
শরীয়তপুর সদর উপজেলার চররোসুন্ধি গ্রামের সরকারি খাল দখল করে পুকুর করার কথা অস্বীকার করলেন হাজী আনোয়ার হোসেন তালুকদারের ছেলে মো: নজরুল ইসলাম তালুকদার(৩৫) ও স্থানীয় পুকুর মৎস্য চাষিরা।
নজরুল তালুকদার বলেন, আমি আমার নিজস্ব জমিতে দীর্ঘ ১২ বছর যাবৎ সরকারি রাস্তার উত্তর পাশে একটি পুকুর(প্রজেক্ট) খনন করে মাছ চাষ করছি। আমার মতো চররোসুন্ধি গ্রামের প্রতিটি বাড়ির রাস্তার পাশে প্রায় ২০টি ছোট বড় পুকুর আছে। এ রাস্তার পাশে পূর্বে কোন খাল ছিল না এবং এখনো নেই। তবে নজরুল তালুকদার বলেছেন সরকারি হালটের যে স্থানে ০৮ ফুট পাকা রাস্তাটি হয়েছে তার পাশে অল্প কিছু হালটের সরকারি জমি অবশিষ্ট আছে। যদি কখনো রাস্তা প্রশস্থ হয়, তাহলে রাস্তার হালটের জমি গ্রামবাসি রাস্তার জন্য ছেড়ে দিবে।
চররোসুন্ধি গ্রামের হাবিবুর রহমান সরদার, আ: সালাম মাদবর, মো: মজিবর রহমান হাওলাদার, হাচান মাদবর ও শফিকুল ইসলাম রাসেল বলেন, আমরা কোনদিন এ রাস্তার পাশে খাল দেখিনি। যারা খালের কথা অভিযোগ করেছে, তারা ভূল বলছে। এরপর তারা রাস্তার পাশের পুরোনো ২০টি পুকুর দেখিয়ে খালের কথা অস্বীকার করেন।
স্থানীয় চাষীরা আরো বলেন, পানি প্রবাহের এবং মৌসুমী রবিশস্য উৎপাদনে উৎপাদনকারীদের কোন সমস্যা বা ক্ষতি হচ্ছে না।
তারা আরও বলেন, নজরুল ইসলাম তালুকদারের বিরুদ্ধে যে মিজান ঢালী, আ: কাদের ঢালী, শাহিন ঢালী ও কাইয়ূম ঢালী সাক্ষী পত্রিকায় ও দরখাস্তে অভিযোগ করেছেন তাদের এই বিলে কোন সম্পদ নেই। তারা নিজেদের জেদের বশবর্তী হইয়া স্থানীয় কৃষক মো: ফজলুল হক পেদার নাম দিয়ে উপজেলা প্রশাসন ও সদর উপজেলা ভূমি কর্মকর্তা বরাবর একটি লিখিত আবেদন করেছেন যা মিথ্যা ও বানোয়াট।
স্থানীয় কৃষক মো: ফজলুল হক পেদার নিকট লিখিত অভিযোগের বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদে তার সত্যতা মিলে।
এ বিষয়ে মিজান ঢালী মোবাইল ফোনে বলেছে আমরা মিমাংসা হয়ে গেছি। এখন আমাদের নজরুল তালুকদারের বিরুদ্ধে কোন অভিযোগ নেই।