
গরুর বাছুরের নাম ‘সাথী’। তবে অন্যান্য গরুর মতো স্বাভাবিক গরু নয় এটি। দুইটি মাথা, দুটি মুখ, দুটি জিহ্Ÿা, চারটি চোখ বিশিষ্ট অদ্ভুত আকৃতির গরু বাছুর ‘সাথী’কে ঘিরে মানুষের কৌতূহলের শেষ নেই। সাথীকে দেখতে বিভিন্ন এলাকার মানুষ ভিড় জমাচ্ছে গরুর মালিকের বাড়ি। এ দৃশ্য শরীয়তপুর সদর উপজেলায়।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সাথীর মালিক আজাহার সরদার। তার বাড়ি উপজেলার চিতলীয়া ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের মজুমদারকান্দি গ্রামে। গত ২৬ আগস্ট (বুধবার) বিকেল ৫ টার দিকে সাথীর জন্ম হয়। জন্মের পর থেকে সাথীকে দেখতে ভিড় জমাচ্ছে উৎসুক মানুষ।
শুক্রবার (২৮ আগস্ট) সকালে মজুমদারকান্দি গ্রামে গিয়ে দেখা যায়, দুইটি মাথা বিশিষ্ট গরুর বাছুর সাথীর চারটি চোখ, দুটি মুখ ও দুটি জিহ্Ÿা। দুটি চোখে দেখতে পেলেও অন্য দুটি চোখ দেখতে পায় না। বয়স ৩ দিন। ইতোমধ্যে বিচিত্র আকৃতি বর্ণনা প্রচারের কারণে গরু ‘সাথী’কে ঘিরে স্থানীয় জনমনে ব্যাপক কৌতূহলের সৃষ্টি হয়েছে। সাথীকে প্রতিদিন একনজর দেখতে উৎসুক মানুষের ভিড় জমে যাচ্ছে।
এ বিষয়ে কথা হয় গরুর বাছুরের মালিক আজাহার সরদার জানান, তিনি বাসার খামারে গরু পালন করেন। একটি গাভী অদ্ভুত আকৃতির বাছুর (দুইটি মাথা, চারটি চোখ, দুটি মুখ ও দুটি জিহ্Ÿা) জন্ম দেয়। বাছুরটির জন্মের পরে বাড়ির মানুষ সকলে অবাক হয়ে গিয়েছিল। প্রথমে মনে হয়েছিল বাছুরটি বাঁচানো যাবে না। বাছুরটি বাঁচিয়ে রাখতে পরিবারের সদস্যরা অনেক সেবাযত্ন করছেন। আদর করে নাম রাখা হয় ‘সাথী’।
আজাহার আরও বলেন, সাথীকে তার মায়ের দুধ ফিটারের মাধ্যমে খাওয়ানো হচ্ছে। তার খামারের গরুগুলোকে পরিবারের সন্তানের মতো জানেন। সাথীকেও নিজের সন্তানের মতোই ভালোবাসেন তিনি।