
অতি সাম্প্রতিককালে গভীর রাতে মসজিদের মাইকে ঘোষণা দিয়ে শরীয়তপুরের বিভিন্ন এলাকায় ডাকাতি ও ডাকাত আতঙ্ক ছড়িয়ে জনমনে ভীতি সৃষ্টির মাধ্যমে একটি মহল অপপ্রচার চালায়। বিষয়টি আমলে নিয়ে শরীয়তপুর জেলা প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসন তদন্ত করেছেন।
জেলার কোথাও এমন কোন ডাকাতি বা ডাকাতির প্রস্তুতি এমনকি কোথা থেকে এই গুজবের শুরু হয়েছে তারও কোন হদিস মিলে নাই প্রশাসনের তদন্তকালে। তাই জেলা ম্যাজিস্ট্রেট একটি বিশেষ ঘোষণার মাধ্যমে ২৩ এপ্রিল বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছেন।
বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ রয়েছে পরবর্তীতে এই ধরনের কোন অপপ্রচার চালানো হলে দোষী ব্যক্তি বা মহলের বিরুদ্ধে কঠোর আইনী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
তাই জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে প্রেস ব্রিফিং ও মাইকিং করে জনসচেতনতা মূলক প্রচার শুরু করেছেন।
শনিবার জেলা শহরে মাইকিং করে প্রচারকালে জানা গেছে, জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ও জেলা প্রশাসক কাজী আবু তাহের ঘোষণা করেছেন কোথাও কোন ডাকাতি বা ডাকাতির প্রস্তুতি লক্ষ্য করা গেলে নিকটবর্তী থানায় যোগাযোগ করার জন্য।
অযথা ডাকাত ও ডাকাতির সংবাদ মসজিদের মাইকে প্রচার করা থেকে মসজিদের ইমাম, মুয়াজ্জিন ও জনসাধারণকে বিরত থাকার জন্য অনুরোধ করেছেন এই বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে।
করোনাভাইরাস জনিত বৈশ্বিক মহামারী চলাকালে এই ধরনের কার্যকলাপের জন্য দায়ী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে বলেও উল্লেখ রয়েছে এই বিজ্ঞপ্তিতে।
আদেশের অনুলিপি অবগতি ও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য পুলিশ সুপার, সকল উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যানগণ, সকল উপজেলা নির্বাহী অফিসারগণ, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের উপপরিচালক ও জেলা তথ্য অফিসারের বরাবর প্রেরণ করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, গত ২২ এপ্রিল বুধবার দিবাগত রাত ১২ টা থেকে ২ টা পর্যন্ত জেলার সর্বত্র মসজিদের মাইকে ডাকাত ও ডাকাতির আতঙ্ক প্রচার করা হয়। এতে ঘুমহীন রাত কাটায় জেলাবাসী। অনেকে ভীত ও আতঙ্কিত হয়ে অসুস্থ হয়ে পড়েছেন বলে সংবাদ পাওয়া যায়। আসলে জেলার কোথাও এই ধরনের ডাকাতি বা ডাকাতির প্রস্তুতির সংবাদও পাওয়া যায়নি।