
শরীয়তপুর সদর উপজেলার রুদ্রকর ইউনিয়নে পল্লী বিদ্যুতের লাইন টানার অজুহাতে রাস্তার দুই পাশের সরকারি গাছ কেটে নেয়ার অভিযোগ উঠেছে স্থানীয়দের বিরুদ্ধে। স্থানীয় মেম্বার ও রুদ্রকর ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তার নির্দেশ উপেক্ষা করে এই সরকারি গাছ কাটা হচ্ছে। পল্লী বিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে বিদ্যুতের লাইন টানতে শুধু গাছের ডালপালা ছাটতে হয় কোন গাছ কাটার প্রয়োজন হয় না।
অভিযোগের ভিত্তিতে সদর উপজেলার রুদ্রকর ইউনিয়নের পশ্চিম সোনামুখী এলাকার মনোহর গরুরহাট থেকে সুবচনি বাজার অভিমুখী রাস্তায় গিয়ে দেখা যায়, আবুল সিকদারের বাড়ির সামনের রাস্তার দুই পাশে ও আশপাশ এলাকার সরকারি রাস্তার গাছের ডালপালাসহ কিছু গাছ গোড়া থেকে কেটে নেয়া হয়েছে। খোঁজ খবর নিয়ে জানা যায় আবুল সিকদারের ছেলে আরিফ ও আমির হোসেন, জালাল কাজী এবং নজরুল কাজী সরকারি রাস্তার দুই পাশের গাছ কেটে নিয়েছে।
গাছ কাটার বিষয়ে জালাল কাজী জানায়, তার জমির সাথে সরকারি রাস্তার একটি কড়ই গাছের ডালপালায় ফসলের ক্ষতি করছিল। এই সময় পল্লী বিদ্যুতের ঠিকাদার আলী বলছিল গাছের ডালপালা কাটতে হবে। তখন ঠিকাদারের কথামত জালাল কাজী গাছের ডালপালা কেটেছে। সে কোন গাছ কাটেনি।
অভিযুক্ত নজরুল কাজী জানায়, পল্লী বিদ্যুতের লাইন ক্লিয়ার করতে গাছের ডালপালা কাটার পাশাপাশি জালাল কাজী, আরিফ সিকদার ও আমির সিকদার গাছ কেটেছে। গাছ কাটার বিষয়ে নজরুল কাজীর কোন অংশগ্রহন ছিল না। অথচ সরকারী রাস্তার দুই পাশের প্রায় ৮-১০টি গাছ কেটে নেয়া হয়েছে।
পল্লী বিদ্যুতের ঠিকাদার আলী বলেন, বিদ্যুতের তার টানতে কিছু গাছের ডালপালা কাটার প্রয়োজন হয়। তখন স্থানীয়রা নিজ নিজ জমির সংলগ্ন সরকারি রাস্তার পাশ থেকে গাছের ডালপালা ও গাছ কেটে নেয়। গাছ কাটতে কাউকে অনুমতি দেয়া হয়নি।
স্থানীয় মেম্বার আলী আজগর কাজী বলেন, পল্লী বিদ্যুতের লাইন টানতে গাছের ডালপালা কাটা লাগতে পারে। সেই অজুহাতে স্থানীয়রা গাছ কাটা শুরু করে। আমি বাঁধা প্রদান করি। বাঁধা উপেক্ষা করে সরকারী রাস্তার গাছ কেটে নিয়েছে।
রুদ্রকর ভূমি অফিসের কর্মকর্তা শহিদুল ইসলাম বলেন, সরকারি রাস্তার গাছ কাটার সংবাদ পেয়ে সেখানে যাই। এর পূর্বে স্থাণীয়রা কিছু গাছ কেটে নিয়েছে। বাঁধা প্রদানের পর আর কোন গাছ কাটা হয়নি। এ বিষয়টি উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবগত করব।