
শরীয়তপুরের তুলাসার ইউনিয়নে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৫তম শাহাদাত বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষ্যে আলোচনা সভা, দোয়া ও গণভোজ অনুষ্ঠিত হয়।
শনিবার ২২ আগস্ট দুপুর ১ টার দিকে তুলাসার ইউনিয়ন পরিষদ মাঠ প্রাঙ্গণে তুলাসার আওয়ামীলীগ, অঙ্গ ও সহযোগী অঙ্গসংগঠণের আয়োজনে এ আলোচনা সভা, দোয়া ও গণভোজ অনুষ্ঠিত হয়।
এ আলোচনা সভা, দোয়া ও গণভোজে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা আওয়ামীলীগের সাবেক সভাপতি ও শরীয়তপুর পৌরসভার সাবেক মেয়র আলহাজ্ব আব্দুর রব মুন্সী।
তুলাসার ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি আমিনুল ইসলাম আমিন ফকিরের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক আনিসুর রহমানের পরিচালনায় এবং সদর উপজেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক জামাল হোসেন ফকিরের সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় আওয়ামীলীগের উপকমিটির সহ-সম্পাদক মোজাফফর হোসেন জমাদ্দার, সদর উপজেলা আওয়ামীলীগ সভাপতি এডভোকেট জাহাঙ্গীর হোসেন, সদর উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান ছামিনা ইয়াসমিন, সদর পৌরসভা আওয়ামীলীগ সভাপতি এম এম জাহাঙ্গীর মৃধা, জেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক নুহুন মাদবর, তুলাসার ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জাহিদুল ইসলাম ফকির।
এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন, যায়যায় দিন পত্রিকার জেলা প্রতিনিধি নজরুল ইসলাম কাজী, কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি ফাহাদ হোসেন তপু, কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক রাশেদুজ্জামান রাশেদসহ বিভিন্ন অঙ্গসংগঠণের নেতৃবৃন্দ।
আলোচনা সভায় নেতৃবৃন্দ বলেন, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগষ্টে বঙ্গবন্ধুসহ তার পরিবার ও আত্মীয়-স্বজন ঘাতকের গুলিতে নির্মমভাবে শাহাদাত বরণ করেছেন। সেদিন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তার পরিবারের লোকজনকে মেরে ফেলার মধ্য দিয়ে ঘাতকের দল ভেবেছিল বঙ্গবন্ধু না থাকলে কেউ আওয়ামীলীগের নেতৃত্ব দিতে পারবে না। কিন্তু আল্লাহর অশেষ রহমতে সেদিন বঙ্গবন্ধুর কন্যা শেখ হাসিনা বেঁচে গিয়েছিল। যিনি বর্তমানে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের নেতৃত্ব দিচ্ছেন এবং উন্নত বাংলাদেশের স্বপ্ন নিয়ে কাজ করছেন। শেখ হাসিনার হাত শক্তিশালী হলে আওয়ামীলীগ শক্তিশালী হবে। আওয়ামীলীগ শক্তিশালী হলে, বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন বাস্তবায়ন হবে।
দোয়া ও মোনাজাতে ১৫ আগষ্টে শহীদদের স্মরণ করে তাদের জন্য দোয়া ও মাগফিরাত কামনা করা হয়। এছাড়া আওয়ামীলীগের কল্যাণ কামনা করা হয়।
দোয়া ও মোনাজাত পরিচালনা করেন, আড়িগাও বাজার জামে মসজিদের ইমাম ও খতিব মাওলানা আব্দুস সামাদ।
গণভোজে তুলাসার ইউনিয়নের ৪ হাজার আওয়ামীলীগ কর্মীদের অংশগ্রহণ ও খিচুরি আপ্যায়নের মধ্য দিয়ে শেষ হয়।