Monday 12th May 2025
Monday 12th May 2025

শরীয়তপুরে মা ইলিশ রক্ষা অভিযান সমাপ্ত

শরীয়তপুরে মা ইলিশ রক্ষা অভিযান সমাপ্ত

রোববার দিবাগত রাত ১২টায় মধ্যে মা ইলিশ রক্ষা অভিযান সমাপ্ত হয়েছে। চলতি মাসের ৭ তারিখ থেকে মা ইলিশ রক্ষা অভিযান শুরু হয়। জেলা প্রশাসন, উপজেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন ও কোস্ট গার্ডের সহায়তায় জেলা মৎস্য অফিস একাধারে ২২ দিন অভিযান পরিচালনা করেছে।
জেলার ৬টি উপজেলার মধ্যে সদর ও ডামুড্যা উপজেলা ব্যাতিত জাজিরা, নড়িয়া, ভেদরগঞ্জ ও গোসাইরহাট উপজেলার ৭০ কিলোমিটার এলাকা জুড়ে পদ্মা ও মেঘনা নদীতে এ অভিযান ছিল।
ইলিশ শিকারে জেলেরা স্পীডবোট দ্রুত গতির ট্রলার ব্যবহার করায় কমগতির নৌযান, স্বল্প সংখ্যক জনবল নিয়ে ও নিরাপত্তাহীন ভাবে অভিযান পরিচালনা করে আশানুরূপ সফলাতা পায়নি মৎস্য বিভাগ। ১০৩ স্পটে খোলামেলা মাছ বিক্রিও হয়েছে। মাছ কিনেছেন সাধারণ মানুষ।
কয়েক মাসের মধ্যে শরীয়তপুরের বিভিন্ন বাজারে ইলিশের চাহিদা কমে যাওয়ার আশংকা রয়েছে। ইতোমধ্যে শরীয়তপুরের বাজারে মুরগী সহ দেশীয় প্রজাতির মাছের দাম কিছুটা কমে গেছে। ফ্রিজে খালি জায়গা না থাকায় ইলিশের মূল্য আরও কমলেও অনেকদিন কিনতে পারবে না ইলিশ।
জেলা মৎস্য অফিস সূত্র জানায়, আজ পর্যন্ত জেলা মৎস্য অফিস ৩৭৮ টি অভিযান পরিচালনা করেছে। অভিযানে সহ¯্রাধিক জেলেসহ জাল ও মাছ আটক হয়েছে। ২০৭ টি মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে ১১০৫ জন জেলের বিরুদ্ধে মামলা দিয়েছে মৎস্য বিভাগ। ৯১৫ জন জেলেকে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা দিয়ে হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে। ২১০ জন জেলেকে বিভিন্ন অংকে অর্থদন্ড দেয়া হয়েছে। অভিযান কালে ৭৪ লাখ ৪৪ হাজার ৯০০ মিটার জাল ও ২০ হাজার ৮০৩ কেজি ইলিশ মাছ উদ্ধার করেছে। উদ্ধারকৃত জাল ধ্বংসসহ মা ইলিশ বিভিন্ন এতিম খানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। জরিমানা আদায় হয়েছে ৯ লাখ ৬৩ হাজার ৫০০ টাকা। স্পীডবোট দিয়ে মাছ শিকারের সময় নিজেদের ট্রলার ও স্পীডবোটের সংঘর্ষে অনেক স্পীডবোট ও ট্রলার ডুবির ঘটনা ঘটেছে। এ পর্যন্ত দুই জেলের মরদেহ উদ্ধার হয়েছে।
জেলা মৎস্য অফিসার বিশ্বজিৎ বৈরাগী বলেন, রাতদিন করে অভিযন পরিচালনা করা হচ্ছে। জেলেরা দ্রুতগতির স্পীডবোট ও ট্রলার ব্যবহার করে মা ইলিশ শিকার করছে। আমাদের দ্রুতগামী নৌযান না থাকায় জেলেদের আটক করা যাচ্ছে না। জনবল সংকট ও নিরাপত্তা আরও বেশী জোরদার করা গেলে অভিযান সফল করা সম্ভব হতো।