। সে এলাকায় ইট, বালু ও রড, সিমেন্টের ব্যবসায়ী ছিলেন। এ ঘটনায় এলাকায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
ভোজেশ্বর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নুরুল হক বেপারী বলেন, সকাল ৯টার দিকে ইয়াকুব আলী ছৈয়াল তার বাড়ি থেকে মটরসাইকেল চালিয়ে কলাবাগান যাচ্ছিলেন। পথিমধ্যে আবু সিদ্দিক ঢালীর বাড়ির সামনে দিয়ে যাওয়ার সময় ইয়াকুব ছৈয়ালের মটরসাইকেলের গতি রোধ করে তাকে কুপিয়ে গুরুতর জখম করে প্রতিপক্ষের লোকজন। পরে তাকে স্থানীয়রা উদ্ধার করে শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে নিলে চিৎিসক তাকে দ্রুত ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেন। ঢাকা নেয়ার পথে ইয়াকুব আলী ছৈয়াল মারা যায়।
তিনি আরও বলেন, ভোজেশ্বর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান আলী আহম্মদ শিকদারের হুকুমে আবু সিদ্দিক ঢালী, জুলহাস ঢালী, আবু আলেম ঢালী, নাসের ঢালী, শহীদুল শিকদার, তুহিন শিকদার, নয়ন শিকদার সহ প্রায় ২০-২৫ জন এক সংঘবদ্ধ দল পরিকল্পিত ভাবে ইয়াকুব আলী ছৈয়ালকে কুপিয়ে হত্যা করে।
ভোজেশ্বর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান আলী আহম্মদ শিকদার বলেন, চেয়ারম্যান নুরুল হক বেপারী আমার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ করেছে তা সম্পূর্ন উদ্দেশ্য প্রনোদিত, ভিত্তিহীন বানোয়াট। রোজার আগে ইয়াকুব আলী ছৈয়াল ও তার লোকজন মিলে আবু সিদ্দিক ঢালীকে কুপিয়ে গুরুতর জখম করে। সেই মামলায় জেল খেটে জামিনে বের হয়ে ইয়াকুব ছৈয়াল আবু সিদ্দিক ঢালীর বাড়ি গিয়ে মামলা তুলে নিতে হুমকি দেয়। এ সময় কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে মারামারিতে ইয়াকুব ছৈয়াল গুরুতর আহত হয়ে মারা যায়।
নড়িয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) একেএম মঞ্জুরুল হক আকন্দ বলেন, পূর্ব শত্রুতার জের ধরে প্রতিপক্ষের লোকজন ইয়াকুব আলী ছৈয়াল নামে এক ব্যবসায়ীক কুপিয়ে হত্যা করেছে। হত্যার সাথে জড়িত কয়েকজনের নাম আমরা পেয়েছি। তদন্তের স্বার্থে তাদের নাম প্রকাশ করছিনা। এলাকায় পুলিশি মোতয়েন করা হয়েছে। অভিযোগের ভিত্তিতে দোষিদের গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনা হবে।