বুধবার, ৪ঠা অক্টোবর, ২০২৩ ইং, ১৯শে আশ্বিন, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ, ১৮ই রবিউল-আউয়াল, ১৪৪৫ হিজরী
বুধবার, ৪ঠা অক্টোবর, ২০২৩ ইং

কলঙ্ক মুক্ত হতে পারতাম না,যদি বঙ্গুবন্ধুর কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা না আসতেন : ইকবাল হোসেন অপু এমপি

কলঙ্ক মুক্ত হতে পারতাম না,যদি বঙ্গুবন্ধুর কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা না আসতেন : ইকবাল হোসেন অপু এমপি

স্বাধীনতার মহান স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান-এঁর ৪৮ তম শাহাদতবার্ষিকীতে জাতীয় শোক দিবস ২০২৩ পালন উপলক্ষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত।

১৫ আগস্ট সকাল সকাল ১১ টায় জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি শরীয়তপুর ১ আসনের সংসদ সদস্য  ইকবাল হোসেন অপু, সকল শহীদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে তিনি বলেন, ১৯৭৫ সালের ১৫ই আগস্টের পর থেকে গণতান্ত্রিক আন্দলনে যারা শহীদ হয়েছেন বা আত্মাহুতি দিয়েছেন, জীবন দিয়েছেন, হাজার হাজার বঙ্গবন্ধুর আদর্শের সৈনিকেরা, নেতাকর্মীরা। যারা ৭৫ এর পর থেকে বঙ্গবন্ধুর হত্যার প্রতিশোধ নেয়ার জন্য। যারা জীবনের যৌবনে সারাটি জীবন বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার চেয়েছেন। সেই সকল সন্তানদের আমি শ্রদ্ধাঅবনত চিত্তে স্মরণ করছি। আজকের এই ১৫ আগস্ট, আমাদের জাতীর জন্য যেমনি ভাবে কলঙ্ক। আজকে আমরা কলঙ্ক মুক্ত হতে পারতাম না। যদি ১৯৮১ সালে বঙ্গুবন্ধুর কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা যদি না আসতেন। ৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গুবন্ধুর বাড়িতে যখন আক্রমণ করা শুরু হলো। আমি গতকাল বঙ্গুবন্ধুর লেখা পত্রিকায় একটা আর্টিকেল পড়েছিলাম তিনি স্পষ্ট লিখেছেন। কি অভাগা জাতী আমরা, কি মীর জাফরের জাতী আমরা, কি বেঈমানের জাতী আমরা। বঙ্গুবন্ধুকে ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট রক্ষা করতে পারিনি আমরা। ১৪ আগস্ট দিবাগত রাত্রে ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করা হলো। যখন আযানে শব্দ আসসালাতু খায়রুল মিনাল নাউম! ঘুমের থেকে নামাজ উত্তম! সেই সময় বঙ্গুবন্ধুকে হত্যা করার জন্য ওরা ঝাঁপিয়ে পরলো। বঙ্গুবন্ধু প্রথম ফোনটি করলেন সেনা প্রধানকে। সেনা প্রধান বললেন,আপনি একটু বাড়ির বাহির হয়ে যান। তারপর যে ফোনটি করলেন, আব্দুর রাজ্জাক কে সে ছিল সশস্ত্র বাহীনির প্রধান। তখন সেই বাহিনীর হাতে ৬০ হাজার লাইসেন্স করা অস্ত্র ছিল। কি দূর্ভাগ্য আমাদের। সেই অস্ত্র বঙ্গবন্ধুকে রক্ষার জন্য একটি অস্ত্রও কিন্তু সেদিনকে বেড় হয় নাই। বঙ্গবন্ধুর রক্ষী বাহিনীর প্রধান ছিলেন, তোফায়েল আহম্মেদ, তিনি বললেন আমি দেখছি। কিন্তু রক্ষী বাহিনী ও বঙ্গবন্ধুকে রক্ষা করার জন্যও সেদিনকে ৩২ নাম্বারে আগাইয়া আসলেন না। এগিয়ে আসলেন না। সেই কলংকিত জাতী আমরা। তিনি আরোও বলেন, বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করার পরে। আবার তার সুযোগ্য কন্যাকে হত্যা করার জন্য বার-বার ২১বার তাকে হত্যার চেস্টা করা হয়েছে। আজকের এই ১৫ আগস্টে আমরা শোককে শক্তিতে পরিণত করে, আমরা শপথ নেই। আমরা বঙ্গবন্ধুকে হারিয়েছি। তার সুযোগ্য কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনাকে আমরা হারাতে চায় না। আজকের এটাই হোক শপথ। এসময় তিনি বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলার স্বপ্ন তার কন্য একে-একে তা পূরণ করে যাচ্ছে। স্বপ্নের পদ্মা সেতুর কারণে দক্ষিণ বংগের ২১ জেলা যে সুফল পেয়েছে সেই সম্পর্কে বলতে গিয়ে বলেন, আসলে আমরা অকৃতজ্ঞ। প্রধানমন্ত্রী উপর কৃতজ্ঞ থাকতে ২০২৪ সালে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নৌকা মার্কায় ভোট দিয়ে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করার আহবান করেন। এছাড়াও এযাবৎ কালে সরকারের বিভিন্ন উন্নয়নকাজের কথা তুলে ধরে প্রধান অতিথি বলেন,এটাই হোক আজকের শপথ!
অনুষ্ঠানের বিশেষ অতিথি জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ছাবেদুর রহমান খোকা সিকদার, পুলিশ সুপার মো: মাহবুবুল আলম, জেলা আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক অনল কুমার দে প্রমূখ।

