মঙ্গলবার, ৩০শে মে, ২০২৩ ইং, ১৬ই জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ, ৯ই জিলক্বদ, ১৪৪৪ হিজরী
মঙ্গলবার, ৩০শে মে, ২০২৩ ইং

শরীয়তপুরের চন্দ্রপুর দুই মহিলাকে মারধর

শরীয়তপুরের চন্দ্রপুর দুই মহিলাকে মারধর

শরীয়তপুর জেলার সদর থানার চন্দ্রপুর ইউনিয়নের বাহের চন্দ্রপুর গ্রামের উজালা বেগম ও নাসিমা বেগম নামের দুই মহিলাকে ঠুনকো ঘটনায় মারধর করেছেন একই গ্রামের শান্তি বেগম ও তার বোন লাইলী বেগম এবং তার স্বামী সালাউদ্দীন। আহতরা শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। গত ২০ এপ্রিল সরজমিনে বাহের চন্দ্রপুর গ্রামে গিয়ে খোজ নিয়ে জানা যায়, উজালা বেগমের মুরগী নিয়ে কথা কাটাকাটি বাধে একই বাড়ির আয়নাল বেপারীর স্ত্রী শান্তি বেগমের সাথে। একপর্যায় শান্তি বেগম উজালা বেগমকে মারধর শুরু করে, মারামারি দেখে ছাড়াতে এগিয়ে আসে নাসিমা বেগম। এবং তাদের দুজনকে মিমাংশা করে দেন, কিন্তু শান্তি বেগম নাসিমা বেগমকে বলতে থাকে তুই ছাড়াইতে আসলি কেন। আজ ওরে আমি মাইরা ফালাইতাম, তোর জন্য পারলাম না। তোকে আমি দেখে নেবো। পরের দিন গত ১৯ এপ্রিল সকাল বেলা নাসিমা বেগম রান্না করতে ছিলেন। এমন সময় পাশের বাড়ীর শান্তি বেগমের বোন লাইলী ও তার স্বামী সালাউদ্দীন এসে নাসিমা বেগমকে গালাগালি করতে থাকে। একপর্যায় লাইলীর স্বামী সালাউদ্দীন শান্তি ও লাইলী কে হুকুম দিয়ে বলে শালিরে জীবনের তরে শেষ করে দে। সাথে সাথে লাইলী বেগম ও শান্তি বেগম নাসিমার উপর ঝাঁপিয়ে পরে, মারামারি করার জন্য রাতে কেটে রাখা লাঠি দিয়ে শরীরের বিভিন্ন অঙ্গে পিটিয়ে মারাত্মক জখম করে, নাসিমা বেগমের গলায় থাকা দেড় ভরি ওজনের একটি স্বর্নের চেইন ও কানে থাকা আট আনি স্বর্নের রিং ছিনিয়ে নিয়ে যায় শান্তি ও লাইলী বেগম। নাসিমার চিৎকারে উজালা বেগম এগিয়ে আসলে তাকে বেদম মারধর করা হয়। পরে পরিবারের অন্য লোকজন এসে তাদের উদ্ধার করে শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি করে।
এই ঘটনা সম্পর্কে উক্ত এলাকার চানমিয়া জমদ্দারের স্ত্রী নাজমা বেগম বলেন, সকাল বেলা অন্য বাড়ির লোক সালাউদ্দীন এসে নাজমা বেগমকে মার খাওয়ালো। শান্তি ও লাইলী লোক বেশী একটা সুবিধার না তারা এর আগে বিথী নামের একটি মেয়েকে মার্ডার করেছে, সেই মামলায় তারা আসামী।
ফারুক বেপারীর ছেলে জয় বলেন, হ্যা আমি দাড়িয়ে থেকে ঘটনা দেখিছি কিন্তু কিছু বলিনি, কারন সালাউদ্দীন বলে মার্ডার করেছি তাতে কিছু হয়নি আর পিপরা মারলে কি হবে।
শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে কথা হয় আহত নাসিমা বেগমের সাথে, তিনি বলেন- আমাকে অন্যায়ভাবে শান্তি ও লাইলী সালাউদ্দীনের হুকুমে মারধর করলো। আমরা সাধারণ মানুষ ওরা অনেক খারাপ মানুষ। এর আগে ও বিথী নামের একটি মেয়েকে মেরে ফেলেছে।


error: Content is protected !!