Friday 29th March 2024
Friday 29th March 2024

Notice: Undefined index: top-menu-onoff-sm in /home/hongkarc/rudrabarta.net/wp-content/themes/newsuncode/lib/part/top-part.php on line 67

রাতের আধাঁরে গয়াতলা বাজার থেকে ৫টি দোকান উধাও

রাতের আধাঁরে গয়াতলা বাজার থেকে ৫টি দোকান উধাও

বৃহস্পতিবার (বুধবার দিবাগত) রাতের আধাঁরে গয়াতলা বাজার থেকে ৫টি দোকান ঘর উধাঁও হওয়ার ঘটনা ঘটেছে। জমি সংক্রান্ত দ্বন্দ্বের জের ধরে প্রতিপক্ষ এ ঘটনা ঘটিয়েছে বলে জানা গেছে। ঘটনা পরবর্তী পালং মডেল থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শণ করেছে। অভিযোগ পেলে মামলা নেয়া হবে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
গয়াতলা বাজার কমিটি ও পালং থানা পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, শরীয়তপুর সদর উপজেলার গয়াতলা বাজারে ৫টি দোকান তুলে মেম্বার মোশারফ সরদার, সেলিম সরদার ও কাঞ্চন সরদাররা ব্যবসা করছে এবং কিছু দোকান ঘর ভাড়া দিয়েছে। অনেকদিন থেকে ওই জমির মালিকানা নিয়ে মেম্বার মোশারফ সরদার সাথে ইসমাইল আকন ও ইউনুছ আকনদের মামলা মোকদ্দমা চলছে। এ বিষয়ে গয়াতলা বাজারে বসে একাধিক দরবার শালিশও হয়। মেম্বার মোশারফ সরদার সাবেক সংসদ সদস্য বিএম মোজাম্মেল হকের সমর্থক ছিলেন তাই বর্তমানে এলাকা থেকে সরে আছে। এ সুযোগে বৃহস্পতিবার রাতে ইসমাইল আকন তাদের দলীয় লোকজন নিয়ে বাজার থেকে দোকান ঘর ভেঙ্গে নিয়ে যায়।
এ বিষয়ে মেম্বার মোশারফ সরদার বলেন, এ জমির আর এস ও এস এ রেকর্ডের মালিক আমরা। ভুলবসত ইসমাইল আকনদের নামে বি আর এস রেকর্ডে হয়। রেকর্ড সংশোধনের জন্য আমরা আদালতে মামলা করেছি। ইসমাইল আকনরা মামলার কোন জবাব না দিয়ে আমাদের ৩০ বছরের পুরোন ৫টি দোকান ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান রাতের আধাঁরে ভেঙ্গে নিয়ে যায়। এত আমাদের ১৫ লাখ টাকা পরিমান ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। মেম্বার হুমায়ুন মোল্যা ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ভেঙ্গে নিতে নেতৃত্ব দেয়। বিষয়টি আমি ফোনে পুলিশকে জানিয়েছি। পালং মডেল থানা পুলিশ রাতেই ঘটনাস্থলে আসে। এ বিষয়ে আমি থানায় মামলা করবো।
মেম্বার হুমায়ুন মোল্যা বলেন, ইসমাইল আকনরাই ওই দোকানে ব্যবসা করতো। নিজেরাই দোকান ভেঙ্গে নিয়েছে। মোশারফ মেম্বারদের ওই জমিতে কোন দখল ছিল না। দোকান ভেঙ্গে নেয়ার বিষয়ে আমার কোন নেতৃত্ব নাই। তাছাড়া ওই দোকানেতো আমি ব্যবসা করবো না।
বাজার কমিটির সভাপতি দেলোয়ার মাদবর বলেন, মোশারফ মেম্বারদের নামেই আর এস ও এস এ রেকর্ড। তবুও ইসমাইল আকন, ইউনুছ আকন, বাবুল আকন, আবুল আকন ও পান্নু আকন ওই জমির মালিকানা দাবী করে। এ বিষয়ে আমরা অনেক শালিশি করেছি। গত রাতে মেম্বার হুমায়ুন মোল্যার নেতৃত্বে ইউনুছ আকনরা বাজার থেকে দোকান ঘর ভেঙ্গে গাড়ি যোগে আত্মীয় স্বজনের বাড়ি নিয়ে যায়।
এ বিষয়ে পালং মডেল থানার অভিসার ইনচার্জ মো. মনিরুজ্জামান বলেন, সংবাদ পেয়ে রাতেই ঘটনাস্থলে যাই। শুনেছি এ জমির মালিকানা নিয়ে দ্বন্দ্ব আছে। মেম্বার মোশারফ সাবেক এমপির সমর্থক ছিল তাই বর্তমানে এলাকায় নাই। সেই সুযোগে ইসমাইল আকনরা দোকান ঘর ভেঙ্গে নিয়েছে। মোশারফ মেম্বারকে বলেছি থানায় এসে অভিযোগ করতে। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।