
দেশে অব্যাহত সাংবাদিক হত্যা ও নির্যাতন বন্ধে যুগোপযোগি আইন প্রণয়নের দাবিতে আগামী ২ সেপ্টেম্বর রোববার বেলা ১১টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত দেশব্যাপী কলম বিরতির ঘোষণা দিয়েছে বিএমএসএফ। বৃহস্পতিবার দুপুওে পাবনায় সাংবাদিক সুবর্না আক্তার নদী হত্যার প্রতিবাদে ঝালকাঠিতে আয়োজিত সমাবেশ ও মানববন্ধন থেকে বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক ফোরাম (বিএমএসএফ) কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক এই ঘোষণা দেন। বিএমএসএফ ঝালকাঠি জেলা কমিটির সাবেক সভাপতি আজমির হোসেন তালুকদারের সভাপতিত্বে ও কেন্দ্রীয় কার্য নির্বাহী সদস্য এবং সাবেক জেলার সাধারন সম্পাদক উপাধ্যক্ষ রিয়াজুল ইসলাম বাচ্চুর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত সমাবেশে বক্তব্য রাখেন, জাসদের কেন্দ্রীয় কমিটির উপদেষ্টা বীর মুক্তিযোদ্ধা সাংবাদিক দুলাল সাহা, কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক এসএম রেজাউল করিম, মাইনুল হাসান মৃধা, একুশে টিভির প্রতিনিধি ও ঝালকাঠি জেলা কমিটির সাবেক সভাপতি আজমীর হোসেন তালুকদার, সহ-সভাপতি শফিউল আজম টুটুল, রাজাপুর উপজেলার সভাপতি আহসান হাবিব সোহাগ, সাধারণ সম্পাদক সাইদুল ইসলাম, রুহুল আমিন রুবেল, আতিকুর রহমান, বাবুলমিনা, ইমাম বিমান, এইচএম গিয়াস উদ্দিন প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
সভায় নেতৃবৃন্দ বলেন, দেশে স্বাধীনতা পরবর্তী প্রায় ৩৯ জন সাংবাদিক বিভিন্নভাবে খুনের শিকার হয়েছেন। এর মধ্যে হাতে গোনা ৩/৪টি খুনের বিচার হলেও বাকি খুনের বিচার হয়নি। দেশে সাংবাদিক হত্যার বিচার হয়না; এরকম সংস্কৃতিতে পরিনত হয়েছে। ৩০ আগস্ট। ১৯৯৮ সালের এই দিনে যশোরের দৈনিক রানার পত্রিকার সম্পাদক আরএম মুকুল রানাকে নির্মমভাবে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছিল। আজ কুড়ি বছরেও সাংবাদিক মুকুল রানা হত্যার বিচার হয়নি। পাশাপাশি ২০১৪ সালে রাজধানীতে হত্যার শিকার হয়েছিলেন সাংবাদিক দম্পতি সাগর-রুনি। ২০১৬ সালে বিএমএসএফ রংপুর জেলা কমিটির সদস্য সচিব মশিউর রহমান উৎসকে নির্মমভাবে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছিল। কিন্তু এই দুটি মামলার তদন্ত প্রতিবেদন আজো আদালতে দাখিল করতে পারেনি পুলিশ। এরকম স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে দেশের বিভিন্ন জেলায় ৩৯ জন সাংবাদিক হত্যার শিকার এবং কয়েকশত সাংবাদিক নির্যাতনের শিকার হয়ে পঙ্গুত্ব বরণ করেন। অবিলম্বে সাংবাদিক নির্যাতন বন্ধে যুগোপযোগি আইন প্রণয়নসহ ১৪ দফা দাবি মেনে নেয়ারও দাবি করা হয়।