
শরীয়তপুর-২ (নড়িয়া-সখিপুর) আসনের আ.লীগের প্রার্থী এনামুল হক শামীমের পক্ষে দলটির সকল পর্যায়ের নেতা-কর্মীরা একাট্টা হয়ে প্রচারনা চালাচ্ছেন।
জানা যায়, নড়িয়া উপজেলার ১৪টি ও ভেদরগঞ্জ উপজেলার সখিপুর থানার নয়টি ইউনিয়ন নিয়ে নির্বাচনী এলাকাটি গঠিত। এ আসনে ভোটার রয়েছে ৩ লাখ ১০ হাজার ৩৪৩ জন।
এ আসনের বর্তমান সাংসদ কর্নেল শওকত আলী। তিনি ৮৯ সাল হতে আ.লীগের মনোনয়নে প্রত্যেকটি নির্বাচনে সাংসদ নির্বাচন হন। ২০০৯ সালে তিনি জাতীয় সংসদের ডেপুটি স্পীকার নিযুক্ত হন। তার অসুস্থতার কারনে এ নির্বিচনে প্রার্থী হতে পারেন নি। মনোনয়ন চেয়েছিলেন তার ছেলে খালেদ শওকত আলীসহ ১১ জন নেতা। দল থেকে মনোনয়ন দেয়া হয় কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক এনামুল হক শামীমকে।
৩৯ বছর পর শওকত আলী সমর্থকদের বাইরের কোন নেতা মনোনয়ন পেল। প্রতিক বরাদ্দের পর থেকে শওকত সমর্থিত সকল নেতা-কর্মি ও স্থানীয় সকল নেতা-কর্মিরা ও মনোনয়ন প্রত্যাশি নেতারা শামীমের পক্ষে একাট্টা হয়ে প্রচারনা চালাচ্ছেন। শুক্রবার সাংসদ পুত্র খালেদ শওকত আলী নড়িয়া পৌরসভার লোনসিং এলাকায় এনামুল হক শামীমের পক্ষে নৌকা প্রতিকের পক্ষে প্রচারনা চালান।
রোববার এনামুল হক শামীম নড়িয়ার ভোজেশ্বর ইউনিয়নে গণসংযোগ করেন। সকাল ১০টা হতে তিনি পাঁচক গ্রাম, দাসপাড়া গ্রামে গণসংযোগ করেন। বেলা ১১ টায় ভোজেশ্বর ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান আলী আহম্মেদ সিকদারের বাড়িতে কর্মিসভায় যোগ দেন। এরপর তিনি উপসী, কোয়ারাক, লক্ষিপুর, আচুরা, দুলুখন্ড এলাকায় গনসংযোগ করেন। দুপুরে তিনি সাবেক আইজিপি শহীদুল হকের বাড়িতে যান। বিকালে পাঁচক দাসপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে স্থানীয় আ.লীগ আয়োজিত জনসভায় বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক শরীয়তপুর-২ আসনের আওয়ামীলীগের মনোনিত প্রার্থী একেএম এনামুল হক শামীম।
বক্তব্যে শামীম বলেন, উন্নয়নের রূপকার শেখ হাসিনা। গ্রামকে শহর করতে শেখ হাসিনার সরকারে বিকল্প নাই। আওয়ামীলীগ ক্ষমতায় গেলে শেখ হাসিনা পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ প্রধানমন্ত্রী হবে।
এ সময় তার সাথে উপস্থিত ছিলেন, সংরক্ষিত মহিলা আসনের এমপি এড. নাভানা আক্তার, সাবেক আইজিপি একেএম শহীদুল হক, স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের সভাপতি ডা. এম ইকবাল আসালান, মানবতা বিরোধী অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটর সুলতান মাহমুদ সীমন, একেএম ইসমাইল হক, ওহাব বেপারী, হাজি খবিরুজ্জামান বাচ্চু, জহির সিকদার, হাসানুজ্জামান খোকন, আলী আহম্মেদ শিকদার, এছাড়া জেলা ও উপজেলার অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।