
শরীয়তপুরের নড়িয়া উপজেলায় রপ্তানীযোগ্য ঔষধি উদ্ভিদের চাষাবাদ ও প্রাথমিক প্রক্রিয়াজাতকরণ বিষয়ক প্রশিক্ষণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার (২২ জুন) সকাল ১১টায় থেকে দিনব্যাপী নড়িয়া উপজেলার কলুকাঠি গ্রামে মা জেনারেল হাসপাতাল অডিটরিয়ামে এই প্রশিক্ষণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়।
বাংলাদেশ হারবাল প্রোডাক্ট ম্যানুফ্যাকচারিং এসোসিয়েশন ও মেডিসিনাল প্লান্টস এন্ড হারবাল প্রোডাক্টস বিসনেস প্রমোশন কাউন্সিল বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের যৌথ আয়োজনে এ প্রশিক্ষণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বাংলাদেশ হারবাল প্রোডাক্ট ম্যানুফ্যাকচারিং এসোসিয়েশন এর সভাপতি ডা. আলমগীর মতির সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন নড়িয়া সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. রাশেদুজ্জামান। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন নড়িয়া উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান জাকির হোসেন বেপারী ও নড়িয়া পৌরসভার কাউন্সিলর হান্নান ছৈয়াল।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে কমিশনার (ভূমি) মো. রাশেদুজ্জামান বলেন,‘ ডা. আলমগীর মতির দীর্ঘদিন যাবত ঔষধি উদ্ভিদ বিষয়ে গবেষণা ও উদ্ভিদ থেকে প্রাকতি উপয়ে ঔষধ তৈরীর প্রচেষ্টা চালিয়ে আসছেন। আজকে তার প্রচেষ্টা ও গবেষণা স্বার্থক হয়েছে। তার তৈরি মর্ডাণ হারবাল প্রডাক্ট দেশ বিদেশে ব্যপক সুনাম অর্জন করেছে। তার এই গবেষণা এবং ঔষধের মান যদি ভালো না হতো তাহলে এ প্রতিষ্ঠান এতোদিন টিকতে পারতো না। প্রাকৃতিক উপায়ে এবং ঔষধী উদ্ভিদ থেকে যে ঔষধ তৈরী করা হয় তার পাশর্^প্রতিক্রিয়া নেই বললেই চলে। তাই মানুষকে সুস্থ্যভাবে বেচে থাকার জন্য প্রাকৃতিক ঔষধের কোন বিকল্প নেই।
সভাপতির বক্তব্যে ডা. আলমগীর মতি বলেন, ‘আমাদের সুস্থ্যভাবে বেঁচে থাকতে হলে ঔষধি উদ্ভিদের কোন বিকল্প নেই। তাই আমাদের ঔষধি উদ্ভিদ কিভাবে চাষাবাদ ও প্রক্রিয়াজাতকরণ করতে হয় তা জানতে হবে। আামদের ঔষধি উদ্ভিদের ব্যবহার এবং ঔষধি উদ্ভিদ থেকে তৈরী ঔষধ বেশি ব্যবহার করতে হবে। তাহলে আমরা সুস্থ্যভাবে দীর্ঘদিন বেচে থাকতে পারবো।’
এ সময় শতাধিক নারী পুরুষ প্রশিক্ষণ কর্মশালায় উপস্থিত ছিলেন।