
শরীয়তপুর সদর পৌরসভার ২নং ওয়ার্ডের কুরাশি ও ৩নং ওয়ার্ডের বাঘিয়া গ্রামে হাত-পা বেঁধে ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। মঙ্গলবার দিবাগত রাত দেড়টা থেকে রাত ৪টা পর্যন্ত এ ডাকাতির ঘটনা ঘটে।
এ সময় অস্ত্রের মুখে বাড়ির শিশুসহ সবাইকে বেঁধে জিম্মি করে নগদ টাকা, স্বর্ণালঙ্কার, মোবাইল ও আসবাবপত্র ডাকাতি করে নিয়ে যায় ডাকাতরা।
ভুক্তভোগী পরিবার ও স্থানীয়রা জানান, ১৮-২০ জন ডাকাতের একটি দল মঙ্গলবার দিবাগত রাত দেড়টার দিকে ঘরের দরজা ভেঙে প্রথমে পৌরসভার ৩নং ওয়ার্ডের বাঘিয়া আব্দুস সোবাহান হাওলাদারের বাড়ি, পরে রাত ৩টার দিকে ২নং ওয়ার্ডের কুরাশি গ্রামের আব্দুল মালেক ছৈয়ালের ঘরে ঢুকে।
এ সময় বাড়ির লোকজন চিৎকার করলে শিশুসহ পরিবারের সকলকে হাত-পা বেঁধে আড়াই ঘণ্টা মালামাল লুটপাট করে ডাকাতরা। এরপর ঘরের সবকিছু তছনছ করে দুই বাড়ি থেকে ৮ টি মোবাইল, এক লাখ ২ হাজার টাকা ও ১৭ ভরি স্বর্ণালঙ্কার ও আসবাবপত্র নিয়ে যায় তারা।
আব্দুল মালেক ছৈয়াল বলেন, বৃদ্ধ মা-বাবা, স্ত্রী, সন্তান, ভাই, ভাইর স্ত্রীদের নিয়ে এক ঘরেই থাকি। রাত তখন আনুমানিক ৩টা হঠাৎ বিকট শব্দ হয়। শব্দ পেয়ে ঘুম থেকে উঠে দেখি আমার ঘরের ভেতর ১৫-১৭ জন লোক। ওরা আমাদের সকলকে বেঁধে প্রথমে মোবাইলগুলো নিয়ে যায়। আর বলে চিৎকার করবি না, তাহলে সবাইকে মেরে ফেলবো।
আব্দুল মালেক ছৈয়ালের স্ত্রী পিয়ারা বেগম বলেন, সবাইকে হাত-পা বেঁধে ফেলে। আর আলমারির চাবি চায়। তখন ভয়ে আমি আলমারির চাবি দিয়ে দেই। আমার জা চিৎকার করলে তাকে মারধর করে তারা। পরে ৭ ভরি স্বর্ণ, ৬০ হাজার টাকা, ৪টি মোবাইল ও আসবাবপত্র নিয়ে যায় ডাকাতরা।
আব্দুল মালেক ছৈয়ালের ৭ বছর বয়সী মেয়ে শান্তা আক্তার বলে, সবার চিৎকার শুনে ঘুম থেকে উঠলে ডাকাতরা আমার মুখ চেপে ধরে। বলে চুপ করে থাক, না হয় মেরে ফেলবো। পরে আমার কানের দুল নিয়ে যায়।
আব্দুস সোবাহান হাওলাদার বলেন, ডাকাত দল ঘরে ঢুকে ৪টি মোবাইল, ৪২ হাজার টাকা ও ১০ ভরি স্বর্ণ নিয়ে যায়। ডাকাতদের প্রত্যেকের হাতে টস লাইট ও অস্ত্র ছিল।
পালং মডেল থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মনিরুজ্জামান বলেন, আমরা সরেজমিনে গিয়ে দেখছি। এখনো কেউ কোন অভিযোগ অথবা মামলা করেননি।