মঙ্গলবার, ২৬শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩ ইং, ১১ই আশ্বিন, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ, ১১ই রবিউল-আউয়াল, ১৪৪৫ হিজরী
মঙ্গলবার, ২৬শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩ ইং
শরীয়তপুর গ্রেনেড হামলায় নিহতদের শ্রদ্ধা জানাতে

ইকবাল হোসেন অপু এমপি রাত ১২টা ১মিনিটে প্রধান সড়কে মোমবাতি জ্বালিয়ে

ইকবাল হোসেন অপু এমপি রাত ১২টা ১মিনিটে প্রধান সড়কে মোমবাতি জ্বালিয়ে

২১ শে আগস্ট গ্রেনেড হামলায় নিহত ও আহতদের প্রতি বিনম্র “শ্রদ্ধাঞ্জলি” জানাতে শরীয়তপুর আওয়ামীলীগের পক্ষ থেকে শরীয়তপুর জেলা শহরে মোমবাতি প্রজ্জ্বলন অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য ইকবাল হোসেন অপু এমপি

বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ১২টা ১মিনিটে জেলা শহরের চৌরঙ্গী মোড়ে আওয়ামীলীগের বিভিন্ন অঙ্গসংগঠণের নেতৃবৃন্দের অংশগ্রহণের মধ‍্য দিয়ে এ মোমবাতি প্রজ্জ্বলন করা হয়।

মোমবাতি প্রজ্জ্বলন অনুষ্ঠানে অংশগ্রহন করেন জেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ও পিপি এডভোকেট মির্জা হযরত আলী, জেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও জেলা পরিষদ সদস‍্য কামরুজ্জামান উজ্জ্বল, জেলা আওয়ামীলীগ সদস‍্য ও জিপি আলমগীর হোসেন মুন্সী, জেলা আওয়ামীলীগ সদস‍্য ও জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট জহিরুল ইসলাম, সদর উপজেলা আওয়ামীলীগ সভাপতি এডভোকেট জাহাঙ্গীর হোসেন, সাধারণ সম্পাদক গোলাম মোস্তফা, সদর উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান ছামিনা ইয়াসমিন, সদর পৌরসভা আওয়ামীলীগ সভাপতি এম এম জাহাঙ্গীর মৃধা, সাধারণ সম্পাদক আমির হোসেন খান, সদর পৌরসভার প‍্যানেল মেয়র-১ বাচ্চু বেপারী, জেলা যুবলীগের সভাপতি নুহুন মাদবর, সদর উপজেলা যুবলীগের সভাপতি বিল্লাল হোসেন দিপু মিয়া, কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি ফাহাদ হোসেন তপু, জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক রাশেদুজ্জামান রাশেদ, ছাত্রলীগ নেতা আশাদুজ্জামান শাওনসহ সকল অঙ্গসংগঠণের নেতৃবৃন্দ।

এ সময় ইকবাল হোসেন অপু এমপি বলেন, ১৯৭৫ সালের ১৫-ই আগস্টের নারকীয় হত্যাযজ্ঞের পরেও যখন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগকে নেতৃত্বশূন্য করা যায়নি, বঙ্গবন্ধুকন্যার সুযোগ্য নেতৃত্বে স্বাধীনতার সপক্ষের শক্তি আবারো ঘুরে দাঁড়িয়েছে- তখন বাংলাদেশবিরোধী অপশক্তি তৎকালীন বিএনপি-জামাত জোট সরকারের প্রত্যক্ষ মদদে আবারো চরম আঘাত হানে ২০০৪ সালের ২১-এ আগস্ট। জননেত্রী শেখ হাসিনা সহ বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ-এর কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দকে একই হামলায় হত্যার উদ্দেশে চালানো হয়েছিল সেই বর্বরোচিত গ্রনেড হামলা। পর পর ১৩টি গ্রেনেড সেদিন ছুড়েছিল ঘাতকেরা- শুধু তাই নয়, জননেত্রী শেখ হাসিনার গাড়িতে বৃষ্টির মত গুলিও ছুড়েছিল ওরা। ২১টি তাজা প্রাণ সাথে সাথে ইন্তেকাল করে।

মহান আল্লাহ্‌র অশেষ রহমতে শেখ হাসিনা সেদিন প্রাণে বেঁচে গেলেও আইভি রহমান, জননেত্রী শেখ হাসিনার দেহরক্ষী ল্যান্স কর্পোরাল (অব) মাহবুবুর রহমানসহ ২১সহ ২৪টি তাজা প্রাণ ঝরে গিয়েছিল সেদিন।

আহত হয়েছিলেন স্বয়ং জননেত্রী শেখ হাসিনা নিজে এবং তৎকালীন কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ সহ প্রায় ৩০০জনের বেশী নেতা-কর্মী সেদিন আহত হয়েছিলেন। রাজনীতিতে পক্ষ-বিপক্ষ থাকবেই, কিন্তু সরসরি ক্ষমতাসীন দলের প্রত্যক্ষ মদদে প্রতিপক্ষ রাজনৈতিক দলের প্রধান নেত্রী সহ সকল কেন্দ্রীয় নেতাদের একই মুহূর্তে হত্যা করে নিঃশেষ করে ফেলার যে ঘৃণ্য অপচেষ্টা- এর নিন্দা জানানোর ভাষা খুঁজে পাইনা।

এটাকে আর যাই হক, রাজনীতি বলা যায় না। পৃথিবীর কোন দেশেই যেন গোষ্ঠীস্বার্থে আর এই ধরনের বর্বরোচিত, নৃশংস, জঘন্য অপকর্ম না ঘটে। ২০০৪ সালের ২১-এ আগস্ট এইদিনে প্রতি বছর সকল শহীদদের স্মৃতির প্রতি জানাই গভীর শ্রদ্ধাঞ্জলি।


error: Content is protected !!