শুক্রবার, ৯ই জুন, ২০২৩ ইং, ২৬শে জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ, ২০শে জিলক্বদ, ১৪৪৪ হিজরী
শুক্রবার, ৯ই জুন, ২০২৩ ইং
কিশোরীর ডাক চিৎকারে ধর্ষণকারী ধর্ষণ করতে ব্যর্থ হয়

রাতে ঘরে ঢুকে মুখ বেধে কিশোরীকে ধর্ষণের চেষ্টা !

রাতে ঘরে ঢুকে মুখ বেধে কিশোরীকে ধর্ষণের চেষ্টা !

শরীয়তপুরের নড়িয়া উপজেলায় রাতের অন্ধকারে কৌশলে ঘরে ঢুকে এক কিশোরী (১৪)কে গামছা দিয়ে মুখ বেধে ধর্ষণের চেষ্টাকালে কিশোরীর ডাক চিৎকারে ধর্ষণকারী ধর্ষণ করতে ব্যর্থ হয়। গত রবিবার ১৬ আগষ্ট রাত ৯টার দিকে উপজেলার জপসা ইউনিয়নের মোল্লাকান্দি গ্রামে এ ঘটনা ঘটেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

ভূক্তভোগী ও পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, জপসা ইউনিয়নের ছিটু বেপারী কান্দি গ্রামের শাহজাহান মুন্সীর ছেলে ফরিদ মুন্সি(৩৫) একই ইউনিয়নের মোল্লাকান্দি গ্রামের আলাল মাদবরের ঘরে কৌশলে প্রবেশ করে একা ঘরে থাকা তার মেয়েকে গামছা দিয়ে মুখ বেধে ধর্ষণের চেষ্টা চালায়। ঐ মেয়েটির আত্মচিৎকারে সবাই ছুটে আসলে তারা ফরিদ মুন্সিসহ ৪/৫ জনকে অস্ত্র ও ধারালো ছেনদা নিয়ে পালিয়ে যেতে দেখে। এ বিষয়ে ভূক্তভোগীর পিতা আলাল মাদবর নড়িয়া থানায় একটি নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে অভিযোগ দায়ের করে।

স্থানীয়রা জানায়, জপসা ইউনিয়নের ছিটু বেপারী কান্দি গ্রামের শাহজাহান মুন্সীর ছেলে ফরিদ মুন্সি(৩৫) একই ইউনিয়নের মোল্লাকান্দি গ্রামের আলাল মাদবরের ঘরে কৌশলে প্রবেশ করে একা ঘরে থাকা তার মেয়েকে গামছা দিয়ে মুখ বেধে ধর্ষণের চেষ্টা চালায়। এ সময় ওই ভূক্তভোগী মেয়েটি চিৎকার দিলে তার গোংরানীর আওয়াজ পাশের ঘর থেকে মেয়েটির বাবা, মা ও বাড়ির আত্মীয়-স্বজন শুনলে তারা আত্মচিৎকার করে দৌড়ে আসলে ফরিদ মুন্সিসহ একই গ্রামের সাইফুল মুন্সী(২৮), মোল্লা কান্দি গ্রামের সেলিম চৌধুরী(৪৫) ও কবিরাজ কান্দি গ্রামের আক্তার কবিরাজ(৩৭)কে অস্ত্রসস্ত্র সহ পালিয়ে যেতে দেখে।

প্রত্যক্ষদর্শী হাসেম মুন্সী বলেন, আমি জাল বাইতে ছিলাম। ওই মুহূর্তে প্রায় রাত ৯টার দিকে আলাল মাদবরের বাড়িতে চিৎকার শুনে সেখানে যাই, গিয়ে দেখি ফরিদ মুন্সীসহ ৪/৫ জন ধারালো অস্ত্র নিয়ে চলে যাচ্ছে। ঘরে গিয়ে দেখি আলাল মাদবরের মেয়ে মিমের মুখ গামছা দিয়ে বাঁধা। এর একটি বিচার হওয়া উচিত।

ভূক্তভোগীর চাচী ইতি আক্তার বলেন, আমার ঘরে মিমের আব্বা ও মা কথা বলতে ছিল। তখন রাত ৯টা বাজে। ঐ সময় কে যেন বলতেছে মিমের মা তোমাগো ঘরে কার যেন গোংরানীর আওয়াজ পাওয়া যাইতাছে। আমরা তখন সবাই দৌড়ে ঘরে গিয়ে দেখি মিমের মুখ গামছা দিয়ে বাঁধা আর জামাকাপড় এলোমেলো। আর ফরিদমুন্সীসহ কয়েকজন দৌড়ে পালাচ্ছে। তাদের হাতে অস্ত্রসস্ত্র ছিল।

জপসা ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন মাদবরের নিকট এ বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, ঘটনাটি যে ঘটেছে এ কথা সত্য। আমার নিকট বিচার নিয়ে আসছিল আমি আইনের আশ্রয় নিতে বলেছি। শাহজাহান মুন্সীর ছেলে ফরিদ মুন্সী ছেলেটা অত্যন্ত খারাপ লোক। ওর বিষয়ে আমাদের নিকট প্রায়ই বিচার আসে। আইনের আওতায় এনে সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে ওর বিচার হওয়া উচিত।

ফরিদ মুন্সির সাথে উক্ত বিষয় জানতে যোগাযোগ করতে চাইলে তাকে এলাকায় পাওয়া যায়নি।

নড়িয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. হাফিজুর রহমানকে এ বিষয়ে জানতে ৫/৬ বার মোবাইল করলে তাকে মোবাইল ফোনে ব্যস্ত পাওয়া যায়।

অভিযোগের তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই আবুল কালাম আজাদ মোবাইল ফোনে জানান, আমরা তদন্ত করতে গিয়েছি। প্রাথমিকভাবে মামলার সত্যতা পাওয়া গিয়েছে। মামলা প্রক্রিয়াধীন আছে।

পরে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার এস. এম. মিজানুর রহমানকে মোবাইলে কল দিলে তিনি বলেন, এ বিষয়ে আমার জানা নেই। তবে তিনি আশ্বস্থ করে বলেন, যদি অভিযোগ করে থাকে ভিকটিমের পরিবারের যে কোন একজনকে আমার সাথে দেখা করতে বলবেন, আমি ব্যবস্থা নিব।


error: Content is protected !!