
শরীয়তপুর সদর উপজেলার চর পালং গ্রামে প্রভাবশালী ভূমিগ্রাসী কর্তৃক এক হত দরিদ্র পরিবারের বাড়ি-ঘর ভাংচুর করে লুটপাট করেছে মর্মে অভিযোগ পাওয়া গেছে। ভাংচুর করে পরিবারটিকে উচ্ছেদের অপচেষ্টা চালানো হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে শনিবার দুপুর ১২ টার দিকে।
প্রভাবশালীদের হুমকি-ধামকি ও ভয়ে পরিবারটি চরম নিরাপত্তাহীনতায় রয়েছে।
জানা যায়, ৬০নং পালং মৌজার আর,এস ৬০৫ নং খতিয়ানের ২৬৪নং দাগের ও এস,এ ৫০২ খতিয়ানের ২৬৪ নং দাগের ৭৮ শতাংশ জমির রেকর্ডিয় মালিক একরাম আলি বেপারি। পরবর্তীতে বি,আর,এস পর্চায় অনেকগুলো দাগ হয় তার মধ্যে বি,আর,এস ১০৩৪ নং খতিয়ানের ১৮৭০,১৮৭১,১৮৭৫ নং দাগের ১৩.৮৮ শতাংশ জমির মালিক হন একরাম আলি বেপারির ৩ ছেলে সেকেন্দার বেপারি, এসকান্দার বেপারি,সাজাহান বেপারি ও তার ৪ মেয়ে চন্দ্রভান বিবি, সহরজান বিবি, ময়না বিবি, সাহানাজ বেগম এবং ২ স্ত্রী নুরজাহান বিবি, ছটু বিবি। এর মধ্যে এসকান্দার বেপারির পৈত্রিক সুত্রে পাওয়া ৬ শতাংশ জমি ২৪/১০/২০১১ ইং তারিখে বিক্রি করে দেন তার ভাই সেকেন্দার বেপারির কাছে। পরে এসকান্দার বেপারির কোন জমি না থাকায় এসকান্দার বেপারি ও তার স্ত্রী বিউটি বেগমকে নিয়ে সেকেন্দার বাড়িতেই বসবাস করতো এবং একই বাড়িতে সহরজান বিবি তার মেয়ে মরিয়মকে নিয়ে বসবাস করতো যার হোল্ডিং নম্বর ০৬৪৩-০২। এর পরে ২০১২ সালে এসকান্দার বেপারি মারা গেলে তার স্ত্রী বিউটি বেগম অন্যত্রে বিয়ে করেন এবং সে খানেই বসবাস করেন। ২০১৮ সালে জুলাই মাসে বিউটি বেগম জাল দলিলের মাধ্যমে কাশেম খানের কাছে বিক্রি করেন।
এ বিষয়ে ভুক্তভোগী মরিয়ম বেগম বলেন, বাদল বেপারি, বিউটি বেগম ও সাজাহান সহ ১০ থেকে ১২ জন ভাড়া করা সন্ত্রাসী নিয়ে আমার ঘরের দরজা ভেঙে ঘরে থাকা মালপত্র সব বাইরে ফেলে দেয় এবং আলমারিতে থাকা ৬০ হাজার টাকা ও ৪ ভরি স্বর্ন অলংকার লুটপাট করে নিয়ে যায়। পরে আমাকে বাড়ি থেকে চলে যাইতে বলে এবং না গেলে মেরে ফেলার হুমকি দেয়।
এ বিষয়ে পালং থানার অফিসার ইনচার্জ মনিরউজ্জামান বলেন, ঘটনাটি আমি শুনেছি লিখিত অভিযোগ দিলে তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নিব।