প্রথমেই কোরআন তেলাওয়াত করেন, জেলা মডেল মসজিদের পেশ ঈমাম মাওলানা ওয়ালিউল্লাহ ও গীতাপাঠ করেন,শিবু গোস্বামী। এরপর জেলা তথ্য অফিসার চলচিত্র ও প্রকাশনা অধিদপ্তর কতৃক নির্মিত ভিডিও চিত্র প্রদর্শন করেন। ভিডিও চিত্র মনে করিয়ে দেয় ১৯৭৫ সালের ১৫ই আগস্ট জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের হত্যাকাণ্ডের ঘটানা। ভিডিও চিত্র শেষে, বীর মুক্তিযোদ্ধাদের অনুভূতির কথা জানান, মুক্তিযোদ্ধা জানে আলম মুন্সি। এরপর জাতীর জনক বঙ্গবন্ধুর স্মরণে বক্তব্য রাখেন, সরকারি কর্মকতা, জেলা শিক্ষা অফিসার শ্যামল চন্দ্র শর্মা ও সড়ক ও জনপদ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী ভূইয়া রেদয়ানুর রহমান ও পুলিশ সুপার মাহবুবুল আলম, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ছাবেদুর রহমান খোকা সিকদার। অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন, জেলা প্রশাসক মুহাম্মদ নিজাম উদ্দীন আহম্মেদ।

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান-এঁর ৪৮ তম শাহাদতবার্ষিকী শোক দিবস পালন উপলক্ষে বাংলাদেশ শিশু একাডেমী শরীয়তপুর কতৃক শিশুদের মধ্যে আয়োজিত রচনা ও চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের মধ্যে পুরুস্কার বিতরণ করেন। রচনা প্রতিযোগিতায় প্রথম হয় মজিদ জরিনা ফাউন্ডেশন স্কুল এন্ড কলেজ এর শিক্ষার্থী (ক বিভাগ) বিদ্যা দেবনাথ, রচনা প্রতিযোগিতা (খ বিভাগ) গরিবের চর স্কুল এন্ড কলেজ এর শিক্ষার্থী মৌমিতা তাসরিন। চিত্রাংকন প্রতিযোগিতায় প্রথম হয়েছে (ক বিভাগ) পালং তুলাসার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আয়শা সুবহা ও খ’ বিভাগে মজিদ জরিনা ফাউন্ডেশন স্কুল এন্ড কলেজ এর শিক্ষার্থী জান্নাতুল ফেরদৌস দিবা এছাড়াও খ’ বিভাগে শরীয়তপুর সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী সায়ন্তি অধিকারী। এসময় প্রতিযোগিতায় প্রথম,দ্বিতীয় ও তৃতীয় শিক্ষার্থীদের হাতে পুরুস্কার তুলে জেলা প্রশাসক মুহাম্মদ নিজাম উদ্দিন আহম্মেদ। এসময় উপস্থিত ছিলেন,জেলার সকল মুক্তিযোদ্ধাগণ,সরকারি দপ্তরের কর্মকতাগণ,অভিভাবক ও শিক্ষার্থীগণ প্রমুখ। অনুষ্ঠানে সঞ্চালনা করেন, সহকারী কমিশনার ও বিজ্ঞ এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট (গোপনীয়, জে এম ও রেকর্ড রুম শাখা ) মুঃ আব্দুর রহিম।


error: Content is protected !!