
ইভা মৌ-খামারের মালিক ও আনসার ভিডিপি’র জাহিদ হাসান করোনা ভাইরাস বিস্তৃতিরোধে ঘরবন্দী কর্মহীন ৮০জন দু:স্থ ও অসহায় শ্রমজীবী পরিবারের মধ্যে ইফতার খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করলেন। বৃহস্পতিবার ২৪ এপ্রিল বিনোদপুর ইউনিয়নের ঘরবন্দী কর্মহীন দু:স্থ ও অসহায় শ্রমজীবী পরিবারের মধ্যে তিনি এ ইফতার খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করেন। এ ইফতার খাদ্যসামগ্রীর মধ্যে রয়েছে-চাল, ডাল, খেজুর, ছোলা ও তেল ইত্যাদি।
এ বিতরণকালে মৌ খামারী জাহিদ হাসান বলেন, করোনা ভাইরাস একটি বৈশ্বিক মহামারী। এ মহামারী থেকে আমাদের রক্ষা পেতে হলে আমাদের সতর্কতা অবলম্বনসহ স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে। প্রশাসনের নির্দেশনা মেনে ঘরে থাকতে হবে। আর ঠান্ডা থেকে দূরে থাকতে মধু, কালোজিরা, আদা ইত্যাদি হাতের নাগালে রাখতে হবে।
উল্লেখ্য, শরীয়তপুর সদর উপজেলার বিনোদপুরের মৃত আলতাফ উদ্দিনের ছেলে মো: জাহিদ হাসান আনসার ও ভিডিপি’র বিনোদপুর ইউনিয়নের দলনেতা হয়েও বাণিজ্যিকভাবে মধু খামার করেছেন। তার মধুর খামার ইভা মৌ খামারের মধু জেলার সবাই চেনে এবং জেলার মধ্যে সেরা। ব্যবসার ক্ষেত্রে উদ্ভাবনী ধারণা ও দূরদৃষ্টি, অধ্যাবসায় আর পরিশ্রম দিয়ে সফল হয়েছেন তরুণ মধু ব্যবসায়ী ও আনসার ও ভিডিপি’র এ দলনেতা জাহিদ হাসান। প্রথমাবস্থায় চাকরির পেছনে না ছুটে ক্ষুদ্র পরিসরে মধু চাষ শুরু করেন তিনি। সরিষা, কালোজিরা, লিচুসহ বিভিন্ন শস্য ও ফলের মৌসুমে তিনি এসব মৌ-বাক্স পেতে রাখেন। সাফল্য পেয়ে এখন শরীয়তপুরসহ ৬টি উপজেলায় জাহিদ গড়ে তুলেছেন মৌ-খামার। তার খামারে কর্মসংস্থান হচ্ছে অনেক বেকারের। বিভিন্ন উপজেলায় গড়ে তোলা মধু খামার থেকে বছরে উৎপাদিত প্রায় ৪০ থেকে ৫০ মণ মধু দেশের বাজারের পাশাপাশি রপ্তানি হচ্ছে বিদেশেও। সরকারী সহযোগিতা ও পৃষ্ঠপোষকতায় জাহিদের মধু খামারকে দেশের বৃহৎ মৌ-খামারে রূপান্তরের আশা তার। উল্লেখ্য, কীটনাশক ব্যবহারসহ নানা কারণে ইদানীং মৌমাছি কমে যাওয়ায় হুমকিতে পড়েছে দেশের কৃষি। এমন পরিস্থিতি মোকাবিলায় মধু চাষ, মৌমাছির বংশ বিস্তার ও পরাগায়ন ঘটিয়ে কৃষিতে ফলন বাড়াবে বলে মনে করেন জাহিদ। সেদিক বিবেচনায় দেশে পুষ্টিঘাটতি পূরণে, মধুর ব্যবহার বাড়াতে সরকারের ব্যাপক প্রচারাভিযান দরকার বলে মনে করেন মধু চাষী জাহিদ। তিনি জানান, মধুর সাথে যেমন বাড়বে শস্য উৎপাদন, তেমনি কৃষি হয়ে উঠবে আরো লাভজনক। মধুচাষী জাহিদ জানান, তিনি নিজে কিছু করার চেষ্টা এবং অন্য মানুষদের আত্মকর্মসংস্থান সৃষ্টি করতেই তার এই পথচলা।