
জেলা প্রশাসক কাজী আবু তাহের বলেছেন, কোন ভোক্তা যদি পন্য কিনে প্রতারিত হন তাহলে আমাদের কাছে অভিযোগ করুন। এর ব্যবস্থা নেয়ার দায়িত্ব আমাদের। খাদ্যে ভেজালকারীরা দেশের শত্রু, তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে। তাদের কিছুতেই ছাড় দেওয়া হবে না।
শুক্রবার (১৫ মার্চ) সকাল ১০টায় জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে বিশ^ ভোক্তা অধিকার দিবস উদযাপন উপলক্ষে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ সব কথা বলেন।
জেলা প্রশাসক বলেন, আগে বাংলাদেশের মানুষ পন্য কিনে প্রতারিত হলে অভিযোগ করার বা বিচার পাওয়ার কোন সুযোগ ছিলোনা। এ কারণে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০০৯ সালে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন করেছেন। আইনে জেল জরিমানার বিধান রাখা হয়েছে। প্রতিটি জেলা ও উপজেলায় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ দপ্তর রয়েছে। কোন ভোক্তা যদি পন্য কিনে প্রতারিত হয় এবং সে যদি অভিযোগ দায়ের করে এবং সেই অভিযোগ প্রমাণিত হয় তাহলে জরিমানার ২৫ শতাংশ অভিযোগকারী পাবে।
অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) আব্দুল্লাহ আল মামুন তালুকদারের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য রাখেন জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি আব্দুর রব মুন্সী, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অনল কুমার দে, জেলা ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক সুজন কাজী, শরীয়তপুর জেলা দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির সাধারণ সম্পাদক বিল্লাল আহমেদ খান।
এ সময় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আল মামুন শিকদার, শরীয়তপুর জেলা মহিলা সংস্থার চেয়ারম্যান এ্যাড. রওশন আরা, সাংবাদিক শহীদুল ইসলাম পাইলট, আচমত আলী খান, কন্ঠ শিল্পী সামিনা ইয়াছমিন, ইটভাটা মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক গোলাম মোস্তফা ও শরীয়তপুর জেলা এলপিজি ব্যবসায়ী এসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক ইদ্রিস আলী বেপারী সহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক ও শিক্ষার্থী উপস্থিত ছিলেন। আলোচনা সভা শেষে প্রতিযোগীতায় বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করা হয়।
এর আগে সকাল সাড়ে ৯টায় বিশ^ ভোক্তা অধিকার দিবস উপলক্ষে শরীয়তপুর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার চত্ত্বর থেকে একটি বর্ণাঢ্য র্যলি বের করা হয়। জেলা প্রশাসক কাজী আবু তাহেরের নেতৃত্বে র্যালিটি শহরের প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে জেলা প্রশাসকের কার্যালয গিয়ে শেষ হয়। বিশ^ ভোক্তা অধিকার দিবসের এবারের প্রতিপাদ্য ছিলো ‘নিরাপদ মানসম্মত পন্য’।